Logo
শিরোনাম

ডা. সাবরিনার করোনা প্রতারণা মামলার রায় দুপুরে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরী ও চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই)। দুপুর ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়েছে। আসামিদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ নাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডা. সাবরিনাসহ নারী আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। একই সময় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আরিফসহ পুরুষ আসামিদের প্রিজনভ্যানে করে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের রাখা হয়েছে আদালতের হাজতখানায়।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।

গত ২৯ জুন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১১ মে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। গত ২০ এপ্রিল একই আদালতে সাক্ষ্য দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে ভুয়া রিপোর্ট দেয়। এমন জালিয়াতির অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করলে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।

২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও এবং জেবুন্নেসা।

চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন বলে জানানো হয়।

নিউজ ট্যাগ: ডা. সাবরিনা

আরও খবর