ঈদের ছুটি শেষে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণ অঞ্চলের কর্মজীবী মানুষজন।
শুক্রবার সকাল থেকে কর্মস্থলগামী মানুষ ও তাদের বহনকারী যানবাহনের চাপ দেখা যায় দৌলতদিয়া
ঘাট এলাকায়।
সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। পর্যাপ্ত লঞ্চ থাকায় সেখানে তেমন ভোগান্তি হয়নি। তবে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে বলে অনেক যাত্রীই অভিযোগ করেন। অপরদিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পল্টুনে দেখা যায়, ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসা বহু যাত্রী ফেরিতে পদ্মা নদী পার হয়ে গন্তব্যে ফিরছেন।
বেলা বাড়ার
সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা। সেই যানবাহনের দীর্ঘ
সারি তৈরি হয় প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। এতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া জিরো
পয়েন্ট থেকে ক্যানেল ঘাট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এলাকায় পারের অপেক্ষায় আটকে পড়ে শতাধিক
ছোট-বড় যানবাহন।
ফরিদপুর থেকে
আসা যাত্রী আশিকুর রহমান বলেন, ফরিদপুর থেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঘাট পর্যন্ত এসেছি। এতে
সড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হয়েছে। এরপর ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে
হচ্ছে।
কুষ্টিয়া থেকে
আসা জেআর পরিবহনের যাত্রী তাহমিনা আক্তার বলেন, ঈদে বাড়ি যেতে এই ঘাটে তেমন একটা ভোগান্তি
না হলেও এখন ফিরে আসতে দুর্ভোগ হচ্ছে।
অপরদিকে দৌলতদিয়া
ঘাটে ফেরি ও লঞ্চে যাতে কেউ বাড়তি টাকা না নিতে পারে সেজন্য জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেটকে নজরদারি করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি যাতে সকলে নিয়ম মেনে পার হয় সেজন্য
বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদারকি করতে দেখা গেছে।
বিআইডব্লিউটিসি
দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যাবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, এই ঈদে যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন
করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২১টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। যার মধ্যে দুইটি ফেরি
বিকল হয়ে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতের জন্য রাখা হয়েছে।
বাকি ১৯টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।