Logo
শিরোনাম

বরযাত্রীর গাড়ি গাছের সঙ্গে ধাক্কায় আহত ৬

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মেহেরপুরে পথচারী শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বরযাত্রীবাহী গাড়ির ধাক্কা লেগে ছয়জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর শহরের দিঘিরপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- মেহেরপুর শহরের দিঘির পাড়ার খোরশেদ আলমের ছেলে ১৭ বছর বয়সী নাহিদ, একই এলাকার ৪০ বছরের আশিক, মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার এলাকার মীর মিলন হোসেনের ছেলে ৪৫ বছরের কুয়াশা ও হালদার পাড়ার বাবুলালের ছেলে ৩৫ বছরের সাজু। বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, মেহেরপুর শহরের হালদারপাড়া থেকে বরযাত্রী নিয়ে প্রাইভেটকারে ঈশ্বরদীর উদ্দেশে রওনা দেয়। মেহেরপুর শহরের দিঘিরপাড়া এলাকায় পথচারী শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাইভেটকারের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। এ সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চালকসহ সবাই আহত হন। পরে তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুয়াশা ও সাজুকে কুষ্টিয়ায় পাঠান চিকিৎসকরা।

নিউজ ট্যাগ: সড়ক দুর্ঘটনা

আরও খবর



১৫ বছরে ভুয়া কাগজে ব্যাংক লুট

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিগত ১৫ বছরে ঋণের জামানত হিসেবে জমি আর ফ্ল্যাটের ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ব্যাংক খাতে মহালুটপাট হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্রমতে, ব্যাংকে বন্ধক রাখা সম্পদ বিক্রি করেও খেলাপি ঋণের অর্থ আদায় করতে পারেনি অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক।

অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক আর ক্রেতা যোগসাজশে ঋণের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সম্পত্তি বন্ধক রেখে নেওয়া ঋণের অডিট প্রয়োজন। আর্থিক খাতের দুর্বৃত্তায়ন ঠেকাতে অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত। পাশাপাশি ব্যাংক খাতের সংস্কারও নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করেন অংশীজনেরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যমতে, খেলাপি ঋণ ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা ব্যাংকগুলোর বিতরণ হওয়া ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট বা বিআইবিএম ২০২৩ সালে ক্রেডিট অপারেশনস অব ব্যাংকস শীর্ষক গবেষণায় বলছে, গত বছরের জুন শেষে জমি বন্ধক রেখে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৯ লাখ ২০ হাজার ৯০৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বিশাল অঙ্কের এ ঋণের ৬৩ দশমিক ৬৮ শতাংশই জমি-ফ্ল্যাট-বাড়িসহ রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি বন্ধক রেখে নেওয়া হয়েছে। অতীতে এসব তথ্য একাধিকবার গণমাধ্যমে উঠে এলেও সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট-পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য মৌলিক সংস্কার দরকার। বড় বড় ব্যবসায়ীদের কোনো রিস্ক ফ্যাক্টর নেই। কিন্তু তাঁদের মধ্যে অনেকেই ইচ্ছাকৃত খেলাপি। এ ধরনের খেলাপি সংস্কৃতি দূর করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যাঁরা ভুয়া জামানত, একই জামানত একাধিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা বিরাট চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর এসব বিষয়ে কাজ হাতে নিয়েছেন। যদিও কাজটি অনেক কঠিন, তবে করা সম্ভব। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন- এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে যাঁরা ব্যাংকের অর্থ লুটপাট করেছেন, তাঁদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে। জড়িত গ্রাহক ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে ব্যাংক লুটেরাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। একটি দেশের ব্যাংক খাত এভাবে ধ্বংস হতে পারে না। সরকারের উচিত হবে অন্যায়কারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, যা দেখে ভবিষ্যতে কোনো অসাধু ব্যক্তি জনগণের গচ্ছিত আমানত ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ করতে না পারেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের ব্যাংক খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঋণের নামে অর্থ লুটপাটের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সংগতি রেখেই জমি বন্ধক রেখে ঋণ বিতরণ বেড়েছে। জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ বের করা অপেক্ষাকৃত সহজ। সরকারি খাসজমি, বিতর্কিত মালিকানার জমি বন্ধক রেখেও ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ বের করে নেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাংক কর্মকর্তারা সহযোগীর ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রভাবশালীদের বন্ধকি জমির মূল্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। এ কারণে জামানতের সম্পদ বিক্রি করে খেলাপি ঋণ আদায় সম্ভব হচ্ছে না।

বিআইবিএমের ওই গবেষণার তথ্য বলছে, জামানতের সম্পদ বিক্রি করে দেশের ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের মাত্র ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ আদায় করতে পারছে। সে অনুযায়ী, জামানত থাকার পরও অনাদায়ী থেকে যাচ্ছে ৮৭ শতাংশের বেশি খেলাপি ঋণ। জামানত বিক্রি করে অবলোপন করা ঋণ আদায়ের পরিস্থিতি আরও খারাপ। জামানতের সম্পদ বিক্রি করে ঋণ আদায় সম্ভব না হলেও ব্যাংকগুলো জমি-বাড়ি বন্ধক রেখে ঋণ বিতরণ বাড়িয়েছে। এক যুগ আগে ২০১০ সালে জমি বন্ধকের বিপরীতে বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪১ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা, যা ছিল ওই সময় বিতরণকৃত মোট ঋণের ৪৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

ওই গবেষণায় বলা হয়, দেশের ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে জামানতকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিলেও বন্ধকি সম্পত্তি বিক্রি করে খেলাপি ঋণ আদায় হচ্ছে না। ব্যাংকের কাছে বন্ধক থাকা সম্পদ বিক্রি করে মাত্র ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ খেলাপি ঋণ আদায় সম্ভব হয়েছে। আর ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে আদায়কৃত খেলাপি ঋণের হার ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আদায়-অযোগ্য হয়ে যাওয়া খেলাপি ঋণ অবলোপন করছে ব্যাংকগুলো। জামানতের সম্পদ বিক্রি করে অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের হার মাত্র ১০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে দেওয়া অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের হার মাত্র ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বলে প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরের জুন শেষে দেশের ব্যাংক খাতের ঋণের স্থিতির বিপরীতে রাখা গ্রাহকের জামানতের ৬৩ দশমিক ৬৮ শতাংশই ছিল স্থাবর সম্পত্তি। যদিও এক যুগ আগে ২০১০ সালে এ হার ছিল ৪৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এক যুগ ধরেই ঋণের বিপরীতে জমি বন্ধক রাখার প্রবণতা ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। দেশের ব্যাংক খাতের জামানতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ হলো ব্যাংক গ্যারান্টি। এ ছাড়া ব্যাংক জামানতের ৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ফাইন্যান্সিয়াল অবলিগেশনস, ৫ দশমিক ১২ শতাংশ রপ্তানি ডকুমেন্টস ও পণ্যদ্রব্য, ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ মেশিনারি যন্ত্রপাতি ও ফিক্সড্ অ্যাসেট, শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজসহ অন্যান্য সম্পত্তি ঋণের বিপরীতে জামানত রয়েছে। গত জুন শেষে ব্যাংক খাতের বিতরণকৃত ঋণের মোট স্থিতি ছিল ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭২ কোটি টাকা।

সূত্র জানান, দেশের ব্যাংক খাতের আলোচিত ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনাগুলোয় জামানতের স্থাবর সম্পত্তিকে অতিমূল্যায়িত করে দেখানোর বিষয়টি ধরা পড়েছে। হলমার্ক, ক্রিসেন্ট, বিসমিল্লাহ গ্রুপের জালিয়াতি ধরা পড়লেও এসব গ্রুপের জামানতের সম্পদ বিক্রি করে অর্থ আদায় সম্ভব হয়নি। দফায় দফায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেও ক্রেতা মেলেনি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত গ্রুপগুলোর জামানতের সম্পদের। ব্যাংক খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়া অন্য গ্রুপগুলোর জামানতের সম্পদের পরিস্থিতিও একই। সূত্র জানান, বিভিন্ন সময় রাজধানী ঢাকা ও পাশের বিভিন্ন এলাকার সরকারি খাসজমি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ বের করে নেওয়ার অসংখ্য ঘটনা সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামসহ সারা দেশেই বিতর্কিত ও সরকারি জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ বিতরণের ঘটনাও প্রকাশ হয়েছে। এসব প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, জামানত হিসেবে ব্যাংকগুলোর কাছে যে জমি বন্ধক আছে, তার বৃহৎ অংশই বিতর্কিত। নদী, নদীর চর, শিকস্তি (নদীতে ভেঙে যাওয়া) ভূমি, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমি ও বন, পাহাড়, রেলওয়েসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জমি ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখেছেন প্রভাবশালী গ্রাহকরা। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের জায়গা দখল করে অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছিলেন মিরপুরের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক রাজনীতিক। দখলকৃত ওইসব জায়গা বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকে জামানত দিয়ে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। সুদসহ সে ঋণ এখন সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। দখলকৃত জায়গা উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। যদিও উদ্ধারকৃত জায়গার বড় অংশই আবার ব্যাংকের কাছে জামানত রয়েছে।

সূত্র আরও জানান, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সহরটোক মৌজার পাঁচটি দাগের এক একরের বেশি জমি জামানত নিয়েছে দেশের বেসরকারি খাতের একটি ব্যাংক। এর বিপরীতে একটি নামসর্বস্ব আবাসন কোম্পানিকে ২৫০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। বন্ধকি সম্পত্তির পুরোটাই ব্রহ্মপুত্র নদের চালা ও শিকস্তি ভূমি। ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জ, দোহার, ডেমরা, সাভারসহ পাশের জেলাগুলোয় রয়েছে বিপুল পরিমাণ সরকারি খাসজমি। পাশাপাশি ওয়াক্ফ স্টেটেরও বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে এসব এলাকায়। অথচ সরকারি ও ওয়াক্ফকৃত এসব সম্পত্তির বড় অংশই বিভিন্ন ব্যাংকে জামানত দিয়েছেন প্রভাবশালী গ্রাহকরা। বিপরীতে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ব্যাংকগুলো। এ পরিস্থিতিতে বিতর্কিত জমি বন্ধক রেখে বিতরণকৃত ব্যাংক ঋণের কতটুকু ফিরে আসবে, তা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে।

সৌজন্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন

নিউজ ট্যাগ: ব্যাংক লুট

আরও খবর



ফের গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায় ফের লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কারখানার বিভিন্ন মেশিনের যন্ত্রাংশ লুট করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে দুর্বৃত্তদের। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ দুর্বৃত্ত কারখানায় প্রবেশ করে এ ঘটনা ঘটায়।

এর আগে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর প্রথম দফা লুটপাট ও আগুন লাগানো হয় এ কারখানায়। এরপর ২৫ আগস্ট সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী গ্রেপ্তারের পর দ্বিতীয় দফা লুটপাটের পর আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর আজ তৃতীয় দফা লুটপাটের পর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

রুপসী এলাকার বাসিন্দা জোনায়েদ আহমেদ বলেন, আগুনের ধোঁয়া দেখে দৌড়ে আসি। দেখি ৪০ থেকে ৫০ জনের মতো লোক লোহার জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। আমরা কয়েকজনকে ধরে বেঁধে রেখেছি।

সিকিউরিটি হাফিজুর রহমান বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারখানার পূর্ব পাশের কাঁটাতার ভেঙে বেশ কিছু লোক ঢুকে লোহার বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যায়। আমরা কয়েকজনকে ধরেছি।

 


আরও খবর



শেখ হাসিনার সঙ্গে হত্যা মামলার আসামি দিলীপ ও দোলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৯০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ধানমন্ডি এলাকায় শুভ নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান দোলনসহ ১৩৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে ভিকটিমের মা রেনু মামলাটি করেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু, সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন, অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল, নূর আলম সিদ্দিকীর ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান দোলন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই ধানমন্ডি থানাধীন ৩ নম্বর রোডে গুলিবিদ্ধ হন শুভ। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।


আরও খবর



মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে হরিলুট

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | ৮৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম কক্সবাজারের মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ঘিরে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে যেন হরিলুট হচ্ছে।  একের পর এক সামনে আসছে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি ঘিরে দুর্নীতি খবর। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কয়লা আমদানিতে তিন বছরেই ৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা নেয় প্রকল্পে জড়িত দুর্নীতিবাজ শীর্ষ কর্মকর্তারা। কিছুদিন আগেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে  মাতারবাড়ীতে ১৭৭০ কোটি টাকার দুর্নীতি শিরোনামে  একটি খবর প্রকাশিত হয়। এর কয়দিন পরেই আবার ১৫ কোটি টাকার তার পাচারের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ পালাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কালাম আজাদ।

বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল করিম খানকে গত ২৯ আগস্ট একটি আন্তর্জাতিক কনসোটিয়াম মাতারবাড়ি প্রকল্পে সিজিপিসিবিএল কর্তৃপক্ষকে অনিয়ম ও দুর্নীতি উল্লেখ করে চিঠি প্রদান করা হয়।  চিঠিতে উল্লেখ করা হয়-সিজিপিসিবিএল মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টে ৩ বছর ব্যাপী ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। কয়লা আমদানির ও সরবরাহের অভিজ্ঞতা উল্লেখ থাকলেও কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্ট কনসোর্টিয়ামকে বেআইনি সুবিধা দেয়ার উদ্দেশ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া ১০ মাস ধরে দেরি করা হয়। জানা যায়, পরপর চারবার সংশোধনীর মাধ্যমে "কয়লা আমদানীর এবং সরবরাহের অভিজ্ঞতার" শর্তটি পরিবর্তন/পরিবর্ধন  করে কয়লার পরিবর্তে লোহা, সার, কেমিক্যাল, সিমেন্ট, খাদ্য শস্য আমদানীর অভিজ্ঞতা" কে যোগ্যতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দরপত্রে অনিয়মের প্রেক্ষিতে একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করে মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্ট। সুপ্রিম কোর্টে গতকাল এই শুনানি শুরু হয়েছে। পরবর্তী শুনানি হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষ এই শুনানিতে অংশ নেয়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।

প্রতিনিধি জানান,  কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রায় ১৫কোটি টাকার বৈদ্যুতিক তার পাচারকালে সাতজনকে আটক করেছে নৌবাহিনী। গত শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এর আগে গতকাল সকালে অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যান বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কালাম আজাদসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এরপর গতকাল ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে পালানোর সময় ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমডি আবুল কালাম আজাদকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে একটি প্রভাবশালী চক্র বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক তার পাচারের প্রস্তুতি নিয়েছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে মহেশখালীতে দায়িত্বরত নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ সাকিব আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম গতকাল শনিবার বিকেলে বিদ্যুৎকেন্দ্রে অভিযান শুরু করে। বিকেল থেকে রাতভর অভিযান চালিয়ে নৌবাহিনীর সদস্যরা বিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন বন্দরের ৪ নম্বর জেটিঘাট থেকে ১৫ কোটি টাকার বৈদ্যুতিক তার জব্দ করে। এসব বৈদ্যুতিক তার একটি বার্জ জাহাজে করে চারটি কন্টেইনার ভর্তি করে চট্টগ্রামে পাচার করছিল। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে নৌবাহিনী সাতজনকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, নৌবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এসব বৈদ্যুতিক তার চট্টগ্রামের বেসরকারি কোম্পানি ইকবাল মেরিনে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানিয়েছেন, এই তার পাচারে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ও এমডি আবুল কালাম আজাদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম এবং প্রকল্পের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলফাজ হোসেনও জড়িত।

এরই মধ্যে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানির দরপত্র প্রক্রিয়ায় অভিযোগ ওঠার পর বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লা থেকে উৎপাদিত ড্রাই অ্যাশ (পোড়ানো ছাই) বিক্রির দরপত্রেও বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সিপিজিসিবিএল-এর বিরুদ্ধে। কয়লার ড্রাই অ্যাশ বিক্রিতে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কাজ দেওয়ার কথা থাকলেও সর্বনিম্ন দরদাতাকে দরপত্র পাইয়ে দিতে কিছু অসাধু কর্মকর্তা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে প্রকল্পসূত্রে জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে একের পর এক দুর্নীতির খবর সামনে আসায় সিপিজিসিবিএল এমডি আবদুল কালাম আজাদ, নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (ডিজাইন) কামরুল ইসলাম, সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলফাজ উদ্দিন ও ডিজিএম (ডেপুটেশন) মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আমাদের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে গত ২২ আগস্ট উঠে আসে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিপিজিসিবিএলের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকার ভয়াবহ দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এতে দেখা যায়, অবৈধভাবে ১৬টি কাজে ১০৬ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার ভেরিয়েশন প্রদান, প্রকল্পের টাউনশিপ এলাকায় বালু ভরাটের নামে ৬৮ কোটি টাকা,  বিটুমিন বা পিচের সড়ক না করে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ করে ২৫৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, সিপিজিসিবিএলের নিজস্ব স্ক্র্যাপ বিনা নিলামে বিক্রির মাধ্যমে ৫৩ কোটি টাকা, ইনস্টিউশনাল ডেভেলপমেন্টের নামে ১২ কোটি টাকা, প্রকল্পের ঠিকাদারের লেফটওভার ম্যাটেরিয়াল বিক্রির মাধ্যমে ২৬ কোটি টাকা ছাড়াও বিভিন্ন মূল্যবান মালামালের কান্ট্রি অব অরিজিন পরিবর্তন করে এবং প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে প্রকল্পে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করা হয়।


