ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকাল ১০টার দিকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
পাঁচলাইশ থানার ওসি জানান, সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত কলেজ বন্ধ থাকবে। আমরা সব শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেছি। এছাড়া এ ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে ড. মতিউর রহমানকে।
এর আগে রাতে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে আহত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চমেক সূত্র জানায়, রাতে আধিপত্য বিস্তারের জন্য দুই পক্ষই লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে আকিব শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। আর মাহফুজ ও নাইমুল ইসলাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সকালে সংঘর্ষের পর চমেক একাডেমিক কাউন্সিলে কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। এর আগে গত মার্চে একই ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সিট দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সময় ছাত্রাবাসের বেশ কয়েকটি কক্ষে ভাঙচুর করা হয়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় কয়েকজন গ্রেপ্তারও হন।