
দক্ষিণ
কোরিয়ার দেগু শহরের আইনজীবী কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৭ জনের
মৃত্যু হয়েছে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪৬ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মৃতদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি পুলিশ। পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আগুন লাগানোর কারিগর
হিসেবে সন্দেহ করছে মৃত সাতজনের একজনকে।
দক্ষিণ
কোরিয়ার রাজধানী সিউল থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে দেগু শহরের আইনজীবীদের অফিস
ভবনের দ্বিতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ৭ জনের মৃত্যু হয়। আগুনের
ধোঁয়ায় গুরুতর আহত অবস্থায় ৪৬ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়
সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
এখনও
মৃতদের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে ঘটনাস্থলে মারা যাওয়া সাত জনের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের
সন্দেহভাজন ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন জানায় পুলিশ কর্মকর্তারা।
পুলিশ
সিসিটিভি বিশ্লেষণ করে আগুন লাগার কারণ হিসেবে সন্দেহ করছে মৃত সাতজনের একজনকে।
পুলিশ
জানায়, সন্দেহভাজন ৫০ বছর বয়সী ভবনের অফিসে প্রবেশ করার মাত্র ৩০ সেকেন্ড পর এ অগ্নিকাণ্ডের
সূত্রপাত হয়। সিসিটিভির (ক্লোজড সার্কিট) ভিডিও ডেটা অনুসারে, সেদিন সকাল ১০টা ৫৩
মিনিটে সেই ব্যক্তি একটি মুখোশ পরে একা অফিসে ঢুকেছিলেন। এক হাতে তিনি একটি সাদা কাপড়
দিয়ে আবৃত একটি দাহ্য পদার্থ বলে মনে করা হচ্ছে। সিঁড়ি দিয়ে দ্বিতীয় তলায় উকিলের
অফিসের সামনে ট্রাউজারের পকেট থেকে কিছু একটা বের করে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকল।
অফিসে
প্রবেশ করার মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে যা দাহ্য বলে মনে করছে স্থানীয়
পুলিশ। এমন একটি দৃশ্যও ছিল যেখানে আগুনের লেলিহান শিখা এবং ধোঁয়া বের হয়ে যাওয়ায়
কিছু কর্মীকে সরিয়ে নিতে হয়েছিল।
পুলিশ
বলছে, যে দেগু মেট্রোপলিটন পুলিশ এজেন্সি আগুনের সঠিক কারণ শনাক্ত করার জন্য একটি তদন্ত
টিম তৈরি করেছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের শনাক্ত করার
জন্য কাজ করছে পুলিশ।
দমকল
বাহিনী জানিয়েছে, ৬৪ টি ফায়ার ট্রাক ঘটনাস্থলে পাঠানোর ২০ মিনিট পর আগুন নিয়ন্ত্রণে
আনা হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১৬০ কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছিলেন। বিস্ফোরণের শব্দ
শোনা গেছে এমন খবর পেয়ে কর্মকর্তারা আগুনের কারণ শনাক্ত করতে কাজ করছেন।
স্থানীয়
মন্ত্রী লি সাং-মিন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান।
মৃত এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।