এক সহকারীকে চুমু খেয়ে বেকায়দায় পড়েছেন
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধের
মধ্যে প্রকাশ্যে তার চুমু খাওয়ার ছবি সংবাদপত্রে প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু
হয়েছে।
এমনকি তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দেয়ার
দাবিও উঠেছে। তবে করোনার এই সংক্রমণের সময় সামাজিক দূরত্ব বিধিনিষেধ ভেঙে সহকারীকে
চুমু খাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ জুন) বিবিসির প্রতিবেদনে
বলা হয়, গিনা কোলাডঅ্যাঞ্জেলো নামের ওই সহকারীকে ম্যাট হ্যানকক নিজেই নিয়োগ দিয়েছিলেন।
তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশের পর দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেছেন, তিনি মানুষকে
হতাশ করেছেন।
লেবার পার্টির পক্ষ থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি হ্যানকককে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। তবে ডাউনিং স্ট্রিট বলছে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হ্যানকককে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং বিষয়টি এখানেই শেষ ভাবতে বলেছেন। হ্যানকক ও কোলাডঅ্যাঞ্জেলো দুজনই বিবাহিত। তাদের তিনটি করে সন্তানও রয়েছে। তাঁদের অন্তরঙ্গ ছবি গত ৬ মে স্বাস্থ্য বিভাগের ভেতরেই তোলা হয়।
যুক্তরাজ্যে বিধিনিষেধ চললেও কাজের সময়
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে নেই। তবে সরকারের পরামর্শ
হচ্ছে, যেখানে সম্ভব মানুষ যেন দুই মিটার বা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে অন্তত এক মিটার
দূরত্ব বজায় রাখে। পাশাপাশি দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে এ নিয়ম মানতে হবে বা মাস্ক পরতে হবে।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান অ্যানেলিস ডডস বলেন, হ্যানকক নিজেই নিয়ম তৈরি করেছেন। তিনি তা ভাঙার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাঁকে পদ ছাড়তে হবে। তিনি যদি পদত্যাগ না করেন, তবে প্রধানমন্ত্রীর তাকে বরখাস্ত করা উচিত। লেবার পার্টির একজন মুখপাত্র বলেছেন, সরকার এটাকে আড়াল করার চেষ্টা করলেও বিষয়টি এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। সরকার মনে করে, এই ঘটনায় কোনো আইন লঙ্ঘন হয়নি। কারণ, হ্যানকক ও তাঁর সহকারী দুজনই দফতরে বৈধ কাজের জন্য গিয়েছিলেন।
দেশটির লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকেও হ্যানকককে পদত্যাগ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে সামাজিক দূরত্ব রাখার বিষয়টি নিয়ে ভণ্ডামির অভিযোগ তোলা হয়েছে।