আগের ম্যাচে ভারতের
কাছে হেরেছিল হংকং। তবে তাদের ভেতল ছিল লড়াই করতে চাওয়ার চেষ্টা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে
দেখা মিলল না তেমন কিছুরও। বড় হারে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে।
এশিয়া কাপের ম্যাচে
পাকিস্তানের কাছে ১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে হংকং। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত
২০ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে পাকিস্তান।
জবাব দিতে নেমে
১০ ওভার ৪ বলে অলআউট হয়ে গেছে হংকং। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৩ বলে ৮ রান করেন উদ্বোধনী
ব্যাটার নিজকাত খান। পাকিস্তানের পক্ষে ২ ওভার ৪ বল হাতে রেখে ৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন
শাদাব খান।
এর আগে হংকংয়ের
আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। এহসান খানের করা তৃতীয়
ওভারে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে যান অধিনায়ক বাবর আজম। ৮ বলে তার সংগ্রহ ৯ রান। ১৩ রানে
প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাবর এই নিয়ে টানা দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেন। ভারতের বিপক্ষে
প্রথম ম্যাচে তার সংগ্রহ ছিল মাত্র ১০ রান।
বাবর দ্রুত বিদায়
নিলেও রিজওয়ান ও ফখর জামান মিলে দারুণ এক জুটি গড়েন। ১১৬ রানের জুটি গড়ার পথে দুজনেই
পেয়ে যান ফিফটির দেখা। শুরুতে ধীরে ব্যাট করলেও ধীরে ধীরে হাত খুলতে থাকেন রিজওয়ান।
৪২ বলে তুলে নেন ফিফটি। এরপর ইয়াসিম মুর্তজার বলে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ
করেন ফখর। ৪৪ বলে ফিফটির দেখা পাওয়া ফখর থামেন ৫৩ রানে, এহসান খানের বলে আইজাজ খানের
হাতে ক্যাচ দিয়ে। তবে রিজওয়ান রানের চাকা থামতে দেননি। চারে নামা খুশদিল শাহ দারুণ
সঙ্গ দেন তাকে।
রিজওয়ান ও খুশদিল
মিলে ৬৪ রানের জুটি গড়েন। এর মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভারে আইজাজ খানের বলে ৪টি বিশাল ছক্কা
হাঁকান খুশদিল। ওই ওভারে তার ঝড়ে ২৯ রান আসে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৫ বলে ৫ ছক্কায় ৩৫
রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর রিজওয়ান ৫৭ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৭৮
রানে।
বল হাতে হংকংয়ের
এহসান খান ৪ ওভারে ২৮ রান খরচে নেন ২ উইকেট।