Logo
শিরোনাম

বয়কটের ডাকে ক্ষতিগ্রস্ত বলিউড

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

লম্বা দাড়ি, চোখে সুরমা, মুখে খলনায়কের হাসিওম রাউত পরিচালিত আদিপুরুষ সিনেমার টিজারে এমনই দেখা গেল রাবণরূপী সাইফ আলী খানকে। রামায়ণ অবলম্বনে নির্মিত এ সিনেমায় ঠিক কী কারণে রাবণের এ রূপ তা ওম জানাননি। কিন্তু টুইটারে দেখা যাচ্ছে দর্শকরা বিষয়টি লক্ষ করে প্রশ্ন তুলেছেন, রাবণ দেখতে মুসলিমদের মতো কেন হবে? এমনকি হনুমান বা লক্ষ্মণের লুকও রামায়ণের সনাতনী ধারার মতো না। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হিন্দুরাই। আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে ঘৃণা। কয়েক বছর ধরে বিজেপির তৈরি করা জাতীয়তাবাদ, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বলিউডের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার এটি আরেকটি উদাহরণ। এমন উদাহরণ আছে আরো।

চলতি বছরের আগস্টে মুক্তি পায় ফরেস্ট গাম্পের হিন্দি রিমেক লাল সিং চাড্ডা। সিনেমাটি মুক্তির এক সপ্তাহ পরে ২ লাখ ৮০ হাজার ফলোয়ারের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয়। হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইটে লেখা ছিল, উর্দুউড ছড়িয়ে পড়ছে। যারা দেশবিরোধী, হিন্দু বিরোধিতাকে সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করার জন্য এই শব্দটি গ্রহণ করেছেন, তাদের ধন্যবাদ। এখানে আপনাকে ধ্বংস করার জন্য আপনার টাকাই নেয়া হয়। টুইটটি ১ হাজার ৭০০ বারেরও বেশি রিটুইট হয়, লাইক আসে ৫ হাজার ৮০০টি। যারা উর্দুউড শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নয়, তাদের জন্য বলে রাখা ভালো, এটি অতিডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচকভাবে জনপ্রিয় শব্দ। বৃহত্তর অর্থে ভারতীয় হলেও পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু। ফলে এটি মুসলিমদের সঙ্গে সম্পৃক্ত, পাশাপাশি সিনেমাজগেক হিন্দুফোবিক বলে অভিযোগ তুলতে ব্যবহার করা হচ্ছে শব্দটি। বহু বছর ধরেই বলিউড একটি ব্র্যান্ড। ভারতীয়দের পাশাপাশি বহির্বিশ্বেও বলিউডের সিনেমার রয়েছে বিস্তৃত বাজার। সম্প্রতি ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির অধীনে হিন্দু জাতীয়তাবাদকে বেশি শক্তিশালী করে তোলার প্রচেষ্টার জন্য একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন করছে দলটি। সে উদ্দেশ্যে প্রভাবিত করা হচ্ছে বলিউডকেও। আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেনি বহু সিনেমা।

সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাও করেছেন আমির খান। সিনেমাটি মুক্তির আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর বয়কট চেয়ে দাবির ঢেউ ওঠে। ২০১৫ সালে ভারতে অসহনশীলতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। সে সময়ে আমির খানের করা একটি মন্তব্য পুনরায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে পিকে সিনেমার কিছু দৃশ্যও ছড়িয়ে পড়ে সবার হাতে হাতে (যেখানে অন্ধ বিশ্বাসের প্রবল সমালোচনা করা হয়)। এ দুটি মিলিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিছু টুইট ছড়াতে দেখা যায় ইন্টারনেট দুনিয়ায়। বক্স অফিসে লাল সিং চাড্ডা মুখ থুবড়ে পড়ে। কেননা এর পরও বয়কটের আহ্বান থেমে যায়নি। বিক্রম ভেদা, দোবারা, শমসেরা, ব্রহ্মাস্ত্রও বয়কটের মুখে পড়ার তালিকায় রয়েছে।

বিজেপির প্রপাগান্ডা ও হিন্দুত্ববাদ ছড়ানো ইত্যাদি বিষয়ের বিরুদ্ধে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী সরব। অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করের মতে, বলিউড এমন একটি ইন্ডাস্ট্রি, যেখানে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব ও সাফল্য রয়েছে। সেটাই মূলত হিন্দুপন্থীদের বিরক্ত করছে। স্বরা নিজেও বারবার ডানপন্থীদের ক্রোধের মুখে পড়েছেন, এমনকি পেয়েছেন হত্যার হুমকিও। তার মতো আরো অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী ক্রমাগত হুমকি পেয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন সিনেমা ও স্ট্রিমিং সিরিজের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ট্রলিং হতেও দেখা যাচ্ছে অনেক সময়। যেমনটি দেখা গিয়েছিল থাপ্পড়, এ সুইটেবল বয় বা বম্বে বেগমের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে শেষের দুটিতে দুই ধর্মের মানুষের রোমান্টিকতা দেখানোয় তা ক্ষোভের মুখে পড়ে। আবার ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রাজনীতিবিদ বিশেষ করে নেতা ও সংসদ সদস্যরা বলিউডের ইকোসিস্টেমকে আরো বেশি বিশ্লেষণ ও ভেঙে ফেলার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। কেউ কেউ তো অভিযোগ তুলছেন আমির খান অর্থ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত এবং লাল সিং চাড্ডা সন্ত্রাসবাদকে মহিমান্বিত করে।

স্ক্রিনরাইটার হুসেইন হায়দরী মনে করেন, এসব প্রচারণা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে মুসলিমবিরোধী অনুভূতিকে ও হিন্দু নিপীড়ন কমপ্লেক্সকে পূর্ণ করে তুলেছে। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর জয়জিৎ পাল ও গবেষক শেরিল আগারওয়ালের একটি গবেষণা বলছে, হ্যাশট্যাগে বয়কট বলিউড দিয়ে যেসব টুইট ছড়িয়ে পড়ছে সেগুলো খুবই পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে। বেশকিছু অজ্ঞাত অ্যাকাউন্ট এসব ঘৃণা, ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে এবং তারাই দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাগুলোকে আরো বেশি ঐতিহ্যবাহী হিসেবে প্রকাশ করছে। আর বলিউডের সিনেমাগুলোকে অধঃপতিতসাংস্কৃতিকভাবে নির্লিপ্ত হিসেবেও উল্লেখ করা হয় এসব টুইটে। ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৯০টি অ্যাকাউন্ট থেকে বলিউডবিরোধী বার্তা ছড়ানো হয়, তার মধ্যে ১২ হাজার ৮৮৯টি অ্যাকাউন্টের কোনো ফলোয়ার নেই। এসব অ্যাকাউন্টের বেশির ভাগই গত বছর খোলা এবং সংঘবদ্ধ আচরণ লক্ষ করা গিয়েছে। তবে এ বয়কটের চল ঠিক কতটা কার্যকর হয়েছে তা পরিষ্কার বোঝা যায়নি। ২০২২ সালে এখন পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া ২৬টি সিনেমার মধ্যে ২০টিই (৭৭ শতাংশ) ফ্লপ হয়েছে। এসব সিনেমায় বিনিয়োগের অর্ধেক বা তারও বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বক্স অফিস সংগ্রহের পেছনে কভিড-পরবর্তী সময়ে দর্শকদের অনিচ্ছার চিত্র দেখেন, এ সময়ে ভারতীয়রা স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে বাড়তি আয় নিয়ে গিয়েছেন।

সিনেমা সমালোচক ও বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শ জানান, চলচ্চিত্র প্রদর্শকরা মনে করেন, লাল সিং চাড্ডার ওপর বয়কট প্রচারণার বেশ প্রভাব পড়েছে। কিন্তু তিনি অন্যান্য বিষয় নিয়েও বেশ হতাশা প্রকাশ করেছেন। তার মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত লকডাউনের সময়ে বিভিন্ন অনলাইন স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম বেড়ে ওঠা একটি কারণ। এর কারণে হলে বসে টাকা দিয়ে সিনেমা দেখার প্রবণতা অনেক কমে গিয়েছে। তাই এখন বড় পর্দার এন্টারটেইনারদের উচিত দর্শকদের আবার সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করা।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর