Logo
শিরোনাম

ডেঙ্গুতেও আইসিইউ সংকট

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সেন্ট যোসেফ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৬ বছর বয়সী হাবিবা সুলতানা। সে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর শ্যামলীর শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাঁচ দিনের জ্বরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) সাপোর্টে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে এই হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা ফাঁকা না থাকায় সাধারণ ওয়ার্ডে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে তার চিকিৎসা। হাবিবার বাবা একজন পুলিশ কর্মকর্তা। গতকাল রোববার রাজধানীর ৫ থেকে ৬টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে খোঁজ নিলেও আইসিইউ শয্যা মেলাতে পারেননি তিনি।

একই অবস্থা রাজধানীর আজিমপুরের বাসিন্দা আয়েশা বেগমের শিশুসন্তান সৈকতের। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিন দিন বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছিল সে। চার দিনের মাথায় সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি হয় শিশু হাসপাতালে। আইসিইউ শয্যা ফাঁকা না থাকায় হাবিবার মতো তাকেও অপেক্ষায় থাকতে বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, অক্টোবরের শুরু থেকেই আইসিইউ সংকট বেশি দেখা দিয়েছে। শয্যা না থাকায় অন্য হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে।

ডেঙ্গুর ভয়াল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় এমন অবস্থা শুধু শিশু হাসপাতালে নয়, রাজধানীর অন্যান্য হাসপাতালেও। দেশে করোনার সংক্রমণ যখন উদ্বেগজনক ছিল, সেই সময় যেমন আইসিইউ শয্যা নিয়ে হাহাকার ছিল, তেমন চিত্র আবার ফিরে এসেছে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ফাঁকা না পেয়ে রোগী নিয়ে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে স্বজনদের। অথচ এবারের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর ৩৫ শতাংশই শিশু। যাদের একটি বড় অংশের চিকিৎসাধীন অবস্থায় শক সিনড্রোম দেখা দিচ্ছে।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আইসিইউ সংকট আগেও ছিল। ডেঙ্গুর প্রকোপে আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। আইসিইউ শয্যা প্রয়োজন এমন ৩২ জন রোগী অপেক্ষমাণ। এবার ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশ কিছু অঙ্গে প্রভাব ফেলায় দ্রুত সংকটাপন্ন অবস্থা তৈরি হচ্ছে। এমনকি এ সেবা দিতে কিছুটা বিলম্ব হলে রোগীদের মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ারও আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। ডেঙ্গু সংকটে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে অন্যসব রোগের চিকিৎসাও।

রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন মুগদা জেনারেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখানে আড়াই হাজার ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এই হাসপাতালে ৩০টি আইসিইউতে এখন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তার মধ্যে জটিলতা নিয়ে একজন ডেঙ্গু রোগী আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। রাজধানীর একাধিক হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডেঙ্গুর শক সিনড্রোম দেখা দেওয়ার পর এ ধরনের অনেক রোগীকেই বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। লিখিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি করিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়ার। ঢামেক হাসপাতালে ৮০টি আইসিইউ শয্যা থাকলেও বেশিরভাগই অন্য রোগে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের দখলে রয়েছে।

অন্যদিকে বেসরকারি পর্যায়ে স্কয়ার, ইউনাইটেড কিংবা এভারকেয়ারের মতো উন্নতমানের হাসপাতালে ব্যয়বহুল নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) রেখে রোগীর চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে, হাসপাতালে মোট শয্যার ১০ শতাংশ আইসিইউ থাকার কথা থাকলেও দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে তা নেই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ৩ হাজার বেডের অনুপাতে ৩০০টি আইসিইউ বেড থাকার কথা। কিন্তু আছে মাত্র ৮০টি।

এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আশঙ্কা, যে ৩১ হাজার রোগী চলতি মৌসুমে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, এর ১০ শতাংশ রোগীর শক সিনড্রোম দেখা দিলে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় আইসিইউ কিংবা পিআইসিইউ নেই। ফলে আগামীতে মৃত্যুঝুঁকি আরও বাড়বে।

জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, এবার কয়েক ধরনের জ্বর একসঙ্গে দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বেশি দেখা দিচ্ছে ডেঙ্গু, করোনা ও সাধারণ সর্দি জ্বর। এসব ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই দুই থেকে তিন দিন বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই অপেক্ষার কারণে ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু চিকিৎসায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে আইসিইউ ও পিআইসিইউ বাড়ানো জরুরি। তিনি আরও বলেন, শক সিনড্রোমে তাঁদের শরীরে তরল পদার্থের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় এবং রক্তের প্লাটিলেট কমতে থাকে। ফলে তাঁদের দ্রুত নিবিড় চিকিৎসা প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এবার ডেঙ্গুতে যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের ৪৮ শতাংশেরই শক সিনড্রোম ছিল। এর একটি বড় অংশ দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি মাসের ২৩ দিনে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার রোগী। এ সময়ে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৬৩ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১১৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহামেদুল কবীর বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। আমাদের প্রস্তুতি হিসেবে রাজধানীর মহাখালী ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালকে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এরই মধ্যে ৯০ শয্যা ও ১৭টি আইসিইউ রোগীর জন্য প্রস্তুত, প্রয়োজনে আরও ৫০০ শয্যায় ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেওয়া হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর