বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইনে মোট ৪ লাখ ৯৭ হাজার ২০০টি ক্লাসের আয়োজন করা হয়। এসব ক্লাসে দুই কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৪০৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন
আসন্ন অর্থবছরে (২০২১-২২) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৭১ হাজার ৯৫১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। টাকার হিসাবে বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে এবার ৫ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আসন্ন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ১২ জুন পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিক স্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আছে। করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ১৩ জুন থেকে স্কুল-কলেজ খোলার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। কিন্তু করোনার বিদ্যমান বাস্তবতায় ঘোষিত সময়ে খোলা যাবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে সরাসরি ক্লাস শুরু হবে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পর। ফলে এটি কবে হবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে এখন অনলাইন ও সরাসরি পরীক্ষা নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ রকম পরিস্থিতি বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বন্ধের সময়ে টিভি ও অনলাইনে ক্লাস নেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, করোনাকালে শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে অনলাইনে ২৯ লাখ ৯ হাজার ৮৪৪টি ক্লাসের আয়োজন করা হয়। মোট ২০ হাজার ৪৯৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫ হাজার ৬৭৬টি এবং ৪ হাজার ২৩৮টি কলেজের মধ্যে ৭০০টিতে অনলাইনে ক্লাস চালু করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইনে মোট ৪ লাখ ৯৭ হাজার ২০০টি ক্লাসের আয়োজন করা হয়। এসব ক্লাসে দুই কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৪০৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। বিদ্যালয় পর্যায়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার জন্য ৪১ হাজার ৫০১ জন শিক্ষার্থীকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করে আগামী অর্থবছরের জন্য বরাদ্দের তথ্য তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ২৬ হাজার ৩১১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়, যা চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) বরাদ্দ ছিল ২৪ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার জন্য ৩৬ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৩৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য ৯ হাজার ১৫৪ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বর্তমান অর্থবছরে বরাদ্দ করা হয় ৮ হাজার ৩৪৫ টাকা।