Logo
শিরোনাম

ধীর হচ্ছে বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মন্দার আশঙ্কা উচ্চ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | ৮১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে চলছে অস্থিরতা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পণ্য ও পরিষেবার দাম। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। এ অবস্থায় বিশ্ব অর্থনীতিতে উচ্চ মন্দার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। পাশাপাশি আগামী কয়েক বছর ধীর জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, ২০২০ সালে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ সংকোচনের পর গত বছর ৫ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। তবে চলতি বছর ২ দশমিক ৭  এবং ২০২৩ সালে ২ দশমিক ৬ শতাংশের ধীর প্রবৃদ্ধি হবে। চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ব অর্থনীতিতে নানা প্রতিবন্ধকতা জেঁকে বসেছে। কোভিডজনিত প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ টালমাটাল এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর মধ্যে মার্চ-এপ্রিলে চীনে নতুন করে কোভিডজনিত লকডাউন সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরো বিপর্যয়ে ঠেলে দিয়েছে। একই সময়ে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি ও খাদ্যের মূল্য ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের ইকোনমিক রিসার্চ বিভাগের নির্বাহী পরিচালক সারা জনসন বলেন, বিশ্বের জনসংখ্যা বার্ষিক প্রায় ১ শতাংশ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথাপিছু প্রকৃত জিডিপি ইতিবাচক পর্যায়ে থাকবে। ফলে বৈশ্বিক মন্দা এড়ানো যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও বৃহৎ অর্থনীতিগুলোয় মন্দার ঝুঁকি ৪০-৫০ শতাংশের মধ্যে রয়ে গিয়েছে। ২০২২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক জিডিপি সংকুচিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে একে মন্দার সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। নতুন কোনো বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি না হলে চলতি বছরের তৃতীয় ও চতুর্থ প্রান্তিকে ২ শতাংশের কম গতিতে হলেও বিশ্ব অর্থনীতি প্রবৃদ্ধিতে ফিরবে বলে মনে করা হচ্ছে।

লকডাউনের পর চীনে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় অর্থনীতি হিমশিম খেলেও এশিয়া প্যাসিফিকের উদীয়মান অর্থনীতিগুলো শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির দেখা পাচ্ছে। কোভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে ভ্রমণ, পর্যটন এবং অন্যান্য ভোক্তা পরিষেবা খাত শক্তিশালীভাবে পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে। কোনো কোনো খাত এরই মধ্যে কোভিডপূর্ব পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। যদিও ২০২০ সালের মন্দায় ভোক্তানির্ভর এ খাতগুলো স্থবিরতার মধ্যে পড়েছিল।

এদিকে ক্রমবধর্মান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়াতে শুরু করেছে। বাকি ব্যাংকগুলো এমন পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। ফলে ভোক্তা ব্যয় নিম্নমুখী হওয়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। সুতরাং মূল্যস্ফীতির গতিও নিম্নমুখী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি বছর বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে আগামী বছর ৪ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়াবে। পরের বছর ২০২৪ সালে মূল্যস্ফীতির হার ২ দশমিক ৭ শতাংশে নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি ২০২২ ও ২০২৩ সালে টেকসই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। এ সময়ে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের অর্থনীতি সম্ভবত ৫-৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি পাবে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, দক্ষ সরবরাহ ব্যবস্থা, প্রতিযোগিতামূলক ব্যয় এবং স্থিতিশীল প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ এ অঞ্চলের অর্থনীতি প্রসারিত করতে সহায়তা করছে। অঞ্চলটি চিপ ও গাড়ির শক্তিশালী চাহিদা থেকে উপকৃত হচ্ছে। কোভিডের কয়েকটি ধাক্কা কাটিয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল এখন শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ইউক্রেন

আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর