হারলে বিদায়, জিতলে ফাইনালে। এমন সমীকরণের বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচেও চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি চট্টগ্রাম। বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে কুমিল্লার বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম।
মোস্তাফিজের করা ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে নাসুম আহমেদ এলবিডব্লিউ হলে ১৪৮ রানেই অলআউট হয় চট্টগ্রাম।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে
নেমে ভালোই শুরু করেছিল চট্টগ্রাম। ৩.৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩১ রান তুলেছিল
দলটি। এরপর খেই হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। পরের ১৯ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ
থেকে কার্যত ছিটকে যায় চট্টগ্রাম।
৮ ওভারে ৫০ রানে
৫ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন বিপিএল চলতি আসরের শুরুতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা
মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু শুরুতে দলের প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স না হওয়ায় অধিনায়কত্ব
থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশকে অনূর্ধ্ব-১৯
বিশ্বকাপ ট্রফি উপহার দেওয়া অধিনায়ক আকবর আলীকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৪০ বলে ৬১ রানের
জুটি গড়েন মিরাজ। ৫ উইকেটে ১১১ রান করা চট্টগ্রাম এরপর মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে হারায়
২ উইকেট। ২০ বলে দুই চার আর দুই ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন আকবর আলী। শূন্য রানে রানআউট
হন বেনি হাওয়েল।
১৯তম ওভারের দ্বিতীয়
বলে ছক্কা হাঁকান মিরাজ। ঠিক পরের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন
মিরাজ। তার আগে ৩৮ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে ফেরেন এই অলরাউন্ডার।
মিরাজ আউট হওয়ার পর তিন বলের ব্যবধানে ফেরেন পেস বোলার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। তার আগে মাত্র ৮ বলে দুই ছক্কায় ১৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে খেলেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
চট্টগ্রাম: ১৯.১
ওভারে ১৪৮/১০ রান (মিরাজ ৪৪, আকবর ৩৩, জাকির ২০, মৃত্যুঞ্জয় ১৫; মঈন আলী ৩/২০, শহিদুল
৩/৩৩, মোস্তাফিজ ১/১৩)।