হঠাৎ ঘন কুয়াশা
পড়ায় আজ সোমবার সকাল থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে সোয়া এক
ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল পৌনে ৭টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে একটি রো রো (বড়)
ফেরি ছেড়ে মাঝনদীতে পৌঁছে কুয়াশার কবলে পড়লে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সকাল ৮টার
দিকে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
ঘাট সংশ্লিষ্ট
সূত্র জানায়, আজ ভোররাতের দিকে নদী অববাহিকায় কুয়াশা পড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
কুয়াশা আরও ভারী হয়ে চারদিকে কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সকাল সাড়ে
৬টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে যানবাহন বোঝাই করে রো রো ফেরি শাহ পরান পাটুরিয়ার উদ্দেশে
ছেড়ে যায়। সকাল পৌনে ৭টার দিকে ফেরিটি মাঝনদীতে পৌঁছামাত্র ভারী কুয়াশার কবলে পড়ে।
এ সময় সামান্য সামনের একটু দূরের জিনিসও দেখতে না পাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরির মাস্টার
ফেরি নোঙর করতে বাধ্য হন। তীব্র শীত ও কুয়াশার মধ্যে ফেরিতে থাকা যানবাহনের কয়েক শ
যাত্রী, গাড়ি চালক ও সহকারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন।
মাঝনদীতে ফেরি
আটকে যাওয়ার খবর পেয়ে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট থেকে ফেরি ছাড়া বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এ সময় দৌলতদিয়া প্রান্তে ৫টি এবং পাটুরিয়া ঘাট প্রান্তে বাকি ১৩টি ফেরি নোঙর করে থাকতে
বাধ্য হয়।
দৌলতদিয়া ঘাট
টার্মিনাল এলাকার বাসিন্দা শফিকুল শামীম বলেন, ভোররাত থেকে ভারী কুয়াশায় যানবাহন চলাচল
ব্যাহত হয়। এ সময় খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হয়নি। তবে ঘাট এলাকার কিছু শ্রমজীবী
মানুষ দেখা যায়। কেউ কেউ চায়ের স্টলে গরম কাপে চুমুক দিতে দেখা যায়।
দৌলতদিয়ার ৫
নম্বর ফেরিঘাট এলাকার ব্যবসায়ী আলমগীর মোল্লা বলেন, কুয়াশায় চারদিকে ঘোলাটে পরিবেশ
তৈরি হয়েছে। এ সময় ঘাটে ফেরিগুলো যানবাহন বোঝাই করে নোঙর করে রয়েছে। কিছু ফেরি ঘাট
ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের কর্তব্যরত সহকারী ব্যবস্থাপক মো. নাসির খান বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার পর থেকে কুয়াশায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়। পৌনে ৭টার দিকে রো রো ফেরি শাহ পরান মাঝনদীতে আটকে যাওয়ার খবর পেয়ে উভয় ঘাট থেকে ফেরি ছাড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টা পর সকাল ৮টার দিকে কুয়াশা কমতে থাকলে ঘাটে নোঙরে থাকা ফেরিগুলো ঘাট ছাড়তে শুরু করে।