চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭২ ঘণ্টার জন্যে অবরোধ তুলে নিয়েছে ছাত্রলীগ। তাদের দুই নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে তারা এই কর্মসূচি পালন করছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে ৭২ ঘণ্টার জন্যে অবরোধ তুলে নেয়।
ঘটনার শুরু মঙ্গলবার রাত তিনটায়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী ও মোহাম্মদ রাশেদ এক নম্বর গেট থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় মোটরসাইকেলে করে ক্যাম্পাসে আসছিলেন।
পরে মদন ফকির মাজার গেট এলাকায় এলে স্থানীয় কয়েকজনের হামলার শিকার হন। এ সময় তাঁদের মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে ভার্সিটি এক্সপ্রেস উপপক্ষের নেতা–কর্মীরা মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবরোধ শুরু করেন।
ঘটনার জন্য ছাত্রলীগের নেতারা মাজার এলাকার যুবলীগ নেতা হানিফের অনুসারীদের দায়ী করেন। হামলার সময় তাদের মটরসাইকেল ভাংচুরের অভিযোগও আনেন তারা। একই সঙ্গে দাবি জানানো হয় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের।
অবরোধকারী ভিএক্স গ্রুপের কর্মী এস এইচ কে রনি বলেন, অহেতুক আমাদের সিনিয়র দুই নেতাকে মারধর করেছে স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী। দ্রুতসময়ে মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দিয়েছি।
অবরোধে অচল হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। অবরোধের কারণে নির্ধারিত কোনো ট্রেন ক্যাম্পাসে আসতে পারেনি। শিক্ষক বাসও প্রবেশ করেনি ক্যাম্পাসে। ফলে ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
পরে অবরোধ প্রত্যাহারের বিষয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের আশ্বাসে পরিপেক্ষিতে বিকেলের দিকে অবরোধ স্থগিত করে ছাত্রলীগ। ঘটনার পর প্রধান অভিযুক্ত এলাকার যুবলীগ নেতা হানিফকে আটক করে পুলিশ।