Logo
শিরোনাম

ছাত্র পেটানো কওমি আলেমের ছয় মাসের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১৬২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কওমি মাদ্রাসায় নয় বছর বয়সী শিশুকে বেত্রাঘাতের ঘটনায় মায়ের করা মামলায় এক শিক্ষকের কারাদণ্ড দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালত।

সম্প্রতি বিভিন্ন মাদ্রাসায় ছাত্র নিপীড়নের অভিযোগ উঠার মধ্যে প্রথম এমন রায় এল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কলেজ পাড়ার ক্বারীমীয়া ক্বেরাতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মঈন উদ্দীনকে ছয় মাস থাকতে হবে বন্দি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুখ্য বিচারিক হাকিম মাসুদ পারভেজ এ রায় দেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১১ ও ১৩ আগস্ট দুই দফায় নয় বছর বয়সী মো. ইব্রাহিমকে বেদম মারধর করেন শিক্ষক মঈন উদ্দীন।

পিটুনিতে ছেলেটির অবস্থা সঙ্গীন হয়ে পড়লে তাকে নিজেই হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় খবর পেয়ে শিশুটির বাবা মা তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

ইব্রাহিমের মা হোসনে আরা বেগম ২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট আদালতে মামলার আবেদন করেন মঈন উদ্দীনের বিরুদ্ধে। আদালত তার আবেদন গ্রহণ করে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করা এপিপি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সাক্ষ্যপ্রমাণে মঈন উদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে সহায়তা করা আইনজীবী নাছির মিয়া বলেন, ছেলেটিকে পড়া দিয়েছিলেন শিক্ষক মঈন উদ্দিন। সে পড়া না পাড়ায় তাকে বেত দিয়ে উন্মত্তের মতো পেটাতে থাকেন তিনি। এতে ছেলেটির সারা শরীরে দাগ বসে যায়।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে শিশুটির বাবা মা ছিলেন না। তার চাচা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

আইনজীবী নাছির মিয়া বলেছেন, বিচারকের রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ জানিয়েছে।

আসামিপক্ষে আদালতে ছিলেন সৈয়দ তানভীর কাউসার।

তিনি পিটুনি দেয়ার যুক্তি দেখিয়ে বলেন, ছাত্রকে শাসন করতে শিক্ষক হিসেবে তিনি (মঈন উদ্দিন) বেত্রাঘাত করেছিলেন। তবে অবস্থা বেগতিক দেখে কিন্তু নিজেই তার চিকিৎসা করান। আমি মনে করি তিনি ন্যায়বিচার পাননি। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।

বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসায় ব্যাপকভাবে ছাত্র পেটানো ও বলাৎকারের অভিযোগ আছে। এসব ঘটনায় প্রায়শই শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর খবরও আসে গণমাধ্যমে। যা নিয়ে সম্প্রতি ব্যাপক আলোচনাও হচ্ছে।

গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, সাতকানিয়া ও রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিনটি ঘটনা সামনে এসেছে।

অভিভাবকদের মধ্যে ইদানীং এসব ঘটনা নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে। তারা প্রায়ই মামলা করছেন। যদিও বিচারে সাজার হার বেশ কম।


আরও খবর