Logo
শিরোনাম

চীন থেকে কার্যক্রম সরিয়ে নিয়েছে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চীনে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে উঠছে বলে মনে করছে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো। এমন পরিস্থিতিতে অনেক প্রতিষ্ঠান বিকল্প পথে হাঁটছে। নতুন একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, আরো বেশি বিদেশী প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম চীন থেকে সরিয়ে নিয়েছে। এক্ষেত্রে সংস্থাগুলো প্রতিবেশী ভিয়েতনাম ও ভারতে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এ তথ্য তুলে ধরছে যে কীভাবে বেইজিংয়ের কঠোর জিরো কভিড নীতি বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় দেশটির সুনাম ক্ষুণ্ন করছে।

ভিয়েতনামের ইউরোপিয়ান চেম্বার অব কমার্স জানিয়েছে, ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) চীনে থাকা ৪১ শতাংশ ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান কিছু কার্যক্রম চীন থেকে ভিয়েতনামে স্থানান্তর করেছে। এ হার তৃতীয় প্রান্তিকের ১৩ শতাংশ থেকে বেড়েছে।

চেম্বার অব কমার্সের সমীক্ষায় দুই শতাধিক ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত ছিল। জরিপে দেখা গেছে, এ সময়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি থেকে ভিয়েতনামে কোনো কার্যক্রমই সরিয়ে নেয়নি এমন ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের হার ৭৬ শতাংশ থেকে ৩১ শতাংশে নেমে এসেছে।

ভিয়েতনামের ইউরোপিয়ান চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান অ্যালাইন ক্যানি বলেন, গত বছরের শেষ প্রান্তিকে চীনে ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীরা আরো স্থিতিশীল ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগের শর্ত চেয়েছিল। সরবরাহ ব্যবস্থাকে বৈচিত্র্যময় করার চলমান প্রচেষ্টা এবং একক কোনো দেশের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল না হওয়ার মতো বিষয়গুলো ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীদের ভিয়েতনামে বিনিয়োগ করতে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশেষ করে করোনা মহামারী এ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে।

তিনি আরো বলেন, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চীন নিজেকে বিশ্বের উৎপাদন শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সেই জায়গা থেকে বিশ্বের বহু প্রতিষ্ঠান চীনে বিনিয়োগকে আকর্ষণীয় হিসেবে দেখে এসেছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। তাছাড়া ইউরোপীয় ব্যবসায়ের বর্তমান প্রবণতায় ভিয়েতনামে চলে যাওয়া তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ এটি বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যবসায়িক পরিস্থিতি ও নীতির একটি সুস্পষ্ট পরিবর্তন নির্দেশ করে।

গত সপ্তাহে প্রকাশিত পৃথক একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, করোনা মহামারীর পর নতুন বাস্তবতায় চীনে থাকা বিদেশী প্রতিষ্ঠানের বড় একটি অংশ বিকল্প অনুসন্ধান করছে। জার্মান অনলাইনভিত্তিক কনটেইনার লজিস্টিকস প্লাটফর্ম কনটেইনার এক্সচেঞ্জ ২০টিরও বেশি দেশের ২ হাজার ৬০০ প্রতিষ্ঠানের ওপর জরিপ চালিয়েছে। এরমধ্যে ৬৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান চীনের কভিডজনিত বিধিনিষেধের পর ম্যানুফ্যাকচারিং ও উৎপাদনের বিকল্প বিবেচনা করছে। এক্ষেত্রে সংস্থাগুলো ভিয়েতনাম ও ভারতকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে দেখছে।

সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক প্রতিষ্ঠান চীন ছাড়লেও বিশ্বের উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে চীনের প্রভাব কমার আশঙ্কা নেই। তবে ম্যানুফ্যাকচারিং ও উৎপাদন খাতের সংস্থাগুলো ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বৈচিত্র্য আনবে এবং দেশে দেশে কার্যক্রম ছড়িয়ে দেবে। প্রতিষ্ঠানগুলো কাঁচামালের উৎস দেশ হিসেবেও চীনের বিকল্প খুঁজছে।

কনটেইনার পরিবহন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, চলতি বছরও বৈশ্বিক উৎপাদনে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। তবে আমরা উৎপাদনক্ষমতা ও দক্ষ জনশক্তির জন্য কেবল চীনের ওপর নির্ভরশীল শিল্পগুলো থেকে ধীরে ধীরে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরে যেতে দেখব। ভিয়েতনাম ও ভারত ২০২৩ সালে কার্যকরী কনটেইনার শিপিং হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বৈশ্বিক শিপিং শিল্পের বিদ্যমান বিন্যাস পরিবর্তন হবে বলেও মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইউরোপিয়ান চেম্বার অব কমার্সের সমীক্ষা অনুসারে, জরিপে অংশ নেয়া সামান্য কিংবা মাঝারি আকারে কার্যক্রম স্থানান্তর করা প্রতিষ্ঠানের হার ১৩ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে সরিয়ে নেয়া প্রতিষ্ঠানের হার বেড়েছে ২ শতাংশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে অন্ধকার দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও ইউরোপীয় ব্যবসাগুলোর চীন থেকে ভিয়েতনামে কার্যক্রম স্থানান্তর করার হার বাড়ছে। ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক আস্থা আরো খারাপ হয়েছে। উত্তরদাতাদের একটি অংশ জানিয়েছে, তারা বিশ্বাস করে যে ভিয়েতনামি অর্থনীতি স্থিতিশীল হবে।

নিউজ ট্যাগ: চীন

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর