Logo
শিরোনাম

দাম নিয়ে বিপর্যস্ত জামদানি শিল্পীরা

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১২১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। আর এই দাম বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে সীমিত আয়ের মানুষের। এতে ভালো নেই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের নোয়াপাড়া এলাকার জামদানি শিল্পীরাও। সব কিছুর দাম বৃদ্ধি হলেও তাদের শ্রমের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে সুতার মূল্য বৃদ্ধিতে তারা আরও বেশি বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যাওয়ার চিন্তা করছেন।

জামদানি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছে রূপগঞ্জের নোয়াপাড়া এলাকায় তৈরি জামদানি শাড়ি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেও এখান থেকে তৈরি করা শাড়ি পরিধান করে থাকেন। এখানকার তাঁত শিল্পীরা বংশ পরম্পরায় এই পেশার সঙ্গে জড়িত। তবে ক্রমাগত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে তাদের এই পেশা ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা এখন আর আগের মতো লাভবান হতে পারছে না। এতদিন সীমিত আয়ে ব্যবসা পরিচালনা করলেও সেই সীমিত আয় করাও তাদের জন্য দূরহ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।


জামদানি শিল্পী মো. ইয়াসিন বলেন, সবকিছুরই দাম বাড়ছে, শুধু আমাদের দামই বাড়ে নাই। আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কথা কে শুনে? আমাদের দিকে নজর দেওয়ার কারো সময় নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে কত কষ্টে আমাদের জীবন কাটে সেটা কেউ দেখে না। ছোটবেলা থেকেই এই পেশায় জড়িত, ফলে অন্য কোথাও যেতেও পারি না।

কামাল হোসেন নামে আরেক জামদানি শিল্পী বলেন, সুতার দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের লাভ করাটা খুবই কষ্টকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে সিল্কের সুতা কেনা হতো ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কিন্তু এই কয়েকদিনের ব্যবধানে সেটা বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে। কটন সুতা ১৬০ টাকা মুড়া পাওয়া যেত। এখন সেটা ২৫০ টাকা মুড়া হয়েছে। আগে জরি পাওয়া যেত ৮ টাকা তোলা। এখন সেটা ১২ টাকা তোলা। আর এগুলোই মূলত জামদানি শিল্পের মূল উপাদান। এভাবে সবকিছুরই দাম বাড়ছে। আমি ৪০ বছর ধরে এই পেশায় জড়িত। কিন্তু এখন নতুন করে এই পেশায় কেউ আসতে চায় না। কারণ এখন এই পেশার মূল্যায়ন নেই। ফলে মানুষ এখন পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

জামদানি সুতার দোকানদার ফয়সাল বলেন, কটন সুতা বস্তাপ্রতি ১২ হাজার টাকায় পাওয়া যেত। এখন সেটা বেড়ে ২৮ হাজার টাকা বস্তা হয়েছে। এক বস্তায় ১০০ পাউন্ড সুতা থাকে। সেইসঙ্গে সিল্ক সুতা ৫ হাজার টাকা কেজি পাওয়া যেত। এখন সেটা ৮ হাজার টাকা কেজি করে কিনতে হয়। রাজন জামদানি হাউসের মালিক মো. নূরে আলম খাঁন বলেন, এই ব্যবসাটা ধরে রাখাটা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে জানি না এর ভবিষ্যত কী হবে? কোনো ক্রেতা পাওয়া যায় না। এখন মেশিনের মাধ্যমে জামদানি কাপড় তৈরি করা হয়। সেই জামিদানি হাতে তৈরি করা বলে চালিয়ে দেয়। মানুষ তো আর চিনে না। তারা কম দামে কিনতে পেরে খুশি।


আলিফ জামদানি হাউসের মালিক মো. নবী হোসেন বলেন, সব জিনিসেরই দাম বাড়ছে। এখন একটা জিনিস বিক্রি করতে গেলে আগের মতো আয় করা যায় না। আগে এক পিস সুতার লাচ্চি ৬ টাকায় কিনতে পারতাম। এখন সেটা ১৫ টাকায় কিনতে হয়। কিন্তু আমাদের তৈরিকৃত পণ্যের দাম তো আর বাড়ে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন, আসলে বিসিক সরাসরি ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত না। বিসিক শুধু সার্ভিসের সঙ্গে সম্পর্কিত। যার কারণে আমাদের এখানে কাজগুলো শিল্প নগরীতে উন্নীত করার জন্য বেসরকারি উদ্যাক্তাদের মাঝে দিয়ে থাকি। তারা এখানে এসে সেটআপ করে। সেটআপের সুযোগ সুবিধা আমাদের এখতিয়ারে। এর বাইরে মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে কোনো জিনিসের আপডাউন করলে এখানে আমাদের তেমন কিছু করার থাকে না।


তিনি আরও বলেন, তাদের মূল্যায়ন না হওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। প্রথমত এখানে যারা শ্রম দেয় সেসকল কারিগররা মালিকদের কাছ থেকে সেভাবে মজুরি পায় না। দ্বিতীয়ত টেক্সটাইল হয়ে যাওয়ায় তাদের কাজ দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। সেইসঙ্গে এই কাজটা শিশু অবস্থা থেকে শিখতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলে হাতে চোখে সমস্যা হয়ে যায়। যার কারণে অনেকেই এই কাজ করতে চায় না। টেক্সটাইলে কাজ করলে ভালো বেতন পাওয়া যায়। ফলে রুট লেভেল থেকে উঠে আসা কারিগর কমে যাচ্ছে। এছাড়া শ্রমের মূল্য আসলেই কম। তারা যে পরিমাণ শ্রম দেয় এবং একটি শাড়ি যে দামে বিক্রি হয় সে তুলনায় আসলেই শ্রমিকদের মূল্য কম। এই বিষয়টা মালিকপক্ষ এবং শ্রমিকপক্ষের ওপর নির্ভর করে। সুতার দাম বৃদ্ধিতে সার্বিকভাবে মালিকপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা নয়।

আশিকুর রহমান বলেন, আরেকটা বিষয় হচ্ছে মেশিনে জামদানি তৈরি করা হয়। দুই ঘণ্টার মধ্যেই তৈরি হয়ে যায়। যদিও মান খারাপ থাকে। যার কারণে মূল উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে যদি সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে ট্রেনিং সেন্টার করা না হয় কিংবা কোনো ভর্তুকি দেওয়া না হয় তাহলে সেটা টিকিয়ে রাখা অত্যন্ত কঠিন।

নিউজ ট্যাগ: জামদানি শাড়ি

আরও খবর

আতশবাজির আলোতে ঝলমলে রাজধানী

রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩

রসগোল্লার জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর