বাংলাদেশ প্রকৌশল
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে
রোববার (২৮ নভেম্বর)। এদিন দুপুর ১২টায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক
আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের
দুই বছর এক মাস ২২ দিনের মাথায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে এই রায়। রাষ্ট্রপক্ষ ও আবরারের পরিবার
আশা করছে সকল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) নিহতের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘পুরো দেশবাসীর মতো আমাদেরও চাওয়া সকল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে এবং দ্রুত তা কার্যকর করা হবে।
এই আদালতের স্পেশাল
পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, এই মামলায় চার্জশিটে ২৫ জন আসামি এবং
৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছি। করোনা পরিস্থিতিসহ নানা প্রতিকূলতার পরও আমরা ৪৬ জন সাক্ষীকে
আদালতে উপস্থাপনের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করতে পেরেছি। আশা করছি রায়ে
সকল আসামির সর্বোচ্চ সাজা হবে।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা
বলছেন, এই মামলায় ফরমায়েশি তদন্ত করা হয়েছে। এমন অনেককে আসামি করা হয়েছে যাদের হত্যাকাণ্ডে
কোনো ভূমিকা ছিল না। শুধু একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে এর ওপর ভিত্তি করেই অনেককে
এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।
আসামিপক্ষের অন্যতম
আইনজীবী আমিনুল গনি টিটো বলেন, এই আদালতে রায় যাই হোক আমরা উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার
পাব বলে বিশ্বাস করি।
এই মামলার আট
আসামি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা
হলেন- ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, অনিক সরকার, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদি
হাসান রবিন, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মনিরুজ্জামান মনির ও এএসএম নাজমুস সাদাত।
বিচার শুরুর প্রাক্কালে মোর্শেদ অমত্য ইসলাম নামে পলাতক এক আসামি পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান। তাই এখন পলাতক রয়েছেন আর তিন আসামি। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এর মধ্যে মোস্তবা রাফিদের নাম এজাহারে ছিল না।