Logo
শিরোনাম

ঢাকায় নেই হাঁটার পরিবেশ ও বাইসাইকেল লেন!

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৭১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানী ঢাকার প্রায় ৬০ ভাগ মানুষ পায়ে হেঁটেই চলাচল করেন। কিন্তু পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য নগরীতে নেই পর্যাপ্ত ও নিরাপদ ফুটপাত। উঁচু-নিচু, ভাঙা, যখন-তখন ফুটপাত খোঁড়াখুঁড়ি, হকারদের দাপট, মোটরসাইকেল উঠিয়ে দেওয়া, বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যাওয়ার কারণে ফুটপাত ধরে চলাচলকারী নগরবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ ছাড়া, বিচ্ছিন্নভাবে ঢাকায় বাইসাইকেলের আরোহী বাড়লেও বিকল্প সাইকেল লেন গড়ার উদ্যোগ বরাবরই সরকারি পরিকল্পনায় উপেক্ষিতই থাকছে। এক হিসাবে দেখা যায়, বাইসাইকেল রপ্তানিতে বাংলাদেশ অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ। তারপরও দেশে পরিবেশ না থাকায় বাইসাইকেল চালাতে পারছে না নগরবাসী। যারা চালাচ্ছেন তারাও ঝুঁকি নিয়ে চালাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জ্বালানি সংকটের এই সময়ে হাঁটার পরিবেশ নিশ্চিত করলে অনেক সাশ্রয় হতো। এ ছাড়া বাইসাইকেল চালানোর পরিবেশ থাকলেও ব্যাপকভাবে জ্বালানি সাশ্রয় হতো। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মেট্রোরেল মোট গণপরিবহণের চাহিদার মাত্র ১৭ শতাংশ মেটাবে। ফ্লাইওভারও ব্যবহার করে নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষ। প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ চলা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও শুধু পরিবহন চলাচলের কাজে ব্যবহার করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানীর ফুটপাতের উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে সামান্য কিছু টাকা ব্যয় করলেই ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করে হাঁটার পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়। এ ছাড়া নগরীর সড়কগুলোর দুই পাশের প্রায় অর্ধেকই অবৈধ গাড়ি পার্কিং করে দখল করে রাখা হয়। এই অবৈধ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হয়ে দুই পাশে বাইসাইকেল লেন করে দিলেই বাইসাইকেল চালকদের জন্য যেমন উপকার হত তেমনি পরিবেশের জন্যও ভালো হতো। দুই সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা শহরে ফুটপাত আছে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি। এই ফুটপাতের বেশিরভাগই ভাঙাচোরা, হাঁটার অনুপযোগী এবং দখলদারদের দখলে। ফুটপাতগুলো সংস্কার করা হয় না বললেই চলে। মাঝে মাঝে বিচ্ছিন্নভাবে দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় কিন্তু অভিযান শেষে সিটি করপোরেশনের লোকজন চলে গেলেই আবার দখল হয়ে যায়।

হাঁটতে চাইলেও পরিবেশ ও নিরাপত্তা নেই: দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরে ৬০ ভাগ অর্থাৎ ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ হেঁটে চলতে চাইলেও তাদের নিরাপত্তা নেই এই শহরে। গতবছর প্রথমবারের মতো পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পথচারী প্রবিধান নীতিমালা-২০২১ এর খসড়া হলেও সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি।

এসব বিষয় নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, বর্তমানে জ্বালানি সংকটের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। তাই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নগরে হেঁটে যাতায়াতের সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা আবশ্যক। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মোহাম্মদ খান  বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হাঁটা ও সাইকেলবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো তাদের পরিকল্পনায় হাঁটা ও সাইকেলকে প্রাধান্য দেয়।

সাইক্লিস্টের সংখ্যা বাড়লেও সরকারি পরিকল্পনা নেই: বিশ্বজুড়ে বড় শহরগুলোতে বাইসাইকেল একটি জনপ্রিয় বাহন। ঢাকা শহরেও গণপরিবহনের অপ্রতুলতা ও নানা সীমাবদ্ধতায় নগরবাসী সাইকেলের দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু তাদের অভিযোগ, ঢাকার রাস্তাঘাট সাইকেলবান্ধব নয়। বরং এই নগরীতে সাইকেল চালানো ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকির কারণ মূলত আলাদা সাইকেল লেন না থাকা। বাস-ট্রাক-প্রাইভেট কার-সিএনজি চালিত অটোরিকশা-মোটরসাইকেলের মতো বাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাইকেল চালানো কঠিন। সাইক্লিস্টরা জানান, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গাড়ি সড়কের উপর দাঁড় করিয়ে রাখার কারণে সেগুলোকে সাইড দিতে গিয়ে রাস্তার মাঝামাঝি চলে যেতে হয়। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে।

ঢাকায় এখন পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে এক কিলোমিটার সাইকেল প্রাধান্য অথবা সাইকেলবান্ধব একটা রুটও পাওয়া যাবে না দাবি করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব  বলেন, যেগুলো আছে সেগুলোও খণ্ডিত। লেন মানে হলো এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে নির্বিঘ্নে যাতয়াত করা। তেমন কিছু নেই এই শহরে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে সাইকেলের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সেটা বাংলাদেশে নেই উল্লেখ করে ইকবাল হাবিব বলেন, এটার জন্য পরিকল্পিত নগর চলাচল ব্যবস্থা যেমন দরকার সেটার কোনো উদ্যোগও আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।

নিউজ ট্যাগ: বাইসাইকেল লেন

আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর