Logo
শিরোনাম

ঢাকার দুই মেয়রের ‘মন্ত্রী’ পদমর্যাদা কতদূর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ জুন 2০২2 | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়ররা দায়িত্ব নেন ২০২০ সালের মে মাসে। এরই মধ্যে পার হয়েছে তাদের দায়িত্ব গ্রহণের দুবছর। মেয়র হিসেবেই কাজ করছেন তারা। এখনো মেলেনি মন্ত্রীর পদমর্যাদা। মেয়রদ্বয়ের দপ্তর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মন্ত্রীর পদমর্যাদা না পাওয়ায় প্রটোকলসহ সরকারি সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন তারা। সরকার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেয়ররা মন্ত্রীর পদমর্যাদা পাবেন কি না সেটা পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সিদ্ধান্ত।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন মন্ত্রী পদমর্যাদায় ছিলেন। একই পদমর্যাদায় ছিলেন ঢাকা উত্তরের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। তার মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হন মো. আতিকুল ইসলাম। তখন আতিকুল ইসলামও কিছুদিন মন্ত্রীর পদমর্যাদা পান। কিন্তু এখন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামের কোনো পদমর্যাদা নেই। মেয়র হিসেবেই কেটে গেছে দুবছর। ভবিষ্যতে তারা পদমর্যাদা পাবেন কি না তা কেউ বলতে পারছেন না। কখন কাকে কোন পদমর্যাদা দেওয়া হবে তা নির্ভর করে সরকারি নীতিনির্ধারক বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর। তবে ঢাকার দুই মেয়রের মন্ত্রীর পদমর্যাদা না থাকায় রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রটোকল নিয়ে তাদের নানা সমস্যা পড়তে হয় বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।

তারা জানান, ঢাকার মেয়ররা মন্ত্রী পদমর্যাদার হবেন, দীর্ঘ বছর ধরেই এ রেওয়াজ চলে আসছে। বিগত আমলের মেয়ররাও মন্ত্রিত্বের সব সুযোগ-সুবিধা পেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান মেয়ররা এখনো মন্ত্রীর পদমর্যাদা পাননি। এতে বিভিন্ন সভা বা সেমিনারের প্রটোকল নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সচিব দপ্তর সূত্র জানায়, এখনো শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম মেয়র হিসেবেই নিজেদের দাপ্তরিক কাজ এবং বিভিন্ন সভা বা সেমিনারে অংশ নিচ্ছেন। মন্ত্রী পদমর্যাদা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বা স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সংস্থাগুলোকে কিছু জানানো হয়নি। যদিও ঢাকার মেয়রদের বিশেষ মর্যাদা থাকলে সংস্থার কাজের গতি বাড়ে। বিশেষ করে অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করতে সহজ হয়। কারণ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন পদমর্যাদার ক্রম অনুযায়ী, অতিরিক্ত সচিবের একধাপ ওপর সিটি করপোরেশনের মেয়ররা। অথচ ঢাকার অনেক সেবা সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা চেয়ারম্যান পদে সচিব বা সিনিয়র সচিবরা দায়িত্ব পালন করছেন। এ অবস্থায় ঢাকার দুই মেয়র সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, সরকারি কর্মবিভাজন (রুলস অব বিজনেস) অনুযায়ী মেয়রদের মন্ত্রী বা মর্যাদা দেওয়ার এখতিয়ার ও ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর। তবে আগের মেয়রদের যে পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছিল তা মেয়র পদকে দেওয়া হয়নি, দেওয়া হয়েছিল নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে। তাই ব্যক্তিটি কেমন, সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) আনিসুল হক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) মোহাম্মদ সাঈদ খোকন মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ২২ জুন এক প্রজ্ঞাপনে এ দুই জনপ্রতিনিধিকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয় সরকার। তখন তারা মন্ত্রী পদমর্যাদার আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছিলেন। এর মধ্যে আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর ২০১৯ সালে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নয় মাস ডিএনসিসির মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন আতিকুল ইসলাম। তখন তিনি মন্ত্রী পদমর্যাদার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছিলেন। এছাড়া অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরশনের প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকাও মন্ত্রী পদমর্যাদা পেয়েছিলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মেয়রদের মন্ত্রী পদমর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে সিটি করপোরেশন আইন বা সরকারের স্থায়ী কোনো নীতিমালা নেই। তবে যখন দেওয়া হয়, তখন কিছু নীতিমালা ও শর্তের ভিত্তিতে দেওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসসিসির সচিবের দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, মেয়রদের কাজ হচ্ছে নিজ নিজ সিটি করপোরেশনের কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। এজন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে যে ক্ষমতা ও পদমর্যাদা রয়েছে সেটাই যথেষ্ট। মেয়রকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হলো কি না, তা নগরবাসীর কিছু যায় আসে না। তবে পদমর্যাদা দেওয়া হয় প্রধানত রাজনৈতিক বিবেচনায়। এটা এক ধরনের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা।

শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম দুজনই ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এখন এই দুজনের পদমর্যাদা নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলেছে জাগো নিউজ। তারা জানান, আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপসকে মন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না কেন বা কোনোরকম পদমর্যাদা ঘোষিত হচ্ছে না কেন- এনিয়ে দলে নানা কথাবার্তা হচ্ছে। এরই মধ্যে কেউ বলছেন, দেশে যখন করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন এই দুই মেয়র দায়িত্ব নেন। এভাবে করোনায় কেটে গেছে দুবছর। তাই বিষয়টি অনেকটাই ধামাচাপা পড়ে রয়েছে। আবার কেউ বলছেন, ডিএসসিসি মেয়র পদে নির্বাচনে শেখ ফজলে নূর তাপসকে প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে নাখোশ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হয়তো এ জন্য তাকে পদমর্যাদা দেওয়া হয়নি। তার সঙ্গে মেয়র আতিকুল ইসলামেরও কপাল পুড়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীর পদমর্যাদা ভোগ করছেন। কে এই মর্যাদা পাবেন বা পাবেন না তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নির্ধারণ করে। এখানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কিছু করার থাকে না।


আরও খবর

আতশবাজির আলোতে ঝলমলে রাজধানী

রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩

রসগোল্লার জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর