Logo
শিরোনাম

বস্তায় রাখেন ঘুষের টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২২ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১৪০৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নাম আব্দুর রব। তিনি জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের একজন পরিদর্শক। বর্তমান কর্মস্থল সিলেট। তবে প্রেষণে আছেন ঢাকায়। ১৯৯৪ সালে তিনি উচ্চমান টিএ (টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট) পদে চাকরিতে যোগদান করেন। তখন তার সর্বসাকুল্যে মাসিক বেতন ছিল প্রায় ১৬শ টাকা। দুই দফায় পদোন্নতি পেয়ে এখন তিনি গুরুত্বপূর্ণ এই পরিদপ্তরের পরিদর্শক। বর্তমান পদে তার মূল বেতন ৩৮ হাজার ৮৯০ টাকা।

বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতাসহ এখন সর্বসাকুল্যে পাচ্ছেন ৫৬ হাজার ৩৯০ টাকা। চাকরির শুরু থেকে গত জুলাই পর্যন্ত চিকিৎসা ও বাড়িভাড়াসহ মোট বেতনভাতা পেয়েছেন প্রায় ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ভবিষ্যতহবিল, কল্যাণ তহবিল ও যৌথ বিমায় কেটে নেওয়া হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টাকা। এসব বাদ দিয়ে তার নিট বেতন উত্তোলন ৫৭ লাখ টাকার কিছু বেশি। অথচ দুর্নীতি দমন কমিশন শুধু দলিলমূল্যেই এই কর্মকর্তার সম্পদ পেয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকার। যদিও বেনামি সম্পদ যুক্ত করলে অন্তত শতকোটি টাকার মালিক তিনি। তার ঘুসের পরিমাণ এতই বেশি যে, বস্তায় ভরে সেই টাকা রাখতে হয় তাকে।

অপর দিকে দুদকের হিসাবের তালিকায় ঢাকার কল্যাণপুরে সাড়ে তিন কাঠা জমির ওপর ৮তলা বাড়িও আছে এই টাকার কুমিরের। এত সম্পদ করার পরও ২০১৯ সাল পর্যন্ত তার সোনালী ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে (৪৪৩২১৩৪০৪১১৪৫) জমা আছে ৩৫ লাখ ৫৩ হাজার ১৬৮ টাকা। এছাড়া শুধু রাজবাড়ী এবং একই জেলার পাংশা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তিনি ৫১টি দলিলে কোটি কোটি টাকার জমি কিনেছেন। 

তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েস এই আব্দুর রবের সব সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, কোনোমতেই এই সম্পদ হস্তান্তর বা বিনিময় করা যাবে না।

ব্যাংকের অবরুদ্ধ হিসাবে টাকা জমা হবে। কিন্তু উত্তোলন করা যাবে না। মিরপুরে বাড়ি ছাড়াও ৫১টি পৃথক দলিলে কেনা সম্পত্তি ক্রোকপূর্বক পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশও দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতের আদেশের বিষয়টি বাস্তবায়ন করেন আব্দুর রবের দুদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিক। তিনি দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক। অভিযুক্ত আব্দুর রবের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার গানবুথুনদিয়া গ্রামে।

আয়-ব্যয়ে ভয়াবহ অসংগতি : সাবরেজিস্ট্রি অফিসে কাজ করেন এমন একজন দলিল লেখকের সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, বাস্তবে বেশির ভাগ স্থানে দলিল মূল্যের কয়েক গুণ বেশি দরে জমি কেনাবেচা হয়। সরকার মৌজাভিত্তিক নির্ধারিত রেজিস্ট্রি ফি নির্ধারণ করে দিলেও অনেক স্থানে সরকারি দরের থেকে জমির মূল্য কয়েক গুণ বেশি। যেমন ঢাকা শহরে এখনো সরকারি হিসাবে যেসব ফ্ল্যাটের মূল্য ৫০ লাখ টাকা, বাস্তবে তার দাম কমপক্ষে দেড় কোটি টাকা। এজন্য ক্রেতারা লাভবান হন। ক্রেতাদের কালো টাকা এখানে ঢুকে জায়েজ হয়ে যায়। আব্দুর রবও এ সুযোগ নিয়েছেন। তথ্যানুসন্ধানে পাওয়া জমির রেকর্ডপত্রে দেখা গেছে, ১৯৯৯ সালে রাজবাড়ীর বামুন্দিয়া মৌজায় ৪ জনে মিলে প্রথম ১৮ শতক জমি কেনেন। ওই বছরের ৭ এপ্রিল পাংশা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে সম্পাদিত ২৬৫৩নং দলিলে আব্দুর রবের অংশ কিনতে লেগেছে মাত্র ২ হাজার টাকা। ওইদিনই ২ হাজার টাকায় একই মৌজায় ২৬৫২নং দলিলে আরও ৫ শতক জমি কিনেন তার নিজ নামে। ওই বছর ৪ আগস্ট ২৬২৮নং দলিলে একই মৌজায় ৮ হাজার টাকায় কিনেছেন ১১ শতক জমি। তখন তিনি বেতন পেতেন ২ হাজারের একটু বেশি। এই হিসাবে তিনি ওই বছর বেতন পান প্রায় ২৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে শুধু জমি কিনতেই ব্যয় করেছেন সাড়ে ১২ হাজার টাকা। এটি অবশ্য দলিলমূল্য। নিশ্চয়ই বাস্তব দাম আরও বেশি।

ঢাকায় বাড়ি : মিরপুরের বড় সায়েক মৌজায় ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের নকশায় কল্যাণপুর ২নং প্রজেক্টের বি-১৬ প্লটটির মালিকও আব্দুর রব। ২০১৩ সালের ১০ মার্চ ১ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকায় মিরপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে প্লটটি রেজিস্ট্রি হয়। দলিল নং ২৫৮৬। ওই প্লটে ৮ তলা ভবনও বানিয়েছেন তিনি। এই ভবন নির্মাণে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ের একটি প্রাথমিক খরচও পাওয়া গেছে।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান : দুদক আব্দুর রবের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে। মাত্র তিন মাসের অনুসন্ধানে তার অবৈধ সম্পদের ভয়াবহ চিত্র ফুটে ওঠে। ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর তার স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ চেয়ে মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. আবুবকর। ওই আবেদনের এক স্থানে তিনি বলেন, বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুর রব শুধু ঢাকা মহানগর এলাকায়ই ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৩৮ হাজার ৩৬৬ টাকার স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত এবং জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে উৎসবহির্ভূত সম্পত্তি। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এবং ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে। এই সম্পত্তি ক্রোক করা না হলে অনুসন্ধান নিষ্পত্তির আগেই হস্তান্তর বা বেহাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি বিচার কাজে তা বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এই আবেদনের বিষয়টি আমলে নিয়ে শুনানি শেষে আব্দুর রবের সব সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

গত বছরের ৮ জানুয়ারি অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. আবুবকর একই আদালতে আরেকটি আবেদন করেন। এই আবেদনে তিনি বলেন, আব্দুর রবের বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণ করে বিস্ফোরক আমদানি ও পরিবহণের লাইসেন্স দেওয়া, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে মাসোহারা আদায় করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অনুসন্ধানকালে তার নিজ নামে রাজবাড়ী, পাংশা ও বালিয়াকান্দিতে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৮৫ হাজার ২৫০ টাকার স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করেছেন। ওই আবেদনে ৫১টি দলিলে প্রকাশিত তথ্য উপস্থাপন করে ক্রোকাদেশ চাওয়া হয়। বিচারক এই আবেদনটি গ্রহণ করে স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করে দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালকের কছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এসব সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার রেজিস্ট্রার ও সাবরেজিস্ট্রারদের অবহিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।


দুদকেই সর্বনাশ : তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, আব্দুর রবকে সামনে রেখে বিস্ফোরক পরিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই পরিদপ্তর থেকে সারা দেশে সিএনজি, এলপিজি ও পেট্রোল পাম্প ছাড়াও জাহাজ কারখানা, গার্মেন্টস, কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি, অক্সিজেন সিলিন্ডার, গ্যাস সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিস্ফোরক পরিদপ্তর সনদ দেওয়া হয়। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই সুযোগে সেবাপ্রত্যাশী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মানুষকে জিম্মি করে অনেকটা নীরবেই কোটি কোটি টাকা ঘুস আদায় করা হয়। ঘুস ছাড়া এখানে কোনো কাজ হয় না। আবার সনদ পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না করেই অবৈধ উপায়ে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক সনদ নিয়েছেন। এ কারণে অগ্নিকাণ্ডসহ নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনাকারীরা আব্দুর রবের মতো কর্মকর্তাদের মাসোহারাও দিয়ে থাকেন। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সাবেক প্রধান পরিদর্শক সামসুল আলমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এই ১৬ জনের মধ্যে ৭ নম্বরেই আছে আব্দুর রবের নাম। তবে বিস্ময়কর বিষয় হলো-অনুসন্ধান কাজ শেষ করে ১৭ জুন এ সংক্রান্ত ফাইল নথিজাত করা হয়। দুদকের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক গোপনীয় চিঠিতে আলোচ্য ১৬ জনের বিষয়ে বলা হয়, বর্ণিত অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রমাণিত না হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তা পরিসমাপ্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুর রবের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, কিছু অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এছাড়া আরও কিছু বিষয় নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

সরল স্বীকারোক্তি : এক সাক্ষাৎকারে অভিযুক্ত বিস্ফোরক কর্মকর্তা আব্দুর রব তার বিরুদ্ধে আনীত ঘুস, দুর্নীতি ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অনেক কিছু অকপটে স্বীকার 


আরও খবর

রাজধানীর ৯০ ভাগ হিজড়াই নকল

শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর