Logo
শিরোনাম

ব্রিটেনের সহযোগিতা চাইলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

অতীতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েস্টমিনস্টার হল বা হাউস অব লর্ডস-এ বক্তব্য রেখে গিয়েছেন বহু রাষ্ট্রনেতা। তবে সোজা চেম্বারে প্রবেশ করে এমপিদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ এর আগে কেউ পাননি। যা দেওয়া হয়েছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত পড়শি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে।

ভিডিয়ো লিঙ্কের মাধ্যমে মঙ্গলবার এই সভায় যোগ দিয়েছিলেন জেলেনস্কি। শেক্সপিয়র থেকে শুরু করে চার্চিল এক এক করে ব্রিটেনের খ্যাতনামা ভূমিপুত্রদের লেখনী বা মন্তব্য ধার করে বোঝাতে চাইলেন প্রতিপক্ষ রাশিয়ার আগ্রাসনকে মাত দিতে ব্রিটেনের সহযোগিতা এখন ঠিক কতটা প্রয়োজন তাঁদের।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের অবস্থান ব্যক্ত করতে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু করে আকাশ, সব জায়গাতেই লড়বে ব্রিটেন। সেই সুরেই মঙ্গলবার জেলেনস্কি বলেন, জঙ্গল, মাঠ, সৈকত থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, রাশিয়ার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়ব। সমুদ্রে। আকাশে। আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে সব জায়গায় যুদ্ধ চালিয়ে যাব সে তার বদলে যা-ই খেসারত দিতে হোক না কেন।

ইউক্রেনীয় ভাষাতেই তাঁর বক্তব্য রাখেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। বিশেষ হেডফোনের মাধ্যমে যার ইংরেজি অনুবাদ শুনছিলেন এমপি-রা। এই বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য রাতারাতি ৫০০টি হেডফোনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল পার্লামেন্টে। অতিথিদের গ্যালারিটিও ছিল ভিড়ে ঠাসা। জেলেনস্কির বক্তব্য শোনাতে নিজের ছবছরের কন্যাকে নিয়ে এসেছিলেন এক এমপি। উপস্থিত ছিলেন ব্রিটেনে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতও।

টু বি অর নট টু বি শেক্সপিয়র রচিত নাটক হ্যামলেটের এই জনপ্রিয় লাইনটিও নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন জেলেনস্কি। তাঁর কথায়, আমাদের কাছে এখন প্রশ্ন হল, টু বি অর নট টু বি। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গত ১৩ দিনে এই প্রশ্নটি করা যেত, তবে এখন আমি এর চূড়ান্ত জবাব দিতে পারব। তা হল, অবশ্যই হ্যাঁ টু বি!

এর পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটেনের পরিস্থিতির সঙ্গে ইউক্রেনের তুলনা টানেন জেলেনস্কি। বলেন, আমাদের যা আছে তা আমরা হারাতে চাই না। ঠিক যেমন আপনারা নাৎজিদের কাছে নিজেদের দেশকে হারাতে চাননি। সঙ্গে গত ১৩ দিনে ইউক্রেনের উপর দিয়ে বয়ে চলা ঝড়ের বিবরণ দিয়ে চলেন জেলেনস্কি। এমপি-দের কাছে রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসাবে দেখার আর্জি জানান তিনি। দাবি জানান, ব্রিটেন যাতে আরও নিষেধাজ্ঞা চাপায় রাশিয়ার উপর, রুশদের জন্য যেন বন্ধ করা হয় ব্রিটেনের আকাশপথ। তাঁর মন্তব্য, আমরা সাহায্য চাইছি, আপনাদের মতো সভ্য দেশগুলির সাহায্য।

সকলের হৃদয়ে ধাক্কা দিয়েছে তাঁর বার্তা, জ়েলেনস্কির বক্তব্য শেষে হাউসের তরফে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে এ কথা জানান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বরিস বলেন, আমি জানি আমি গোটা হাউসের হয়েই এটা বলছি যে ব্রিটেন এবং তার সহযোগীরা প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করে ইউক্রেনকে তাদের ভূমি বাঁচানোর লক্ষ্য নিশ্চিত করার পক্ষেই।

বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টারমার তুলে ধরেন যে, জেলেনস্কি চাইলেই যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারতেন। তাঁর কাছে সেই সুযোগও ছিল। সকলে বিষয়টি বুঝতও। তবে তিনি তা করেননি। তিনি আরও বলেন, পুতিন বেশির ভাগ সময়েই যা চেয়েছেন, তা করিয়ে নিয়েছেন। তবে জ়েলেনস্কির দৃঢ়তা বিশ্বকে পুতিনের বিরুদ্ধে পাঞ্জা শক্ত করায় অনুপ্রাণিত করেছে। গোটা ইউক্রেনকে রুখে দাঁড়াতে অনুপ্রাণিত করেছেন তিনি। আর রাশিয়ার পরিকল্পনা পণ্ড করার দিকে পা বাড়িয়েছেন।

নেতাদের অভিবাদনেই থেমে থাকেনি জেলেনস্কি-স্তুতি। পশ্চিমি দেশগুলির নেতা বলেও তাঁকে উল্লেখ করতে শোনা যায় লেবার পার্টির এক এমপিকে। এমনকি সভার শেষ ভাগে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিবাদন জানায় গোটা হাউস।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর