বরিশালে পৃথক অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় থানার দুই এসআই দুই জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা করেছেন। বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠান।
পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তারা দুজনেই বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত। এই ঘটনায় নাঈমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং হাসনাইনকে কারা কর্তৃপক্ষের জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হবে।
কারাগারে যাওয়া দুই আসামি হলেন- বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী নাইম হোসেন। তিনি মুলাদী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুস সত্তার হাওলাদারের ছেলে। অপরজন হলেন মুরাদ হোসেন। তিনি চট্টগ্রাম পটিয়ার ইদ্রিস চৌধুরীর ছেলে। গ্রেফতার কারারক্ষীর কাছে তিন ও মুরাদের কাছ থেকে ১৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
কারারক্ষীর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী এসআই সজল সাহা বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের দিনারপোলের জিরোপয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরার অভিযোগে নাইমকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর শরীরে তল্লাশি চালিয়ে তিন পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। ঘটনার পরপরই সেখানে নাইমের সঙ্গে দেখা করতে আসেন অপর কারারক্ষী হাসনাইন। তিনি জানান, ছুটি কাটিয়ে বাকেরগঞ্জের ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রাম থেকে ওই স্থানে এসেছেন নাইমের সঙ্গে দেখা করতে। এ ছাড়া তা আর কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। তার কাছে কিছুই পাওয়া যায়নি। পরে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে হাসনাইনকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং নাইমকে থানায় নিয়ে মামলা করা হয়েছে।
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘নাইমকে আজকের মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা দায়ের হবে। হাসনাইনের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুরাদের মামলার বাদী এসআই শামসুল হক বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের তালতলা গ্রামে নাসির দফাদারের বাড়ির সামনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে নেমে আসা মুরাদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হলে তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে ১৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।