Logo
শিরোনাম

ঢাকাই চলচ্চিত্রে রাজবন্দনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

এবার ঈদুল আজহায় তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে পরাণ সিনেমাটি সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হচ্ছে। রায়হান রাফী পরিচালিত এ ছবিতে অনবদ্য অভিনয় করে আলোচনার কেন্দ্র চলে এসেছেন শরিফুল রাজ। একটি মফস্বল শহরের বখাটে যুবক, পাগলাটে প্রেমিকের ভূমিকায় শরিফুল রাজের লুক, অভিনয় সবার নজর কেড়েছে। অনেকেই তার প্রশংসা করেছেন। রাজকে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আগামীর সুপার স্টার বলছেন কেউ কেউ। প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি জনপ্রিয় খল অভিনেতা মিশা সওদাগর।

পরাণ ছবিটি দেখে সিনেমা হলের সামনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিশা সওদাগর বলেছেন, যদি ভুল না করে থাকি, রাজ অনেকদিন রাজত্ব করবে ইন্ডাস্ট্রিতে। এটা আমার বিশ্বাস। কারণ ও একেবারে হূদয় থেকে অভিনয় করে। একটা হৃদয় থেকে যখন কোনো কিছু আসে, তখন সেটা আরেকটা হৃদয় বুঝতে পারে। কাজ করতে গিয়ে এখন ব্যাটা খুঁজে পাই না। আমি যখন খলনায়ক হিসেবে কাজ করি, তখন নায়ককে ব্যাটা মনে করি। মান্না ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে এটা অনুভব করতাম, শাকিবের মধ্যেও ব্যাপারটা পেয়েছি। আর এবার পেয়েছি শরিফুল রাজের মধ্যে, যিনি পরাণ সিনেমার মূল অভিনেতা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজকে নিয়ে মিম লেখেন, পরাণ সিনেমার রোমানকে নিয়ে কিছু বলতে চাই, যার আসল নাম শরীফুল রাজ। সিনেমা করার আগে রাজের সঙ্গে সেভাবে পরিচয় ছিল না। রিহার্সালের সময় ফার্স্ট দেখা। অল্প সময়েই এমন মনে হচ্ছিল যেন তার সঙ্গে অনেক দিনের পরিচয়। হাসি, ঠাট্টার সঙ্গে রিহার্সেল হয়ে উঠেছিল আনন্দময়। রাজ খুব সাদাসিধে একটা ছেলে, তবে ভেতরে ভেতরে বেশ চঞ্চল। রাজের মনটা অনেক ভালো। রাজ অনেক স্ট্রাগল করে আজকের এ অবস্থানে এসেছে। রাজ যখন আরো বড় কিছু হবে, তখনো তার মধ্যে সেই সিমপ্লিসিটিটা থাকবে বলে আমি আশা করি, যা কিনা এখন আছে। কাজের সময় রাজ খুবই সিরিয়াস থাকে, মাথায় নিজের ক্যারেক্টার ছাড়া আর কিছুই থাকে না। অন্য সবকিছু ভুলে যায়। নতুনদের মধ্যে এটা খুব কম দেখা যায়। কাজের সময় একবারও মনে হয়নি, পরাণ রাজের তিন নম্বর সিনেমা। সবসময়ই মনে হয়েছে, একজন এক্সপেরিয়েন্সড অভিনেতার সঙ্গে কাজ করছি। দেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে রাজের মতো আরো নায়কের দরকার আছে উল্লেখ করে মিম লেখেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে শরীফুল রাজের মতো হিরো আরো দরকার। সে আরো অসাধারণ সব কাজ করুক, সেটাই আমার চাওয়া।

রাজের এক ধামাকার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেক ধামাকা প্রস্তুত। ২৯ জুলাই আসছে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত হাওয়া। এ সিনেমায় ইব্রাহিম নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। ইব্রাহিম গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা ট্রলারের ইঞ্জিনরুমে কাজ করে। জলকেন্দ্রিক মিথ নিয়ে নির্মিত সিনেমার ট্রেলার ও গান এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। হাওয়া যে রাজের ক্যারিয়ারে আরেকটি পালক যোগ করতে যাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। হাওয়ায় কাজ প্রসঙ্গে রাজ বলেন, আমি কাজের প্রতি সবসময় সিরিয়াস থাকি। মেজবাউর রহমান সুমন ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করে সিরিয়াসনেসটা আরো বেড়েছে। সুমন ভাই দুর্দান্ত ফিকশন বানান। ওনার প্রথম সিনেমা অনেক দিন পরিকল্পনা করেছেন। অনেক দিন ধরে শ্রম দিয়েছেন। আমার অভিনেতা হয়ে ওঠার প্রচেষ্টা আরো বেড়েছে সুমন ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করে। এছাড়া চঞ্চল চৌধুরী, সুমন আনোয়ারসহ অসাধারণ সব সহশিল্পী পেয়েছি এ সিনেমা করতে গিয়ে। সব মিলিয়ে হাওয়া নিঃসন্দেহে আমার জীবনের অন্যতম সিনেমা হয়ে থাকবে।

দামাল নামে একটি সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন রাজ। শেষ করেছেন সরকারি অনুদানের সিনেমা দেয়ালেরও কাজ। দেয়াল প্রসঙ্গে রাজ বলেন, দেয়ালে আমার সহশিল্পী শবনম বুবলি। এ সিনেমা সম্পূর্ণ গোপনে শুটিং করার পরিকল্পনা ছিল। আমরা বেশ সফলও হয়েছি। অনুদানের সিনেমাগুলো সাধারণত মুক্তিযুদ্ধ কিংবা দেশাত্মবোধক হয়। এই প্রথম অনুদানের সিনেমায় মানুষ অন্য রকম গল্প দেখবে। অনুদানের সিনেমায়ও অন্য রকম গল্প দেখানো যায়, সরকার অন্য ধরনের গল্পেও অনুদান দেয়দর্শক সিনেমাটা দেখে এটাই ভাববে।

অভিনয়ে আসার আগে র‌্যাম্প মডেল ছিলেন রাজ। র‌্যাম্পের অভিজ্ঞতা ক্যামেরার সামনে তাকে সাহায্য করছে বলে মনে করেন। তিনি বলেন, র‌্যাম্পের অভিজ্ঞতা সবসময়ই আমাকে সাহায্য করে। আমি মনে করি, র‌্যাম্প আর সিনেমার পার্থক্য একটাই। র‌্যাম্পে আমাকে সংলাপ বলতে হতো না, সিনেমায় সংলাপ বলতে হয়। এছাড়া বাকি সবই এক। মডেলিং জীবন আমার অভিনয়জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। আমি দুটো কাজই ভীষণ উপভোগ করি। আসলে আমি যখন যে কাজটাই করি, আনন্দ উপভোগের মধ্য দিয়ে করতে চাই।

নিউজ ট্যাগ: শরিফুল রাজ

আরও খবর