Logo
শিরোনাম

দেশীয় সিনেমা দেখতে হলমুখী হচ্ছেন দর্শকরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

করোনা মহামারীর কারণে দুই বছর বদ্ধ অবস্থায় ছিল পুরো বিশ্ব। সিনেমার বাজারও ছিল মন্দা। ঘরবন্দী জীবন আর লকডাউনে মানুষ বিনোদনের জন্য দ্বারস্থ হয়েছে ওটিটি প্লাটফর্ম কিংবা ডিজিটাল মাধ্যমগুলোর। আর সেই দুই বছর হলগুলো অপেক্ষায় থেকেছে দর্শকের। তবে পরিবর্তন আসতে শুরু করে চলতি বছর থেকে। গত ১৭ ডিসেম্বর সারা বিশ্বে মুক্তি পায় মার্ভেলের স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম। বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০০ কোটি ডলার আয় করে সিনেমাটি। বাংলাদেশেও স্পাইডারম্যানের কদর ছিল। গত ৬ মে সারা বিশ্বে মুক্তি পায় ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস

সিনেমাটি দেখতেও রীতিমতো হলে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে দর্শকদের। এর পরই ঘুরে যায় দৃশ্য। দেশীয় সিনেমার কদর বাড়তে থাকে আমাদের দর্শকদের কাছে। ভিনদেশী সিনেমার চেয়ে এখন দেশীয় সিনেমার পাল্লাই ভারী। করোনা-পরবর্তী সময়ে দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি চাঙা করে রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমা গলুইশান। ৩ মে মুক্তি পাওয়া সিনেমা দুটি দিয়ে মূলত বহু বছর পর হাউজফুলের স্বাদ পায় দেশের প্রেক্ষাগৃহ। এরপর কোরবানির ঈদে মুক্তি পায় রায়হান রাফি পরিচালিত পরাণ। এ সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটেছে দর্শকরা। মুক্তির প্রায় তিন মাস পার হয়ে গেলেও এখনো দর্শক হলে গিয়ে পরাণ উপভোগ করছে। দেশের বাইরেও সমারোহে চলছে সিনেমাটি।

পরাণের পর গত ২৯ জুলাই মুক্তি পায় মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত সিনেমা হাওয়া। এটি এখনো চলছে দেশের বিভিন্ন হলে। এখানেই শেষ নয়, দেশের দর্শকদের মুগ্ধ করে দেশের বাইরেও রাজত্ব করছে হাওয়া। এমনকি এই সিনেমা একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অস্কারের ৯৫তম আসরের বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে অংশ নেবে। দর্শকদের হলে ফেরার এই জোয়ারে কিছুটা ভাটা পড়েছে বিদেশী সিনেমাগুলোর ক্ষেত্রে।

সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের মতে, বাংলা সিনেমার সুদিনে দেশে কিছুটা কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে বিদেশী সিনেমাগুলো। ২৩ সেপ্টেম্বর একই সঙ্গে মুক্তি পেয়েছে দীপংকর দীপন পরিচালিত অপারেশন সুন্দরবন এবং মাহমুদ দিদারের বিউটি সার্কাস। অপারেশন সুন্দরবন সিনেমায় অভিনয় করেছেন রিয়াজ, সিয়াম, জিয়াউল রোশান, নুসরাত ফারিয়া, রাইসুল ইসলাম আসাদ, তাসকিন রহমান, রওনক হাসান, শতাব্দী ওয়াদুদ, মনোজ প্রামাণিক, আরমান পারভেজ মুরাদ, দর্শণা বণিক প্রমুখ। অন্যদিকে বিউটি সার্কাস সিনেমায় জয়া আহসান আর ফেরদৌস আহমেদ ছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌকীর আহমেদ, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, গাজী রাকায়েত, হুমায়ূন সাধু, মানিসা অর্চি প্রমুখ। প্রথম দিন থেকেই হাউজফুল যাচ্ছে সিনেমা দুটির শোগুলো।

গত শুক্রবার সকালে স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে ৫টি বাংলা সিনেমা চলছে এর পর্দায়। পরাণ, হাওয়া ও বীরত্ব সিনেমা তিনটির সঙ্গে যোগ হয়েছে অপারেশন সুন্দরবন ও বিউটি সার্কাস। দর্শকরা ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে দেখতে যাচ্ছেন সিনেমাগুলো। এদিকে জেমস ক্যামেরন অ্যাভাটারের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আসছেন। আগামী ডিসেম্বরে মুক্তি পাচ্ছে অ্যাভাটার: ওয়ে অব ওয়াটার। যদিও এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর ফোরকে ভার্সনে নতুন করে মুক্তি দেয়া হয়েছে অ্যাভাটার। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটি এসেছে একই দিনে। তবে ৫টি বাংলা সিনেমার দাপটে খুব বেশি দর্শক সমাগম ছিল না অ্যাভাটারের। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেকেই বাংলা সিনেমা দেখতে এসেছেন।

বাংলা সিনেমার বর্তমান বাজারের অবস্থা নিয়ে কথা হয় স্টার সিনেপ্লেক্সের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, আমাদের দেশে বাংলা সিনেমার দর্শক আবার হলে ফিরে এসেছে। কুরবানি ঈদ থেকেই দেশের সিনেমা বাজারের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। অবশ্য এর আগে রোজার ঈদে গলুইশান সিনেমা দুটি থেকে দর্শক ফিরে এসেছিল। দর্শকের যে উপচে পড়া ভিড় আমরা দেখেছি পরাণ, হাওয়া ও দিন-দ্য ডে সিনেমা থেকেই। বলা যায় সিনেমাগুলো দর্শককে হলমুখী করেছে।

এ সময়ে দেশী সিনেমাগুলোর পাশাপাশি হলিউডের সিনেমা ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস এনেছিলাম। তবে দেখা গেল সে সময়ে বাংলা সিনেমার দর্শক আর শোয়ের সংখ্যা বেশি ছিল হলিউড সিনেমার থেকে। বলা চলে এ সময় থেকেই হলবিমুখ দর্শক পরিবার নিয়ে এসে সিনেমা দেখেছে।  আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে। অপারেশন সুন্দরবন আর বিউটি সার্কাস এল, এ সিনেমাগুলো দেখতেও প্রচুর দর্শক আসছেন। আমাদের দর্শক এখন হলমুখী, এ ধারা বজায় রাখতে তাদের ভালো কনটেন্ট দিতে হবে। ভালো গল্প নিয়ে কাজ করলে দর্শককে ধরে রাখা সম্ভব। নয়তো একটা সময় পর তারা আবার হলবিমুখ হয়ে যাবে। আমাদের দেশের তরুণ নির্মাতারা অনেক ভালো কাজ করছে। আমরা আশাবাদী এ ধারা বজায় থাকলে বাংলা সিনেমায় আগের সোনালি দিন ফিরে আসবে।

দেশের বাইরে নতুন সিনেমা মুক্তির আগে তারকাদের প্রচারণার কাজে ব্যস্ত থাকা যাচ্ছে। পরাণ ও হাওয়ার ক্ষেত্রে দেখা গেল, এবারে আমাদের দেশের নির্মাতা আর তারকারা সিনেমা মুক্তির আগে প্রচারণায় জোর দিয়েছেন। এমনকি সিনেমা মুক্তির পরেও হল ঘুরে দেখছেন। কখনো দর্শকের সঙ্গে উপভোগ করছেন সিনেমা। প্রচারণার এ ধারাবাহিকতা লক্ষ করা যায় মুক্তি পাওয়া অন্যান্য সিনেমার ক্ষেত্রেও। এতে করে সিনেমার প্রচারণার পাশাপাশি দর্শকের সঙ্গে শিল্পী আর নির্মাতাদের সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর