Logo
শিরোনাম

চবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার(১৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে তা শাহ আমানত হলেও ছড়িয়ে পরে।

সংঘর্ষে জড়ানো পক্ষ দুটি হলো শাখা ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক উপগ্রুপ 'বিজয়' ও 'সিএফসি'। উভই পক্ষই শিক্ষা-উপ মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর নওফেল এর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

ছাত্রলীগ সূত্রে জনা যায়, ১৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে বিজয়ের এক নেতার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ঢিল ছোড়েন বলে অভিযোগ ওঠে সিএফসির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে এই জন্মদিনের অনুষ্ঠান চলছিল। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সারাদিন ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের মধ্যে দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করে। পরবর্তীতে মধ্যরাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে দুই পক্ষ। এ সময় উভয় পক্ষ একে অপরকে শত শত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। রাত প্রায় ১ টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালের কর্তব্যরত চিকিৎসক খোন্দকার আতাউল গণি বলেন, পাঁচ জন আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। পাথরের আঘাত ও দায়ের কোপ থাকায় তিন কর্মীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের ১০ জনের অধিক আহত হয়েছে। সিএফসির অন্তত ৫ কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের একজন বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নেন। আর চারজন চিকিৎসা নেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অন্যদিকে বিজয়ের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে সহকারী প্রক্টর ড. রামেন্দু পাড়িয়ালকে আহ্বায়ক, আরেক সহকারী প্রক্টর এস এম জিয়াউল ইসলামকে সদস্য সচিব, সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মোরশেদুল আলম ও শাহ আমানত হলে আবাসিক শিক্ষক হাসান মোহাম্মদ রোমান শুভকে সদস্য রাখা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ১৭ জানুয়ারি রাতে ছাত্রদের জড়ো হওয়া ও ১৮ জানুয়ারি দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ঘটনায় আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।কোন অপরাধীকে আমরা ছাড় দিব না।

 


আরও খবর