ধর্ষণের অভিযোগে দুই বিএসএফ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দুই জওয়ানের গ্রেপ্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বাগ্যুদ্ধ। রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে মোটেই নিরাপদ নয় রাজ্যের মানুষ। তবে বিজেপি এই অভিযোগকে আগের একাধিক ভুয়া অভিযোগের উদাহরণ টেনে সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
ঘটনাটি উত্তর
২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর বাগদায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। ওই দুই জওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ,
সন্তান কোলে নিয়ে এক ভারতীয় নারী বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ।
আরও সেই সময়ই তাঁকে বেগুন খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনা গত বৃহস্পতিবার রাতের।
গত শনিবার তাদের আদালতে পেশ করা হয়। দুজনই বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নে। একজন হলেন
এএসআই এস পি চেরো এবং অন্যজন অন্যজন কনস্টেবল আলতাফ হোসেন। পরে পুলিশ লিখিত অভিযোগ
পেয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে, বিএসএফ
সূত্র জানা গেছে, ঘটনার পরপরই ওই দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলছেন
না বাহিনীটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বনগাঁর পুলিশ সুপার তরুণ হালদার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,
সীমান্ত বাহিনীর সদস্যদের গণধর্ষণের ভুক্তভোগী এক ভারতীয় নারী নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে
তাঁর অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন। তিনি বলেন, ওই নারীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু
হয়েছে। বিএসএফের দুই জওয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর জবানবন্দি রেকর্ড
করা হয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, যাঁদের কাছে দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে তাঁরা ধর্ষণ করছে। অনন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তবে বিষয়টিকে খুব একটা আমলে নিতে নারাজ বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এমন ভুয়া অভিযোগ ওঠে। তবে যদি তা সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে ভয়ংকর ঘটনা।