ঢাকাসহ দেশের
১৭টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস রয়েছে। তাই এসব এলাকার
নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(০২ জুন) রাতে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ একেএম
নাজমুল হক জানিয়েছেন, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর,
মাদারিপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার
এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার
বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার
নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এক পূর্বাভাসে
বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত
বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর
হয়েছে। দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরো বিস্তার লাভের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি বিরাজ
করছে।
এই অবস্থায় শুক্রবার
(০৩ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়
এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা
হাওয়ার সাথে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের
কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশের দিন এবং রাতের
তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব
দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে
৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশে
সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কক্সবাজারে, ৫৮ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা
হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
করা হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।