আরও খবর



সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলোর স্বায়ত্তশাসন দাবি সম্পাদকদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলোর স্বায়ত্তশাসন দাবি করেছেন দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকগণ। আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এক বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন সম্পাদকেরা। এ সময় সাংবাদিকতাবিরোধী সব কালাকানুন বাতিলের দাবি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যেভাবে মামলা করা হচ্ছে, তা বন্ধের দাবিও করা হয়েছে। ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, বিটিভি, বিএসএস এবং রেডিও, যেগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে সেগুলোকে স্বায়ত্ত শাসন দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। তারা যেন পেশাগতভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সারাবিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা উৎসুক বাংলাদেশকে সহায়তা করতে।

দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক বলেন, আমরা কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আশা করছি। সেই সংস্কারের মধ্যে সংবিধান পরিবর্তন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করা, বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলো, এন্টি করাপশন কমিশন, হিউম্যান রাইটস কমিশন, নির্বাচন কমিশন এগুলোকে সংস্কার করা। সত্যিকার অর্থে গণমুখী সংস্থা আমরা চাই। নির্বাচন কমিশন যাতে ভবিষ্যতে ভোটারদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটান, এরকম একটা সংস্থা চাই। আমরা এমন দুর্নীতি দমন কমিশন, তারা যেন স্বাধীন ভাবে দেশের দুর্নীতি দমন করতে পারে।

সাংবাদিকতাবিরোধী সব কালাকানুন বাতিলের দাবি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, সাইবার সিকিউরিটি আইনের মধ্যে সাংবাদিক নিপীড়নের যে অধ্যায়গুলো আছে সেগুলো কার্যত হবে না। এমনটা যাতে ঘোষণা করা হয়। এটা সংস্কারের জন্য ওনারা সময় নিয়ে করতে পারেন। তিনি সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন সাংবাদিকতা বিশ্বাস করেন। আমাদেরকে যে বিশেষ আবেদন করেছেন, আমরা যেন আমাদের লেখনীর মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। এ সরকারের ভুল ত্রুটি সোচ্চার ভাবে, নির্দ্বিধায় সেটা যেন কাগজে ছাপি। এই সরকারকে সাহায্য করি।

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সত্যিকার অর্থে মিডিয়ার স্বাধীনতা বিশ্বাস করেন। মিডিয়াবান্ধব যদি কোনো সরকারপ্রধান আমরা পেয়ে থাকি, তাহলে আমরা এখন পেয়েছি। আমরা এর জন্য অত্যন্ত আনন্দিত।

সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা যদি মনে করেন যে, একটা গ্রুপ করে দেওয়া বা একটা বিশেষ কমিটি করে দিয়ে সব ধরনের আইনের যে পরিবর্তন করা হয়। আমারও সংবিধান সংস্কার চাই। আমরা গণতান্ত্রিক রিফর্ম চাই।

সাংবাদিকদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে এগুলো তার সরকারের কোনো পলিসিগত কিছু না।

মাহফুজ আনাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন থাকবে সেটা সম্পাদকদের কাছে জিজ্ঞেস করেছেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। সে বিষয়ে অনেকের মতামত দিয়েছেন। তবে এই সরকারের মূল অ্যাজেন্ডা কী? সেটার অনুপাতে সময়। ২,৩, ৫বছর, ওনার নিজস্ব কোনো চিন্তা নেই। জাতি কী চায়? জনতা কী চিন্তা করছেন? সেটা তিনি জানতে চান৷ তিনি মিডিয়াকে আহ্বান করেছেন। আমরা যেন জনগণের কথা লিখি।


আরও খবর

শহীদি মার্চে লাখো ছাত্র-জনতার ঢল

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