Logo
শিরোনাম

ডায়াবেটিসের যে লক্ষণ দেখা দেয় শরীরের ৬ অঙ্গে

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বর্তমানে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ঘরে ঘরেই। ডায়াবেটিস হলে বারবার পানি পিপাসা, ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন, ক্লান্তি, ঝাপসা দৃষ্টি ও অনিচ্ছাকৃত ওজন কমে যেতে পারে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে এর প্রভাব পড়ে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি বেড়ে গেলে শরীরের ক্ষুদ্র রক্তনালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত পৌঁছাতে পারে না সহজে।

এ কারণে ডায়াবেটিস হলে শরীরের গুরুতর সব অঙ্গে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিসের কারণে শরীরের কোন কোন অঙ্গে কী কী প্রভাব পড়ে ও লক্ষণ দেখা দেয়-

চোখ: রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে রেটিনার রক্তনালিগুলোতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, ফলে ঝাপসা দৃষ্টি, ছানি, গ্লুকোমা এমনকি গুরুতর ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিও হতে পারে। রেটিনোপ্যাথির কারণে রেটিনার পরিবর্তন ঘটে, যদি এর সঠিক চিকিত্সা না করা হয় তাহলে ডায়াবেটিস রোগীদের দৃষ্টিশক্তি কমে যায় এমনকি তারা অন্ধত্ব বরণও করতে পারে।

পা: ডায়াবেটিসের কারণে পায়ে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে স্নায়ুর ক্ষতি হয়, ফলে পায়ে সংবেদন অনুভব করতে পারে না। ডায়াবেটিসের কারণে পায়ে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে, ফলে পায়ের বিভিন্ন ক্ষত সারানো কঠিন হয়ে পড়ে। এর থেকেই ডায়াবেটিক ফুট বা ঘা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যদি ঘা বা সংক্রমণের চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে অঙ্গচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে।

কিডনি: কিডনি শরীরের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এটি শরীর থেকে সব ধরনের টক্সিন ও বর্জ্য ফিল্টার করতে সাহায্য করে। কিডনিতে থাকা একাধিক ক্ষুদ্র রক্তনালি বিশেষ এই অঙ্গের কার্যকারিতায় সাহায্য করে। রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার কারণে কিডনির রক্তনালিতেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এর থেকেই ডায়াবেটিক রোগীর কিডনির সমস্যা বাড়ে। যা ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি নামে পরিচিত। এর উপসর্গগুলোর মধ্যে আছে- প্রস্রাবে প্রোটিন, বারবার প্রস্রাবের বেগ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের অবনতি, পা, গোড়ালি, হাত ও চোখ ফুলে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বমি, ক্লান্তিসহ অনেক কিছু।

স্নায়ু: ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ও নেফ্রোপ্যাথির মতো, উচ্চ রক্তে শর্করাও ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি নামক স্নায়ুর ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই অবস্থার কারণে অসাড়তা বা ব্যথা বা তাপমাত্রা অনুভব করার ক্ষমতা কমে যায়। এছাড়া জ্বালাপোড়া, তীক্ষ্ণ ব্যথা, স্পর্শে সংবেদনশীলতা ও গুরুতর পায়ের আলসার, সংক্রমণ ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

হার্ট: রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে হার্টের রক্তনালিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে স্ট্রোক ও হৃদরোগসহ কার্ডিওভাস্কুলার জটিলতার ঝুঁকিতে থাকে। এছাড়া ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের উচ্চ রক্তচাপসহ হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে।

মাড়ি: মাড়ির রোগকে পিরিওডন্টাল রোগ বলে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে মাড়িতে রক্তপ্রবাহ কমে যায় ও পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যায়। এজন্য মাড়ি থেকে রক্তপাত ও প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাবেন কীভাবে: স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করার মাধ্যমে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ডায়াবেটিসসহ দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর ও কম প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতে হবে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে হবে। এজন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। এছাড়া ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন এড়াতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিয়মিত চেকআপ করানো ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা।

নিউজ ট্যাগ: ডায়াবেটিস

আরও খবর

একদিনে ৭ জনের করোনা শনাক্ত

বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩




‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করা হয়েছি’

