Logo
শিরোনাম

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৮৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে নদীপথে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় ঘাট কর্তৃপক্ষ। এ সময় তীব্র শীতের মধ্যে শতাধিক যানবাহন ঘাট এলাকায় আটকা পড়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও চালকেরা।

বিআইড‌ব্লিউ‌টি‌সি দৌলত‌দিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন জানান, হঠাৎ ভো‌রে কুয়াশার ঘনত্ব বে‌ড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়া‌তে সকাল ৬টা থে‌কে ফে‌রি চলাচল বন্ধ রাখা হ‌য়ে‌ছে। কুয়াশার ঘনত্ব ক‌মে আস‌লে পুনরায় ফে‌রি চলাচল শুরু করা‌নো হ‌বে। বর্তমানে এই রুটে ছোট বড় ১১টি ফে‌রি চলাচল কর‌ছে।


আরও খবর



বায়ুদূষণে আজ দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ২১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর। এদিন বেলা ৮টার দিকে ২০০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।

এদিন ২৫৯ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ১৭৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৭৩ স্কোর নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৬৮ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়।

এ ছাড়া একইসময়ে একিউআই স্কোর ১৬৮ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই। ১৫৮ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। ১৫৫ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই। ১৪৯ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন। ১৪৮ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা।

এর আগে ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ঢাকার বায়ু ছিল অস্বাস্থ্যকর বা খুবই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায়। প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




সহিংসতা বন্ধে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বৈঠক আজ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রাণঘাতী সহিংসতা বৃদ্ধি থামাতে শীর্ষ ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করতে চলেছে জর্ডান। আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) লোহিত সাগরের পাশে বন্দরনগরী আকাবায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরের শহর নাবলুসে ১১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করার কয়েকদিন পর এই পরিকল্পিত বৈঠকটি হচ্ছে। গত বুধবারের ওই অভিযানে নিহতের সংখ্যা ২০০০-২০০৫ সালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। খবর আল-জাজিরার।

চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সহিংসতায় শিশুসহ অন্তত ৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে ১০ ইসরায়েলি এবং এক ইউক্রেনীয় পর্যটক মারা গেছেন।

এদিকে, জাতিসংঘ বলেছে, ২০০৬ সালের পর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জন্য গত বছরটি ছিল সবচেয়ে মারাত্মক সময়। ইসরায়েলি বাহিনী সেই সময়ের মধ্যে ৩০ শিশুসহ ১৭১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

জর্ডানের একজন সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, রোববারের রাজনৈতিক-নিরাপত্তা বৈঠকটি ইসরায়েলের একতরফা পদক্ষেপ এবং নিরাপত্তা ভাঙ্গনের অবসান ঘটাতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে জর্ডানের চলমান প্রচেষ্টার অংশ, যা আরও সহিংসতাকে উসকে দিতে পারে।

১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা উপত্যকা দখল করে নেয়। তবে ফিলিস্তিনিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য এ অঞ্চলগুলো নিজেদের মনে করে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




ছাত্ররাজনীতিকে মানুষ আগের মতো সম্মানের চোখে দেখে না : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১১১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দখলবাজি আর চাঁদাবাজির কারণে ছাত্ররাজনীতিকে এখন আর মানুষ আগের মতো সম্মানের চোখে দেখে না। বরং নেতিবাচক দেখে। এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুখকর নয় বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, দুঃখের বিষয় আজকাল রাজনীতিতে ক্ষমতা আর অর্থবিত্তের দাপটই নিয়ামক শক্তি হিসেবে অনেক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। ছাত্ররাজনীতিতেও এসব অশুভ ছায়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, খেলাপি ঋণের এক শতাংশের জন্যও সাধারণ মানুষ দায়ী নয়। তিনি বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিরাই বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে স্বেচ্ছায় খেলাপি হচ্ছেন। তারা ঋণ নেনই, না দেয়ার জন্য। অবশ্য এর সঙ্গে একশ্রেণির ব্যাংকারেরও যোগসাজশ আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আরও বলেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সার্কভুক্ত একটি দেশের অর্থনীতির দেউলিয়াত্বে সে দেশের একজন মন্ত্রীর খবর অনেকের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অর্থনীতি দেউলিয়াপনার জন্য আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের চক্রকেই দায়ী করা হয়েছে। এ চক্রের অশুভ আঁতাত যেকোনো দেশের জন্যই বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা, মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধের শিক্ষায় দীক্ষিত হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে এসব শিক্ষার প্রধান কেন্দ্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আইনের দ্বারা পরিচালিত হয়। কিন্তু বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের অপব্যবহার করে একটা নিজের সুযোগ সুবিধা এবং আখের গোছাতে তারা বেশি ব্যস্ত থাকে। ক্ষমতা ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রদের ব্যবহার করতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। পত্রপত্রিকা খুললেই দেখা যায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজির নেতিবাচক খবর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপাচার্য ও শিক্ষকদের সংশ্লিষ্টতার খবরই বড় করে ছাপা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা অনেক ঊর্ধ্বে। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তির অপকর্ম ও অদক্ষতা গোটা শিক্ষক সমাজের মর্যাদাকে ম্লান করছে। এছাড়া ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

এর আগে বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা সমাবর্তনস্থলে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও প্রভাষক এবং সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যরা অংশ নেন। এবারের সমাবর্তনে মোট ১৫ হাজার ২২৩ জন গ্র্যাজুয়েট অংশ নিয়েছেন।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




‘রাশিয়ার তলবের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রুশ জাহাজ বাংলাদেশে ভিড়তে না দেওয়ায় মস্কোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে রাশিয়ার তলবের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে ঢাকা। এ বিষয়ে ঢাকা বৃহস্পতিবার প্রতিক্রিয়া জানাবে।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মস্কোয় আমাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রাশিয়ার যে বৈঠক হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। সেখানে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও হয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষিতে যখন যেখানে যে ভোটিং ভেটিং দরকার ছিল, সেটা আমাদের নীতিগত অবস্থান থেকে আমরা সবসময় করেছি। এ নিয়ে জাতিসংঘে আরও একটি রেজ্যুলুশনও আসছে।

শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, তবে গতকালের (রাশিয়ায় বৈঠক) বৈঠকের বিষয়ে আমরা আগামীকাল প্রতিক্রিয়া জানাবো।

বৈঠকের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, বঙ্গোপসাগরে জাহাজ ইস্যু ছাড়াও আরও বেশ কিছু ইস্যুতে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিশ্লেষণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

গত মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রুশ জাহাজ ভিড়তে না দেওয়ায় মস্কোয় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে তলব করে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ রাশিয়ার পণ্যবাহী জাহাজ দেশটির বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে বিষয়ে মস্কোর বাংলাদেশ কূটনৈতিক মিশনের প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বপূর্ণ চরিত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই পদক্ষেপ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতার সম্ভাবনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এসব জাহাজ অভ্যন্তরীণ বন্দরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রেক্ষিতে মস্কোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে রাশিয়া।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আগের দুটি শর্তেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে। এ-সংক্রান্ত আবেদনে দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

রোববার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

খালেদার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে। এ অবস্থায় কিছুদিন আগে খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। এ নিয়ে নির্বাহী আদেশে সাতবারের মতো খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করেছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির নিয়ম অনুযায়ী এ দরখাস্ত করতে হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, এ দরখাস্ত তারা প্রথম থেকেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করে আসছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে থাকে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ষষ্ঠবারের মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য তারা আবেদন করেছিলেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে আগের মতো, আগের যে দুটো শর্ত ছিল, সেই দুটো শর্ত সাপেক্ষে আবারও মুক্তির মেয়াদ ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধি করছি।

শর্ত দুটি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, তিনি ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। নিজ বাসা থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন মানে তিনি হাসপাতালে যেতে পারবেন না, তা নয়। তিনি হাসপাতালেও যেতে পারবেন।

আর তিনি (খালেদা জিয়া) এ সময়ে বিদেশে গমন করতে পারবেন না। এ দুই শর্ত সাপেক্ষে তার দণ্ডাদেশ আরও ছয় মাস স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আনিসুল হক বলেন, আমরা মতামত দিয়েছি। আমাদের মতামতের ভিত্তিতেই গত কয়েকবার এটা (দণ্ড স্থগিত) কার্যকর করা হয়েছে। আশা করি, এ মতামতের ভিত্তিতেই এবারও সেটা কার্যকর হবে।

তিনি বাসায় থেকে রাজনীতি করতে পারবেন কি না- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি একটা কথা বারবার বলেছি। দরখাস্তে যেটা বলা হচ্ছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। সেক্ষেত্রে রাজনীতি করার প্রশ্নটা তো অবান্তর। তিনি মুক্ত, তিনি অসুস্থ, তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখানে রাজনীতির কথাটা আসাটা আমরা মনে হয় প্রয়োজন নেই।

একজন অসুস্থ মানুষ কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না আমি সেটা ডিকটেশন দিয়ে দেব না। কিন্তু এটা সবাই স্বীকার করছেন যে, তিনি অসুস্থ।

শর্তে নেই কিছুদিন ধরে তো এটা (রাজনীতি করা) নিয়ে আলোচনা হচ্ছে- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা আইন পড়েন। আইনে কী আছে, আইনই বলে দিবে। আমার এখানে স্পষ্টীকরণের কিছু নেই। একটা বাস্তবতা আপনাদের মেনে নিতে হবে। মুক্তির আবেদনের মধ্যে যে কথাটা প্রথম থেকে রয়েছে- তা হলো তিনি অসুস্থ, গুরুতর অসুস্থ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাজনীতি করার প্রশ্নটা তো অবান্তর।

আমরা আমাদের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সামারি পাঠাবেন বলেন তিনি।

সাতবারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে কী রাজনীতি রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, এর মধ্যে কোন রাজনীতি নেই। এটা সম্পূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা।

আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশের রাষ্ট্রদূতরা বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিএনপি তাদের বলেছেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। ইইউ রাষ্ট্রদূতরা জানিয়েছেন, তারা আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন- এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে আমার কী বলার আছে। জনগণ যেটা চায়, সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না। এটাই হলো সারা বাংলাদেশের অবস্থান।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে হাপাতালে নিতে হচ্ছে।

দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর পরিবারের আবেদনের দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ছয়বার বাড়ানো হয়।


আরও খবর