Logo
শিরোনাম

চট্টগ্রামে পরিত্যাক্ত জায়গায় সরকারি কর্মচারীদের বাসযোগ্য করছে গর্ণপূত

প্রকাশিত:শনিবার ১২ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১০২০জন দেখেছেন
চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

পরিত্যক্ত সরকারি স্থাপনাকে বাসযোগ্য স্থাপনায় রূপান্তর করায় স্বস্তি ফিরবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সঙ্কট। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে পরিত্যক্ত বাড়িকে বাসযোগ্য করার কাজ শুরু গর্ণপূর্ত রক্ষণাবেক্ষণ অধিদপ্তর। এছাড়া দেশজুড়ে পরিত্যক্ত বাড়ি সরকারের কাজের ব্যবহার উপযোগী করছে এই অধিদপ্তর।

চট্টগ্রামে বহুতল ভবন নির্মাণকাজের গুণগতমান নিশ্চিত করছে। প্রকল্প প্রণয়ন থেকে শুরু করে তা বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতারও অবসান ঘটেছে। প্রকল্পের কাজের গতি ফেরাতে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে।

তবে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ডেভেলপারদের সঙ্গে গণপূর্তের মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। সরকারের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হিসেবে গণপূর্ত কাজের গুণগত মান বজায় রেখে মানুষের আবাসন সংকট  ভবন নির্মাণ করছে। সেখানে ডেভেলপার কোম্পানিগুলো ভবন নির্মাণ করছে। গণপূর্ত অধিদপ্তর বহুতল ভবন নির্মাণে জমির সঠিক ব্যবহার করছে।

 সরকারের অ্যালোকেশন অব রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধির মধ্যে রয়েছে প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক ও আবাসিক অবকাঠামোসমূহ নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত।

 চট্টগ্রাম শহরের পরিত্যক্ত জায়গায় ১৫টিসহ মোট ৫১টি বাড়িতে আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রকল্পে এরই মধ্যে ৯টি বাড়ির কাজ শুরু হয়ে গেছে। বাকি ৬টি বাড়ির কাজ বিভিন্ন জটিলতার জন্য কাজ শুরু করা যায়নি।

চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ, নাসিরাবাদ ও খুলশি এলাকায় এ বাড়িগুলো নির্মিত হবে। গণপূর্ত বিভাগের এ বাড়িগুলোতে ১৫০০ বর্গফুটের ৪১৪ ফ্যাট, ১২৫০ বর্গফুটের ১৬২টি ফ্ল্যাট এবং ৬৪টি ডরমেটরি নির্মিত হবে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয় গত ২৫ এপ্রিল ২০১৭ সালে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। ১ম দফায় জুন ২০২৩ এবং ২য় দফায় ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ৪৭৬ কোটি ৬০ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা।

গর্ণপূত রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মইনুল ইসলাম বলেন, এ প্রকল্পের কাজ ৬৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। এসব ভবনে ভূ-গর্ভস্থ জলাধার পানি সরবরাহ, পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, সুয়ারেজ টিট্রমেন্ট প্ল্যান্ট, লিফট সাবস্টেশন ও জেনেটারের ব্যবস্থা থাকছে।

১৫ বাড়ির মধ্যে ৯টি বাড়ির কাজ চলমান রয়েছে। পরিত্যক্ত বাড়ি নং-১৫ পাঁচলাইশ এলাকার ১৩ তলা ভবনের প্রতি ফ্লোরে থাকছে ১৫ শতাংশ বর্গফুটের ৪টি ফ্ল্যাট, নিচ তলায় পার্কিংসহ ৪৮টি ফ্ল্যাট। এ ভবনের কাজ এখন সমাপ্তির পথে। খুব শীঘ্রই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত অধিদপ্তরে বুঝিয়ে দিবে। পাঁচলাইশ থানা এলাকায় পরিত্যক্ত ভবন নং-৮৪ এর শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং হস্তান্তরিতও হয়েছে । পরিত্যক্ত বাড়ি নং-১২৭ ১০ তলা এ ভবনে ৬৪টি ডরমিটরী করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে থাকছে ২৫০ বর্গফুট। আশা করা যায় এ মাসেই এ ভবন স্থানান্তরিত করা হবে। পরিত্যক্ত বাড়ি নং ৩৮ কাতালগঞ্জ ১৭ তলা ও ১টি বেজমেন্টের প্রতিটি ফ্লোরে ১২ শত ৫০ বর্গফুটের ৪টি ফ্ল্যাট ও নিচতলা ও বেজমেন্ট পার্কিসহ থাকবে ৬৪ টি ফ্ল্যাট। এ ভবনের কাজ এরই মধ্যে ৯০ ভাগের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। পরিত্যক্ত বাড়ি নং-১৫ পাঁচলাইশ এলাকার এ ভবনটি ১২ তলা ভবন হবে । এ ভবনে ৪৪টি ফ্ল্যাট তৈরি হবে। এ ভবনের কাজও সমাপ্তির পথে। পরিত্যক্ত বাড়ি নং-১১৫ পাঁচলাইশ এলাকার ১২ তলা ভবনে ৪৪টি ফ্ল্যাট। নির্মিত হবে । এ ভবনের কাজ শেষ করতে ২০২৩ পর্যন্ত সময় লাগবে। পরিত্যক্ত ভবন নং- ১১৪ পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় ১১ তলা এ ভবনে থাকছে ৪০টি ফ্লাট। আগামী সেপ্টেম্বর মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে। পরিত্যক্ত বাড়ি নং-৫২ পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় ১২ তলা ভবনে প্রতিটি ফ্লোরে ১২ শত ৫০ বর্গফুটের ৪টি ফ্ল্যাট ও পাকিং সহ ৪৪টি ফ্ল্যাট নির্মিত হচ্ছে। আশা করা যায় আগামী সেপ্টেম্বর ২০২৩ সম্পন্ন হবে ।

পরিত্যক্ত ভবন নং-৬৬ পাঁচলাইশ এলাকায় ১২ তলা ভবনে থাকছে ৪৪টি ফ্ল্যাট, পরিত্যক্ত ভবন নং-১৩৩ ও আর নিজাম উদ্দিন রোডে ১০ তলা ভবনে ৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মিত হবে। এ প্রকল্পের কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। পরিত্যক্ত ভবন নং- ২২ বি-১ নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ১১ তলা ভবনে ৩০ টি ফ্ল্যাট নির্মিত হবে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ বাড়িটির দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বাড়ির কাজ এখনো পর্যন্ত শুরু হয়নি। পরিত্যক্ত ভবন নং-৪৯ পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় ১৪ তলা ভবনে ৫২টি ফ্ল্যাট নির্মিত হওয়ার কথা। বর্তমানে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আঞ্চলিক অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যার কারনে এ বাড়িটিতে আর ফ্ল্যাট নির্মানের কাজ হচ্ছেনা। পরিত্যক্ত ভবন নং-৩ সার্সন রোডের এ বাড়িটি ৯ম তলা করার এবং ২৪টি ফ্ল্যাট নির্মিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেটেলমেন্ট জোনাল অফিসের কার্যক্রম চলছে এ বাড়িতে। এ বাড়িটিতেও ফ্ল্যাট নির্মিত হচ্ছেনা। পরিত্যক্ত ভবন নং-৩২ পাঁচলাইশ ১৫ তলা ভবনে ৪২টি ফ্ল্যাট নির্মিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ বাড়িটিতে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের দখলে থাকায় বাড়িটিতে কাজ শুরু করা যায়নি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে । প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এ বাড়ির কাজ শুরু হবে। পরিত্যক্ত ভবন নং-১০৩৩ জাকির হোসেন রোডের এ বাড়িটিতে নির্মিত হবে ১০তলা ভবন। এ ভবনে থাকছে ১৮টি ফ্ল্যাট। এ বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পরিবার এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা বসবাস করায় বাড়িটি এখনো বুঝে না পাওয়ায় কাজ শুরু হয়নি।

গর্ণপূত প্রকৌশলীরা জানায়, গণপূর্ত অধিদপ্তর বহুতল ভবন নির্মাণে ভবনের চারপাশে বিশেষ নজর রাখে। ভবনে বসবাসকারী বাসিন্দাদের বিনোদন, খেলাধুলা কিংবা শরীর চর্চার জন্য ফাঁকা জায়গা রাখে। গাছপালা লাগানো, ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্টেশন এবং ওয়ার্কওয়েসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা নিশ্চিত করে ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। ভবন নির্মাণে ইঞ্জিনিয়ারিং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা শতভাগ বাস্তবায়ন করছে। গণপূর্তের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রকৌশলীরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।

সরকারি চাকরিজীবীদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে গণপূর্ত অধিদপ্তর অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। অধিদপ্তরে যেসব প্রকৌশলীরা আসেন তারা মেধাবী ও অভিজ্ঞ। প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য ধরে রাখার আলোকেই তারা কাজ করছেন। স্থাপত্য অধিদপ্তরও কাজ করছে। অন্য কোনো সংস্থায় এমন সুযোগ থাকে না। বেসরকারি ভবন মালিকেরা অনেক সময় মাটি পরীক্ষা করাতে চান না, যা ভবন নির্মাণের পর ঝুঁকি বাড়ে। সেখানে গণপূর্ত অধিদপ্তর ভবন নির্মাণের আগে অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে মাটি পরীক্ষা করা হয়। মাটি পরীক্ষায় অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। তাই গণপূর্ত অধিদপ্তর শুধু কনক্রিটের দেয়াল তৈরি করে না, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করছে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর