‘টিন্ডার’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও রিনাটে নাইবর্গ ডেটিং অ্যাপটির মনিব হওয়ার এক বছরের কম সময়ের মধ্যে ছেড়ে যাচ্ছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি থেকে তার চলে যাওয়া ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি বলে ঘোষণা করেছে, তাদের নিয়ন্ত্রক কম্পানি ম্যাচ গ্রুপ। টিন্ডারের পরিকল্পনায় আছে নতুন প্রযুক্তি আত্মীকরণ, সেগুলোর মধ্যে ভার্চুয়াল কারেন্সি এবং মেটাভার্স নির্ভর ডেটিং গ্রহণ। তারা প্রবলভাবে পুর্ণমূল্যায়নের পর সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছেন। ঘোষণাগুলো এলো কারণ, ম্যাচ রিপোর্ট করেছে, তারা ওয়াল স্ট্রিটের আশাগুলো এই বছরের দ্বিতীয় চার মাসে ফলাফল আকারে প্রকাশ করতে পারেনি।
ম্যাচ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী বার্নাড কিম শেয়ার হোল্ডারদের কাছে একটি চিঠিতে বলেছেন, আমরা আজকে টেন্ডার সিইও রিনাটে নাইবর্গের প্রস্থান ঘোষণা করছি। ব্যবস্থাপনা বিভাগে আরো কিছু পরিবর্তন করেছি। যে কাঠামোটি হয়েছে তাতে আমি নিশ্চিত, তা টেন্ডারের সুপ্ত শক্তিকে বড় কাজে সরবরাহ করতে সাহায্য করবে।
তিনি রিনাটে নাইবর্গকে চলে যেতে বাধ্য করার পর সাময়িকভাবে তার জায়গায় কাজ করবেন। এর মধ্যে একজন স্থায়ী সিইওকে নিয়োগ দেবেন তারা। নিজের লিংকডইন পোস্টে এই বিষয়ে রিনাটে নাইবর্গ লিখেছেন, গত দুই বছরের প্রতিটি মুহূর্তকে আমি ভালোবেসেছি। একটি অবিশ্বাস্য শক্তিশালী দলের সঙ্গে কাজ করেছি। আমরা প্রত্যেকে পুরুষ ও নারীর মানবিক যোগাযোগের জাদুর ওপর কাজ করেছি। ম্যাচের ঘোষণায় আছে, টেন্ডারের টপ ম্যানেজমেন্ট পুর্ণগঠন এবং ঘূর্ণায়মান নতুন প্রযুক্তিগুলোকে পুর্ণমূল্যায়নের ভিত্তিতে নিয়ে আসার পরিকল্পনাও।
টেন্ডার কয়েন বা মুদ্রাগুলোকে পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালনার পর মিশ্র ফলাফল দেখেছি। এরপর আমরা একটি ধাপ পিছিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং এর মধ্যে উদ্যোগটিকে পূর্ণ পরীক্ষা করা হবে। আমাদের আরেকটি উদ্দেশ্য, ভার্চুয়াল পণ্যসামগ্রীগুলোর বিষয়ে আরো চিন্তাভাবনা করা, উল্লেখ করেছেন বার্নাড কিম।
টেন্ডার বাদে তিনটি ডেটিং অ্যাপ আছে ম্যাচ গ্রুপের। সেটি হলো ‘ওকেকিউপিড’, ‘হিঞ্জ’ ও ‘প্ল্যান্টি অব ফিশ’। তাদের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সেপ্টেম্বরের শেষে তিন মাসের হিসেবে তাদের অ্যাপসগুলো থেকে বিক্রি ৭শ ৯০ থেকে ৮শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে। ভালো হলেও সেটি ওয়াল স্ট্রিটের আশার চেয়ে নীচে থাকবে। তার মানে হবে, প্রতিষ্ঠানটির কোনো বিক্রয় উন্নতি হয়নি এই সময়ে।
বার্নাড কিম উল্লেখ করেছেন, মহামারি রোগের ফলে মানুষের ডেটিং অ্যাপসগুলো ব্যবহার শুরুর ইচ্ছেতে প্রভাব পড়েছে। মুদ্রার উর্ধ্ব ও অধ:গতির ফলে এই হতাশাজনক আয় করেছেন তারা। এর আগে মানুষরা সাধারণত সবখানে লকডাউনে চলে গিয়েছেন। তারা আরো নৈতিকভাবে জীবন কাটানোর দিকে প্রবেশ করেছেন। তাদের এই অভ্যাস ও ইচ্ছেগুলোর কারণে প্রথমবারের মতো অনলাইনে ডেটিং পণ্যগুলো মহামারির আগের সময়ের মতো টাকাপয়সা এখনো ফেরত আনতে পারেনি। টেন্ডার প্রধান চলে যাবার খবরে নিউ ইয়র্ক শহরে ম্যাচ গ্রুপের শেয়ারগুলো কয়েক ঘন্টার মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি পড়ে গিয়েছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মিস নেইবর্গ প্রথম মহিলা সিইও হিসেবে টেন্ডারে যোগ দিয়েছিলেন। বার্নাড কিম ম্যাচের সিইও হিসেবে তার পূর্বসুরী নারী শার ডার্বি পর, পর দুই বছরের বেশি দায়িত্ব পালন করে যাবার পর মে মাসে নিযুক্ত হয়েছেন।