শেষ ওভারে মিনিস্টার ঢাকার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। প্রথম বলেই মৃত্যুঞ্জয়
চৌধুরী বোল্ড করেন কাইস আহমেদকে। ক্রিজে থাকা তামিম ইকবালের সঙ্গী হন নতুন ব্যাটসম্যান
মোহাম্মদ নাঈম। শেষ বলে নো বলও দিয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয়। ফ্রি হিটের সঙ্গে এক বল বেশি
পেয়েও তামিম-নাঈম ৫ রানের বেশি নিতে পারেননি। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে ৩ রানে জয় নিয়ে
মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রথম ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে লড়াইয়ে নামে আফিফ
হোসেনের দল।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে চট্টগ্রাম। রান
তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান নিয়ে থামে ঢাকা।
মৃত্যুঞ্জয় চার ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এ ছাড়া শরিফুলও
৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন সমান সংখ্যক উইকেট।
তামিম ওপেনিংয়ে নেমে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ৫৬ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থেকে
মাঠ ছাড়েন। ৩৯ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ফিফটি করেছিলেন। শুরুতে যখন ৩ উইকেট হারিয়ে দল বিপদে
তখন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন তামিম। দুজনের চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ৫৯ বলে
৭১ রান যোগ হয়। বাউন্ডারি লাইনে শামীম পাটোয়ারীর দারুণ দক্ষতায় বেনি হাওয়েলের ক্যাচে
২৪ বলে ২৯ রান করে মাহমুদউল্লাহ আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর শুভাগতকে নিয়ে জয়ের পথেই ছিলেন তামিম। কিন্তু শেষ দুই ওভারে শরিফুল-মৃত্যুঞ্জয়ের
তোপে সব এলোমেলো হয়ে যায় ঢাকার।
প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য চট্টগ্রামের এই জয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
ছিল। ৯ ম্যাচে ৪ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দলটির অবস্থান চতুর্থ স্থানে। অন্যদিকে ৮ ম্যাচে
৩ জয়ে ঢাকার অবস্থান পঞ্চম স্থানে।
এর আগে শামীমের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে চট্টগ্রাম। সর্বোচ্চ ৫২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এ ছাড়া ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন হাওয়েল।