
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে মো. সালাউদ্দিন (৩০) নামে এক যুবককে পেটালেন সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) খলিল।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ওই ইউনিয়নের পাংখার বাজার জিরো পয়েন্ট এলাকার জামালের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
সালাউদ্দিন চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম চরবাগ্যা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
আহত সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ব্যক্তিগত কাজে স্থানীয় পাংখার বাজারে যাই। সে সময় চরজুবলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মধ্যম বাগ্যার সাবেক মেম্বার খলিল ও তার সহযোগী আজগর, জামালসহ কয়েকজন আমাকে ডেকে নিয়ে যায় জামালের দোকানে। সেখানে আমাকে পিটিয়ে মাথায় ও হাতে গুরুতর জখম করে আহত করা হয়। এ অবস্থায় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। আমি বর্তমানে সুবর্ণচর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে চরজুবলী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মনজুর আলম বলেন, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনের জের ধরেই সালাউদ্দিনকে হামলা করে আহত করা হয় বলে আমরা জেনেছি।
হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য খলিল বলেন, নির্বাচন শেষ হয়েছে অনেক আগে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছে। আমি হেরে গেছি, তাতে কোনো অভিযোগ নেই। তবে নির্বাচনের পর থেকে সালাউদ্দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাকে নিয়ে নানা ধরনের উসকানিমূলক পোস্ট দিচ্ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় আমি তাকে জামালের দোকানে ডেকে নিয়ে প্রথমে চা খাওয়াই। পরে তাকে ফেসবুকে লেখালেখির কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এতে আমি রেগে গিয়ে সালাউদ্দিনের শার্টের কলার ধরে একটি থাপ্পড় দেই। তবে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন, এমন অভিযোগ সত্য নয়। আহতের নাটক করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সালাউদ্দিন।
এ বিষয়ে চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক জানান, কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।