কল্পনার সেই চাঁদের দেশেই জমি কিনে বসলেন বাংলাদেশি দুই তরুণ শিক্ষার্থী। সম্প্রতি চাঁদের জমি বিক্রি করা মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’ থেকে এক একর জমি কিনেছেন দুই বন্ধু এস এম শাহিন আলম ও শেখ শাকিল হোসেন। মাত্র ৫৫ ডলার দিয়ে জমি কেনার দাবি তাদের। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সেই জমির দলিলও পেয়েছেন। চাঁদের ম্যাপেও উল্লেখ রয়েছে কোথায় তাদের জমি।
যে প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদে এর আগে জমি কিনেছেন
সাবেক তিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, জিমি কার্টার ও রোলান্ড রিগ্যান, সেই
প্রতিষ্ঠানের মালিক ডেনিস হোপের কাছ থেকেই জমি কিনেছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার
পাতাখালি গ্রামের গ্রামের এস এম শাহিন আলম ও সদর উপজেলার জোড়দিয়া গ্রামের শেখ শাকিল
হোসেন।
জানতে চাইলে এস এম শাহিন আলম বলেন, ‘আমেরিকার সাবেক
প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে প্রতিবেশ দেশ ভারতের অনেক নামিদামি তারকা চাঁদে জমি কিনেছেন।
চাঁদে আমাদের জমি থাকবে, এমন শখ থেকেই খোঁজখবর নিতে শুরু করি এবং সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন
করি।’ শেখ শাকিল হোসেন
জানান, ‘কল্পরাজ্যের চাঁদের
দেশে এক টুকরো জমি কিনতে পেরে আমরা দারুণ উচ্ছ্বসিত। খুব সম্ভবত, আমরাই প্রথম বাংলাদেশি
যারা চাঁদে জমি কিনেছি।’
চাঁদে জমি কেনার জন্য মার্কিন নাগরিক ডেনিস
হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’-ই হলো সবচেয়ে
জনপ্রিয় কোম্পানি। যার বাংলা অর্থ ‘চন্দ্র দূতাবাস’। তাদের তথ্যানুযায়ী,
চাঁদে জমির দাম একর প্রতি ২৪.৯৯ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৪৯৯ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায়
যা প্রায় ২ হাজার ১২৫ টাকা থেকে ৪২ হাজার ৪৩৭ টাকা।
জানা গেছে, জমি কেনার পর ক্রেতাকে একটি
বিক্রয় চুক্তি, কেনা জমির একটি স্যাটেলাইট ছবি এবং জমিটির ভৌগোলিক অবস্থান ও মৌজা-পরচার
মতো আইনি নথিও পাঠিয়ে থাকে সংস্থাটি। এ ছাড়া কেউ যদি আরো একটু ব্যয় করতে রাজি থাকে,
তাহলে তাদের জন্য চাঁদের সম্পূর্ণ মানচিত্র এবং অন্যান্য তথ্যও সরবরাহ করা হয়।
বর্তমানে এস এম শাহিন আলম সাতক্ষীরা সরকারি
কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ ও শেখ শাকিল হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান
বিভাগের প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত।