
গত প্রায় ছয় মাস ধরে দেশে চিনির বাজার বেসামাল। ইতোমধ্যেই কয়েক দফা দামও বাড়ানো হয়েছে এই নিত্য পণ্যটির। এই বেসামাল চিনির বাজারে দাম বাড়ানো হলো আরো এক দফা। চিনির সংকট ও চলমান অস্থিরতার মধ্যেই বৃহস্পতিবার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরএ)। নতুন মূল্য অনুযায়ী প্যাকেটজাত প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হবে ১১২ টাকায় এবং খোলা চিনি বিক্রি হবে ১০৭ টাকায়। ফলে কেজিতে দাম বাড়লো ৫ টাকা। নতুন এ দাম আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
বর্তমান মূল্য অনুযায়ী প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ১০৭ টাকা এবং খোলা চিনি ১০২ টাকা। তবে বাজারের কোথাও এই দামে এখন চিনি মেলে না। প্যাকেটজাত চিনি এখনই বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়, আর খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। তার চেয়ে বড় কথা হলো-বাজারে চাহিদার অর্ধেক চিনিও এখন মেলে না। সরবরাহের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে বাজারে।
বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বলা হয়, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে চিনি। খুচরা পর্যায়ে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি। প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি বিক্রি হবে ১০৭ টাকায়; আর পরিশোধিত প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হবে প্রতি কেজি ১১২ টাকায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির ঊর্ধ্বমুখী দাম, ডলারের বাড়তি বিনিময় হার এবং স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন ব্যয় বিবেচনা করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, দেশের চিনির বাজার এখনও অস্থির। বাজারে প্যাকেটজাত চিনি নেই বললেই চলে। এমনকি ডিলার পর্যায়েও মিলছে না কাক্সিক্ষত চিনি। আবার যাও পাওয়া যাচ্ছে, তাও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। তিন মাস আগে গত বছরের নভেম্বরে খুচরা পর্যায়ে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৭ টাকা এবং খোলা চিনির কেজি ১০২ টাকা।