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ২৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া যে গুম, খুন ও অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে, তার সামান্যটুকুও তারা সহ্য করতে পারবে না।

রোববার (২৭ মার্চ) বিআইসিসি মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে। বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের হত্যার পর তাদের লাশ গুম করা হয়েছ। বিচারের নামে বাহিনীর সদস্যদের অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। জিয়ার আমলে সাদা মাইক্রোবাস ছিল। সেই মাইক্রোতে যে উঠেছে, সে আর মায়ের কোলে ফিরে আসতে পারেনি।

বিএনপির নেতাকর্মীরা অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন- এমন অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী দলের সদস্যদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। আমরা তো তাদের মিছিল করতে দিচ্ছি। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতেই থাকতে দেয়নি। সড়কে নামলে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে, বাড়িঘর দখল করেছে। হত্যা-গুমের মাধ্যমে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, তারা যা করেছে, এর এক ভাগ করলেও তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা প্রতিশোধ নেইনি, আমরা অন্যায় করিনি। আমরা কেবল তাদের অন্যায়ের বিচার করছি।


আরও খবর



সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৫ সিটিতে নির্বাচন শেষ করতে চায় ইসি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের ৫টি সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। সিটি কর্পোরেশনগুলো হলো- গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা।

ইসি কমিশনার আলমগীর বলেন, গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন নিয়ে কমিশন আলোচনা করেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে এসব সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন করতে হয়। ইচ্ছা করলে ৬ মাসে শেষ করা যায়। মাঝামাঝিও করা যায়, আগেও করা যায়। যেহেতু জাতীয় নির্বাচন আছে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেজন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে এ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন আগে শেষ করা।’ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে রোববার গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

৫ সিটি করপোরেশনের ভোট একই দিনে হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, এক দিনে হবে না। ৬টি সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন করতে হবে। এগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের অনেক দেরি। বাকি ৫ সিটির নির্বাচন দুই দিনে বা তিন দিনে হতে পারে। যেগুলো আগে নির্বাচন উপযোগী হবে, সেগুলোতে আগে ভোট করা হবে।

তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল নিয়ে এখন পর্যন্ত কমিশনে কোনো আলোচনা হয়নি, তবে আগামী জুনের মধ্যে গাজীপুর সিটির নির্বাচন করতে কমিশন আগ্রহী বলেও জানান তিনি।

সিটি নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো নির্ভর করবে বাজেটের ওপরে। আমরা বাজেট চাইবো, টাকা পেলে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবো। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার আগ্রহ রয়েছে। তবে ইভিএমগুলোর ব্যাটারির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে। সার্ভিসিং করাতে হবে। সেজন্য টাকা লাগবে। তবে কমিশনের ইচ্ছা ইভিএমে করা।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর। কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়।

গাজীপুর সিটির পরবর্তী ভোটের সময় গণনা শুরু হবে ১১ মার্চ। ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। খুলনা ও রাজশাহী সিটির সময় গণনা শুরু হবে ১৩ এপ্রিল, ১০ অক্টোবরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এছাড়া বরিশাল সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে ১৪ মে, ভোট করতে হবে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে। সিলেট সিটির নির্বাচন করতে হবে ৬ মে থেকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে। আর ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে ২০ ডিসেম্বর থেকে, আগামী বছরের ১৯ জুনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।


আরও খবর



অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর তুরাগ এলাকায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে ব্যাংকটির বিভিন্ন বুথের এটিএম মেশিনে টাকা রাখতে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে সিকিউরিটি কোম্পানির গাড়ি। তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সিকিউরিটি কোম্পানির একটি গাড়িতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি পঁচিশ লাখ টাকা ওই ব্যাংকের সাভার ইপিজেড বুথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ব্রিজের পাশে ওৎ পেতে থাকা ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সে টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে আমরা কাজ শুরু করেছি।


আরও খবর

যাত্রাবাড়ীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23




৯০ হাজার পাকিস্তানি এবার হজে যেতে পারবেন না

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

অর্থনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করায় এ বছর ৯০ হাজার পাকিস্তানি হজ পালন করতে পারবেন না। রিজার্ভ-সংকট আর মুদ্রার বড় পতনের কারণে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চরমে।

বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে বিদেশে বসবাসরত প্রায় ৯০ হাজার পাকিস্তানিকে হজের কোটা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ পাকিস্তান থেকে এ বছর হজে যেতে পারবেন না।

পাকিস্তানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছেই। মূল্যস্ফীতি চরম পর্যায়। ভয়াবহ দুঃসময় কাটাতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটি। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এক ধরনের ফ্যানের উৎপাদন বন্ধ করেছে। রাতে দোকানপাট বন্ধসহ নানাভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে শাহবাজ সরকার।  এর মধ্যে দেশটির হজের কোটা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের প্রবাসী নাগরিকদের। এর ফলে এই ৯০ হাজার কোটা হিসেবে সুযোগ পাবেন বিদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানিরা।

দেশ থেকে অর্থ বাইরে যাওয়া ঠেকাতে এ উদ্যোগ বলে সরকারের সূত্রগুলো বলছে। এ উদ্যোগের ফলে প্রায় ৪০ কোটি ডলার (৪০০ মিলিয়ন ডলার) দেশের বাইরে যাওয়া বন্ধ করা যাবে বলে ভাবছে দেশটির সরকার। সম্প্রতি পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মুফতি আবদুল শাকুরের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে কোটার অর্ধেক বা ৮৯ হাজার ৬০৫ অনাবাসী পাকিস্তানিদের হজের জন্য সুযোগ দেওয়া হবে। এ উদ্যোগের ফলে অনাবাসী পাকিস্তানিরা হয় নিজেরাই কোটা নিতে পারেন বা পাকিস্তান থেকে কাউকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারেন।


আরও খবর



দাম কমলেও নাগালের বাইরে মুরগি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। কী নেই এই তালিকায়? চাল, ডাল থেকে আটা, ময়দা, ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, মুরগি, চিনি, ডিম সবকিছুর দামই বাড়তি। কম দামে মাংস বলতেই ছিল ব্রয়লার মুরগি। সেটিও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায়।

দফায় দফায় টানা প্রায় এক মাস দাম বাড়ার পর রমজানের প্রথমদিন কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এর সত্যতা মেলে। তবে ক্রেতারা বলছেন, দাম কমার পরও এখনও নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে মুরগি ও ডিম।

কারওয়ানবাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমে ২৪৫-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালির দাম ২০ টাকা কমে নেমেছে ৩৬০ টাকায়, আর দেশি মুরগি ৬৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূলত চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমেছে। তারা জানান, আগের তুলনায় তাদের বিক্রি কমে গেছে। এ অবস্থায় দাম আরও কমতে পারে বলে জানান তারা।

সরেজমিনে খুচরা চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গুটি স্বর্ণা কেজি ৫০ টাকা, মিনিকেট ৭০ টাকা, পাইজাম ৫০ টাকা, ২৮ চাল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত, পোলাও চাল খোলা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, প্যাকেট কেজি ১৫৫টাকা, ভেসন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মোটা দানা মশুর ডাল ১০০ টাকা, দেশি ছোট মশুর ডাল ১৩৫ টাকা, বুটের ডাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাদা চিড়া ৬৫টাকা কেজি, লাল চিড়া কেজি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার ১৮৭ টাকা, দুই লিটারের বোতল ৩৭৪ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল লিটার ১৮০ টাকা এবং পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা লিটার দরে।

এছাড়া লবণ এক কেজির প্যাকেট ৪২ টাকা কেজি, খোলা লাল চিনির কেজি ১৩০ টাকা, সাদা চিনি ১১২, দুই কেজির প্যাকেট আটা ১৩০ টাকা, দুই কেজি ময়দা ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ব্রয়লারের কেজি ২৫০ টাকা, লেয়ার ৩২০টাকা, সোনালি মুরগি ৩৬০, দেশি মুরগি ৬৮০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। বড় রসুনের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা। ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা, আদার কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২২০ টাকা।

আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়, খোলা চিনির কেজি ১১৫-১২০ টাকা, খোলা আটা ৬০ টাকা। তবে প্যাকেট আটা প্রতি কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৭০ টাকা। আর ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।


আরও খবর

রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ দাম ব্রয়লার মুরগির

শুক্রবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