Logo
শিরোনাম

বন্যাকবলিত নলকূপ জীবাণুমুক্ত না করেই পানি ব্যবহার

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১৪৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে। ভেসে উঠছে সুপেয় পানি সংগ্রহের মাধ্যম টিউবওয়েল। সেই টিউবওয়েল জীবাণুমুক্ত না করেই চলছে পানি সংগ্রহ। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর চিত্র একই রকম। এতে বাড়ছে বানভাসিদের স্বাস্থ্যঝুঁকি। টিউবওয়েল জীবাণুমুক্ত করে ব্যবহারের কথা থাকলেও বাস্তবে ঘটছে এর উল্টো। এজন্য জনসচেতনতার সৃষ্টির তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।

বন্যায় সিলেট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা। ঘরবাড়ির পাশাপাশি কয়েক লক্ষাধিক নলকূপ চলে যায় বন্যার পানির নিচে। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, সিলেট ও সুনামগঞ্জে সরকারিভাবে স্থাপিত টিউবওয়েলের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। বেসরকারিভাবে ব্যক্তি পর্যায়ে স্থাপিত নলকূপ এর সঙ্গে যুক্ত করলে এর সংখ্যা দাঁড়াবে কয়েকগুণ। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে নলকূপের সঠিক পরিসংখ্যানও নেই। তবে দুই জেলার ৯০ ভাগ এলাকার নলকূপ পানির নিচে চলে গিয়েছিল। সেসব নলকূপ জীবাণুমুক্ত না করেই পানি সংগ্রহ করে চলছে ব্যবহার। এতে গ্রামে গ্রামে বাড়ছে পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা।

গত জুনের মাঝামাঝি সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে সিলেট বিভাগের সবকটি জেলা বন্যাকবলিত হলেও দফায় দফায় শিকার হয় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার মানুষ। দুটি জেলায় বন্যায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এসব অঞ্চলে সুপেয় পানির তীব্র অভাব দেখা দেয়। ভারি বর্ষণ ও বন্যায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলোয় পানি ওঠায় সিলেট ও সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সিলেট নগরীর মানুষও পানি সংকটে পড়ে। আর বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর নলকূপ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় খাবারের পাশাপাশি সুপেয় পানির সংকট প্রকট হয়ে ওঠে। স্বেচ্ছাসেবী লোকজন ও সামাজিক সংগঠনগুলো ত্রাণের সঙ্গে সুপেয় পানি সরবরাহ করলেও তা ছিল একেবারেই অপ্রতুল। সরকারি ব্যবস্থাপনায় সুপেয় পানি সরবরাহও পর্যাপ্ত নয়। এরই মধ্যে নিজেদের বাড়ির আঙ্গিনার নলকূপ ভেসে উঠলে অনেকে সেখান থেকেই পানি সংগ্রহ করছেন।

অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়গুলো থেকে জানানো হয়, উপজেলা পর্যায়ে প্রকৌশলীদের ডুবে যাওয়া নলকূপ জীবাণুমুক্তকরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় পাঁচ সদস্যের একটি টিম কাজ করছে। তবে বাস্তবে এ কার্যক্রমের কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ফুড়ারপার গ্রামের আলিম উদ্দিন বলেন, বাড়ির আঙ্গিনার টিউবওয়েল ভেসে উঠেছে। এ টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করে তারা পান করছেন। তিনি বলেন, এত বিশুদ্ধ পানি পাব কোথায়? এজন্য নিজের টিউবওয়েলই ভরসা।

সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের জইনকার কান্দি গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট আমরা কখনো চোখে দেখিনি। তিনি বলেন, অনেকেই ত্রাণ দিচ্ছে কিন্তু পানি বিশুদ্ধ করে খেতে হবে এমন ট্যাবলেট দেয়নি। সরকারিভাবে কাউকে পাওয়া তো বহু দূর।

জনস্বাস্থ্যের সিলেট সদর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. লায়েছ মিয়া তালুকদার জানান, তারা সরকারি ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে বন্যার্তদের কাছে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করছেন। মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। একটি বেসরকারি এনজিওর সহযোগিতায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট পয়েন্টে পানি সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।

অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,  এখন পর্যন্ত সিলেট বিভাগের বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় ২৬ লাখ ৬ হাজার ৪০০ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১১ লাখ ৭৮ হাজার, সুনামগঞ্জে ১৩ লাখ, হবিগঞ্জে ১ লাখ ১ হাজার এবং মৌলভীবাজারে ৮৫ হাজার। ১৩টি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সরবরাহ করা হয়েছে। এর মাঝে সিলেট জেলায় পাঁচ ও সুনামগঞ্জে পাঁচটি রয়েছে। এছাড়া নগরীর জন্য একটি আরো দুটি রিজার্ভে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি মজুত রাখতে ১২ হাজার ১৫১টি জারিকেন বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৭ হাজার ৭১টি, সুনামগঞ্জে ৫ হাজার, হবিগঞ্জে ১১২ ও মৌলভীবাজারে ৮০টি।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেট জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সিলেট জেলায় ৩৫-৪০ হাজার ও  ব্যক্তিগতভাবেও কয়েক লক্ষাধিক নলকূপ থাকতে পারে। তিনি বলেন, চলমান বন্যায় ৮০ ভাগ নলকূপ পানিতে তলিয়ে যায়। কীভাবে ডুবে যাওয়া নলকূপ জীবাণুমুক্ত করতে হয় সে বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাদের অবহিত করা হচ্ছে। তারা সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন। তিনি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান।

সরকারিভাবে স্থাপিত টিউবওয়েলের তথ্য থাকলেও ব্যক্তিগত টিউবওয়েলে তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি উপজেলায় পাঁচজনের একটি টিম প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টিউবওয়েল জীবাণুমুক্তকরণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছে। জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করেই আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।

সিলেট বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, বন্যা-পরবর্তী দূষিত পানি পানের কারণে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তলিয়ে যাওয়া নলকূপ জেগে ওঠার পরপরই জীবাণুমুক্ত করে নেয়া উচিত। এরই মধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সচেতন না হলে আমাদের রোগবালাই দেখা দেবে। তিনি জানান, মেডিকেল টিম প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করছে। তাদের সাধারণ মানুষকে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারে সচেতন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


আরও খবর

আতশবাজির আলোতে ঝলমলে রাজধানী

রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩

রসগোল্লার জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর