Logo
শিরোনাম

বড় যুদ্ধের শঙ্কায় দোলাচলে ইউরোপ

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ তীব্রতর হয়েছে। প্রায় ১১ মাসের যুদ্ধে প্রায় পাঁচ মাস পর সম্প্রতি নতুন শহর দখল করেছে তারা। পুরোমাত্রায় যুদ্ধ চলছে দনবাসের দোনেৎস্কে। এ প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনকে ব্যাপক আকারে অস্ত্র দেওয়া নিয়ে চলছে ব্যাপক উত্তেজনা।  জার্মানির রামস্টাইনে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটিতে শুরু হয়েছে বিশেষ বৈঠক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকটিতে ন্যাটোর ৩০ দেশসহ প্রায় ৫০টি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা অংশ নিয়েছেন।

ইউক্রেনের জন্য অস্ত্রের নতুন প্যাকেজ কী হতে পারে, বিশেষত ট্যাঙ্ক থাকবে কি না, তাই রামস্টাইন বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়। এদিক গতকাল ক্রেমলিন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধের ক্ষেত্রে পশ্চিমা ট্যাংক কোনো পার্থক্য গড়তে পারবে না। বরং এসব অস্ত্র দিলে তা ইউক্রেনের জন্যই সমস্যা হয়ে দাড়াবে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের আরও বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন জিততে পারে এমন বিষয়টি পশ্চিমাদের নাটকীয় বিভ্রম।  

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নিষেধাজ্ঞা, গোয়েন্দা তথ্য, কূটনৈতিক সহায়তা ও সহযোগিতার পাশাপাশি ইউক্রেনকে দফায় দফায় অস্ত্রসহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। কিন্তু কিয়েভ মনে করে, তা যথেষ্ট নয়। যুদ্ধে জয়ের জন্য তাদের দরকার ট্যাঙ্কের মতো ভারী অস্ত্র।

রামস্টাইনের বৈঠকের শুরুতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, অস্ত্র পেলে এই যুদ্ধে আমরা নিশ্চিত জিতব। তার জন্য দরকার ট্যাঙ্ক ও অন্য ভারী অস্ত্র। এসব সহায়তা জরুরিভিত্তিতে দরকার। মনে রাখতে হবে, সময় গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। তাই দেরি করা যাবে না। এ যুদ্ধে রাশিয়া পরাজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।

রামস্টাইনের বৈঠকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, রাশিয়া সেনাদের পুনর্বিন্যাস করছে। নতুন সেনা সংগ্রহ করছে। রণক্ষেত্রে নতুন অস্ত্র পাঠাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের গতি কমালে চলবে না। বরং এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হতে হবে। কিন্তু মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সরাসরি কোনো ট্যাঙ্ক দেওয়ার ঘোষণা দেননি বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের জন্য আরও ২৫০ কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ওয়াশিংটন কিয়েভকে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে। 

১১ দেশের নতুন সহায়তা: রামস্টাইন বৈঠকের আগে গত বৃহস্পতিবার এস্তোনিয়ায় বৈঠকে বসেন ন্যাটোভুক্ত ১১টি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। বৈঠকে ইউক্রেনের জন্য নতুন অস্ত্র প্যাকেজ ঘোষণা করে দেশগুলো। তাদের সহায়তা প্যাকেজে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, মেশিগান এবং সামরিক প্রশিক্ষণের ঘোষণা থাকলেও ট্যাঙ্কের কোনো কথা নেই। 

ট্যাঙ্ক নিয়ে দোলাচলের নেপথ্যে: যুদ্ধের শুরু থেকেই মিত্রদের থেকে ট্যাঙ্ক চাইছে ইউক্রেন। গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রামস্টাইনের বৈঠক থেকে ট্যাংক দেওয়ার সিদ্ধান্তের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।  ন্যাটো মিত্ররা মোটাদাগে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাবরামস, জার্মানি লিওপার্ড-২ ট্যাঙ্ক ব্যবহার করে। ন্যাটোর অস্ত্রভাণ্ডারে এখন পর্যন্ত এ দুটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ট্যাঙ্ক। ন্যাটোর মিত্ররা জার্মানির অনুমতি ছাড়া লিওপার্ড ইউক্রেন বা অন্য কোনো তৃতীয় দেশে সরবরাহ করতে পারবে না। জার্মানিসহ ইউরোপের কিছু দেশের ধারণা, ইউক্রেনকে লিওপার্ড বা এর মতো শক্তিশালী অস্ত্র দিলে রাশিয়ার সরাসরি প্রতিপক্ষে পরিণত হবে ন্যাটো। তখন আরও ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে। মূলত এ ধরনের বিপর্যয় এড়াতেই কিয়েভকে লিওপার্ড ট্যাঙ্কের মতোর ভারী অস্ত্র দিতে গড়িমসি করেছে বার্লিন। তা ছাড়া এ ধরনের অস্ত্র দেওয়ার পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে মস্কো।

রণক্ষেত্রের সর্বশেষ অবস্থা: বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্বদিকের দনবাস অঞ্চলের দোনেৎস্ক প্রশাসনিক ইউনিটে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। দোনেৎস্কের বাখমুত শহরের নিকটবর্তী ক্লিশচিভকা নামের একটি নগরী শুক্রবার দখলে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। এখই অঞ্চলে গত সপ্তাহে সোলেদার নামের আরেকটি ছোট কিন্তু খনিজ সম্পদসমৃদ্ধ শহর দখলে নেয় রাশিয়া। রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধার দল ওয়াগনার গ্রুপ ওই যুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে ওয়াগনার গ্রুপের প্রায় ৫০ হাজার সেনা যুদ্ধ করেছে বলে শুক্রবার দাবি করেছে যুক্তরাজ্য।  ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাখমুত দখলে নিতে পারলে পুরো দোনেৎস্ক রাশিয়ার করতলে চলে যাবে।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর