Logo
শিরোনাম

চড়া হতে পারে কোরবানির পশুর বাজার

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১১০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কোরবানির ঈদের এখনো বাকি প্রায় এক মাস। পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন পশুর ব্যাপারী ও খামারিরা। ব্যাপারীরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে গৃহস্থ ও খামারিদের কাছ থেকে গরু কিনছেন। অনেক গৃহস্থ ও খামারি সরাসরি হাটে নিয়ে গরু বিক্রির প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। দুই-তিন সপ্তাহ পর থেকেই জমে উঠবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন পশুরহাট। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, দেশে এবারও পশুর সংকট নেই, আমদানির প্রয়োজন হবে না। তবে অধিদপ্তরের মতো খামারি-ব্যাপারীরাও বলছেন, পশুর দাম এবার কিছুটা চড়া থাকবে।

তারা বলছেন, ছয় মাস আগে গো-খাদ্যের যে দাম ছিল, তা এখন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত সাড়ে পাঁচ মাসে গো-খাদ্যের দাম ধীরে ধীরে বাড়লেও সবশেষ ১৫ দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে অধিকাংশ গো-খাদ্যের দাম। ঈদের আগে এই একমাসের মধ্যে গো-খাদ্যের দাম আরও বাড়তে পারে। ফলে এবার চড়া হতে পারে কোরবানির পশুর বাজার। সবশেষ ১৫ দিনে গো-খাদ্যের দাম মণপ্রতি ২শ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গরুর অন্যতম খাবার গমের ভুসি। গত তিনদিনের ব্যবধানে এ ভুসির ৩৭ কেজির বস্তার দাম বেড়েছে ৪শ টাকা। আগে এক বস্তা ভুসির দাম ছিল ১৮শ টাকা। দাম বেড়েছে ধানের কুড়া ও গমের ছালেরও। বস্তাপ্রতি এ দুই ধরনের গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। সরিষার খৈল, ছোলার ভুসি, খেসারি, মাষকালাইয়ের ভুসিরও দাম বেড়েছে। শনিবার (২১ মে) বাজারে সরিষার খৈল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা, ছোলার ভুসি ৫৫, খেসারি ৫৬-৫৭ টাকা দরে। ছয় মাসের ব্যবধানে মাষকলাইয়ের ভুসির দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা। আগে এক বস্তা মাষকলাইয়ের ভুসির দাম ছিল ১১শ টাকা থেকে ১২শ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৪শ থেকে ১৪শ ৫০ টাকা। ছয় মাস আগে সরিষার এক বস্তা খৈল বিক্রি হতো দুই হাজার ৫শ টাকা থেকে দুই হাজার ৬শ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে তিন হাজার ৩শ টাকা থেকে তিন হাজার ৪শ টাকা। একই সময়ে অ্যাংকর ডালের ভুসির ৩৫ কেজির বস্তার দাম ছিল ৮শ টাকা, যা এখন বেড়ে হাজার টাকা ছাড়িয়েছে।

ব্যাপারীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬শ-৭শ টাকা। সেই হিসাবে তিন মণ ওজনের একটি গরুর দাম পড়ছে ৭২-৮৪ হাজার টাকা। তবে ঈদুল ফিতরের আগে থেকে গরুর মাংসের বাজার ওঠানামা করছে। ঈদের আগে গরুর মাংসের কেজি ৭শ টাকা ছাড়িয়ে যায়। ৭শ টাকা কেজি ধরলে তিন মণের গরুর দাম পড়বে ৮৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ কেউ তিন মণের একটি গরু কিনতে চাইলে ১২-১৩ হাজার টাকা বেশি গুনতে হতে পারে।

২৮ বছর ধরে গরুর ব্যবসা করছেন কুষ্টিয়ার নাসির উদ্দিন। কয়েক মাস ধরে তিনি এলাকায় ঘুরে ঘুরে গরু কিনছেন। ঈদের আগে তিন-চার মাস খাইয়ে হৃষ্টপুষ্ট করে বিক্রি করবেন লাভে। ইতোমধ্যে দুই শতাধিক গরু কিনেছেন তিনি। নাসির উদ্দিন বলেন, দেশে গরু আছে। গরুর সংকট নেই। যে গরু আছে, তা দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে দামটা একটু বেশি পড়বে। গত বছর কোরবানিতে সর্বোচ্চ ৬শ টাকা কেজি মাংস ধরে গরু কিনেছি। এবার সেটা বেড়ে ৭শ টাকা কেজিতে ঠেকেছে। মাংসের দাম হয়তো আরও বাড়বে। কেজিতে যদি একশ টাকা করে বাড়ে, তাহলে মণপ্রতি বাড়ছে চার হাজার টাকা। চার মণ ওজনের একটি গরুর দাম ১৬-১৮ হাজার টাকা এবার বেশি পড়বে।

গো-খাদ্যের দাম বাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গরুর খাদ্যের দাম খুব বেশি বেড়েছে। তিন মাস আগে যে ভুসির দাম ১৪শ টাকা ছিল, তা এখন ২২শ টাকায় কিনতে হচ্ছে। খৈল, ধানের কুড়া, ভুসির দাম বাড়লে গরুর দামও বাড়বে। এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি ২শ গরু কিনেছি। এখন খামারে রেখে খাওয়াচ্ছি। প্রতিদিন খাবারের পেছনে তো খরচ হচ্ছে। গরুর এ খরচ তো আমাকে গরু থেকেই ওঠাতে হবে। খরচ তুলে দুই টাকা লাভের আশা তো করা অপরাধ না। গরুর খাদ্যের দাম যদি আরও বাড়ে, দামটা বেশি ধরতেই হবে। তখন হাটে গরু বেচতে গেলে ক্রেতাদের সঙ্গে খুব বচসা হবে। তারা তো বুঝবে না খরচটা কত হলো।

ব্যাপারীদের পাশাপাশি অনেক খামারি নিজেরাই গরু হাটে নিয়ে বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাদিক অ্যাগ্রো নামে একটি খামার রয়েছে ঢাকার মোহাম্মদপুরে। এ খামারে আসন্ন কোরবানির ঈদ ঘিরে দেড় হাজারের বেশি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে দেড় লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে। ১৪শ কেজি ওজনের ব্রাহমা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে সর্বোচ্চ। বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এসব গরু কেনা হয় বলে জানালেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইনচার্জ মো. মাঈনুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোরবানির প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমরা বড় গরু সংগ্রহ করেছি। তবে এবার দাম একটু বেশি পড়েছে। আমাদের খামারে আনার পরও খরচ বেশি পড়ছে। গো-খাদ্যের দাম বেশি, গরুর পেছনে খরচ বেড়েছে।

চাহিদা মিটবে দেশের গরুতেই: কোরবানির পশুর চাহিদা ও প্রস্তুতি নিয়ে এ বছর এখনো স্পষ্ট তথ্য নেই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে। মাঠপর্যায়ের তথ্য পেতে অধিদপ্তর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে সার্বিক তথ্যের ভিত্তি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দাবি, দেশে প্রস্তুত হওয়া পশু দিয়ে এবারও কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।

অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত কোরবানির ঈদে সারাদেশে পশুর সংখ্যা ছিল এক কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার। যার মধ্যে গরু-মহিষ ছিল ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার, ছাগল-ভেড়া ছিল ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ও অন্যান্য পশু ছিল চার হাজার ৭৬৫টি। ওই বছর করোনার প্রকোপ থাকায় কোরবানির পশু বিক্রি কিছুটা কম ছিল। তবে এবার করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসায় গত কোরবানির ঈদের তুলনায় পশুর চাহিদা ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। মাঠপর্যায় থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চিঠি পাঠিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। গত ১০ মে এ চিঠি দেওয়া হয়। চিঠির উত্তর এলে কোরবানির পশুর সংখ্যা ও চাহিদা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা মিলবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জিনাত সুলতানা বলেন, গত ১০ মে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চিঠি পাঠিয়েছি। এটা আসতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে। তবে এটা স্পষ্ট যে, দেশে কোরবানির গরুর সংকট নেই। দেশে প্রস্তুত করা গরু দিয়ে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় গরুর দামও বাড়তি থাকতে পারে। দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য এবার ভালো। আশা করছি, গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বাড়তি চাহিদা হবে। তবে চাহিদা বাড়লেও গরুর সংকট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। দেশের খামারে পর্যাপ্ত গরু প্রস্তুত আছে। আশা করি, কোরবানিতে চাহিদা মিটিয়েও গরু মজুত থাকবে। কোনোভাবেই বিদেশ থেকে গরু আনার প্রয়োজন হবে না।


আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর