ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ বাজারে দর্জির দোকানগুলোতে পুরোদমে চলছে নতুন পোশাক তৈরির হিড়িক। সেই সঙ্গে দোকানের মেঝেতে রয়েছে কাপড়ের স্তুপ। ডান-বায়ের দেয়ালেও ঝুলছে নানা রঙ ও নকশার বানানো পোশাক।
সেলাই মেশিনের একটানা খটখট আওয়াজ চলছে। এর মধ্যেই নেওয়া হচ্ছে নতুন পোশাকের অর্ডার। একই সঙ্গে চলছে মাপ অনুযায়ী কাপড় কাটার কাজও। ঈশ্বরগঞ্জ বাজার এর বেশ কয়েকটি দর্জির দোকানে ঘুরে এমন ব্যস্ততা ও ক্রেতাদের ভীড় দেখা গেছে। দর্জিদের দম ফেলার ফুসরত নেই। কিছু দর্জি বলছেন আমরা আজ থেকে পোশাক তৈরির অর্ডার আর নিচ্ছি না। কারণ কারিগররা আর কত পোশাক তৈরি করবে।
ক্রেতারা জানান, রমজানের ১৭দিন পেরিয়ে গেলো। আর কয়েক দিন পরেই ঈদুল ফিতর। হাতে আর তেমন সময় নেই। যারা তৈরি পোশাক (রেডিমেড) পড়তে পছন্দ করেন না বা নিজের পছন্দমতো মাপে ও ডিজাইনে পড়তে অভ্যস্ত, তারা এখন ভিড় করছেন দর্জির দোকানগুলোতে। তাই ঈশ্বরগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন দর্জির দোকানে এখন ব্যস্ততা বেশি।
দর্জির দোকানিরা জানান, এখন ব্যস্ততাটা বেশিই দম ফেলার সময় নেই। তবে এ ব্যস্ততা শুরু হয়েছে রমজান মাস শুরুর পর থেকেই। শুরুতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করতে হতো, আর এখন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তারা আরও জানান, পরিশ্রম একটু বেশি হচ্ছে, তবুও তারা খুশি। কারণ, ঈদের মৌসুমে বাড়তি কাজের অর্ডার হয়। এতে বাড়তি আয়ও হচ্ছে।
ঈশ্বরগঞ্জ বাজারের, ম্যাক্স টেইলার্স এর কারিগর আল আমিন বলেন, আমরা আধুনিক ডিজাইনের রুচিসম্মত পোশাক তৈরি করি। এবারের ঈদে প্রতিটি প্যান্টের জন্য ৪শ’ টাকা, শার্টে ৩শ’ টাকা, পায়জামা ২শ’টাকা, পাঞ্জাবিতে ৪শ’থেকে ৩শ’টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান।
প্রাইম টেইলার্সের স্বত্বাধিকারি মুরাদ জানান, এবার রমজানের শুরু থেকেই ভালো অর্ডার পাচ্ছি। যেহেতু অর্ডার বেশি তাই গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। করোনায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আশা করি তা কাটিয়ে উঠতে পারব।