Logo
শিরোনাম

চীনের বিকল্প হয়ে ওঠার পথে ভারতের অগ্রযাত্রা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৬০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ভারতের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি এ মুহূর্তে সর্বোচ্চে রয়েছে। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে দেশটির অর্থনীতি। এমন একটি সময়ে ভারত সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে যখন বিশ্বের উৎপাদকরা চীনের বিকল্প কিছু খুঁজতে শুরু করেছেন। আর এ সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করতে চান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ লক্ষ্যে ভারত সরকার চলতি অর্থবছরের বাজেটের ২০ শতাংশ ব্যয় করছে মূলধনি বিনিয়োগে।

এ বিনিয়োগের পরিমাণ দেশটির এক দশকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ হিসেবে চীনকে অতিক্রম করেছে ভারত। এখন মোদি সরকারের লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক দিক দিয়েও চীনকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া। আর এ কাজে যদি তিনি সফল হন তাহলে পূর্বসূরিদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন তিনি। তবে এ লক্ষ্য অর্জনে নিজের দেশের কিছু ত্রুটির সঙ্গে লড়াই করতে হবে নরেন্দ্র মোদিকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো লাল ফিতার দৌরাত্ম্য বা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি।

ভারতের অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি পরিষেবা প্রতিষ্ঠান ইনফোসিস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নীলকানি বলেন, ভারত এখন বিপুল পরিবর্তন প্রক্রিয়ার চূড়ায় রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পুরনো অনেক কিছুই দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে। এখন মানুষ বিনিয়োগের সবচেয়ে ভালো স্থানটি খুঁজে বের করতে চায়। অথচ গত ১৫ বছরেও ভারতের এ বিষয়ে আগ্রহ দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ অবশ্য নতুন নয়।

২০১৪ সালেই তিনি মেক ইন ইন্ডিয়া শীর্ষক প্রচার শুরু করেন। যা অনেকটা ছিল চীন, সিঙ্গাপুর বা দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের অনুকরণ। এ দেশগুলো উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশের কাতারে উঠেছিল। দেশগুলো বিশ্ব চাহিদার কথা মাথায় রেখে পণ্য উৎপাদন করত। এ লক্ষ্য পূরণে উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোরও দিয়েছিল ভারত। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বলেন যে ভারত বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ২৫ বছরের মধ্যে ভারত উন্নত দেশে পরিণত হতে চায়।

সরবরাহ চেইনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বরং ভারতের জন্য অনুকূল হয়েছে। কারণ জিরো কভিড নীতির কারণে চীননির্ভরশীলতা কমাতে শুরু করেছে অনেক কোম্পানি। বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানির নেয়া চায়না প্লাস ওয়ান কৌশলের বড় সুবিধাভোগী হতে পারে ভারত ও ভিয়েতনাম। এরই মধ্যে অ্যাপলের মূল তিন তাইওয়ানিজ সরবরাহকারী মোদি সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা পেয়েছে। এর মাধ্যমে স্মার্টফোনের উৎপাদন ও রফতানি বাড়ানো হবে। এরই মধ্যে গত বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরে আইফোনের দ্বিগুণ চালান গেছে।

চীন ও জার্মানির মতো উৎপাদন সক্ষমতার দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি ধীরগতির হয়ে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই নতুন উৎপাদন ক্ষেত্র খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। কারণ বিশ্ব অর্থনীতির চাকা সচল রাখাই গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক মরগান স্ট্যানলির পূর্বাভাস বলছে, চলতি দশকে ভারতের বার্ষিক উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি এমন জায়গায় পৌঁছবে যে ৪০ হাজার কোটি ডলারের বেশি আয় করতে সক্ষম এমন তিনটি দেশের একটি হবে দেশটি।

তবে এ লক্ষ্য পূরণে ভারতে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা কিছু ব্যবস্থার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদিকে লড়াই করতে হবে। যার অন্যতম হলো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। ক্ষমতা গ্রহণের সময় অবশ্য এসব প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। কথা ছিল, ভারত হবে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ। এসব লক্ষ্য শতভাগ পূরণ না হলেও অবকাঠামো খাতে এগিয়েছে ভারত। বিস্তৃত হয়েছে সড়কপথে যোগাযোগ, আকাশে অভ্যন্তরীণ পথে যাত্রী সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের লাখো মানুষকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের আওতায় আনা গেছে। তবে একই সময়ে সম্পদে বৈষম্য বেড়েছে বলেও একটি পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে।

নরেন্দ্র মোদি সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব স্যানাল বলেন, ভারত সরকার এখন নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টির ওপর জোর দিচ্ছে। যেন সব ভারতীয় সমান সুযোগ পায় এবং দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে। চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে ভারত সরকার আগামী কয়েক বছরে অনেকগুলো শিল্প খাতে ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বেশি প্রণোদনা দিতে যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু অর্থ ব্যয় হবে উইস্ট্রন করপোরেশনের মোবাইল ফোন সেট উৎপাদনে, হন হাই প্রেসিশন ইন্ডাস্ট্রির চিপ উৎপাদনে এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সৌরবিদ্যুতের প্যানেল তৈরিতে। এর পরের ধাপ হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ উৎপাদকে পরিণত হতে উৎপাদন সক্ষমতা বা ব্যাপ্তি বাড়ানো। বিশ্লেষকরা বলছেন, এভাবেই ধাপে ধাপে চীনের বিকল্প হয়ে ওঠার পথে এগোচ্ছে ভারত।

নিউজ ট্যাগ: ভারত

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর