গ্যাসের দাম
দুই চুলায় ১০৫ টাকা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)
গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। এখন আবাসিক গ্রাহকদের দুই চুলার জন্য মাসে বিল দিতে হয়
৯৭৫ টাকা। আর এক চুলার গ্যাসের ক্ষেত্রে ৬৫ টাকা বিল বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এখন
এক চুলার জন্য মাসে বিল দিতে হয় ৯২৫ টাকা। বিইআরসির সুপারিশ কার্যকর হলে দুই চুলার
ক্ষেত্রে বিল বেড়ে হবে ১ হাজার ৮০ টাকা। আর এক চুলার ক্ষেত্রে হবে ৯৯০ টাকা।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির
প্রস্তাব নিয়ে মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটনের বিয়াম ফাউন্ডেশনের মিলনায়তনে দ্বিতীয় দিনের
মতো শুনানি করে বিইআরসি। সকালে শুনানি হয় সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাবের
ওপর। সংস্থাটি খুলনা ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করে। বিকালের শুনানিতে অংশ নেয়
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি। সংস্থাটি বগুড়া, সিরাজগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গে গ্যাস সরবরাহ
করে।
শুনানিতে বিইআরসির
দাম বাড়ানোর সুপারিশের তীব্র বিরোধিতা করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
সংগঠনটি বলছে, সরকারি কোম্পানি পরিচালনার জন্য রাজস্ব চাহিদার বেশি টাকা দেওয়ার সুযোগ
নেই।
দেশের ছয়টি
গ্যাস বিতরণ কোম্পানি গত জানুয়ারিতে গড়ে ১১৭ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল। এতে
এক চুলায় ২ হাজার ও দুই চুলায় ২ হাজার ১০০ টাকা করার দাবি করা হয়েছিল। বিইআরসির চেয়ারম্যান
আবদুল জলিল মঙ্গলবারের শুনানিতে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ১১৭ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির
প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়। দুর্বল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে না।
সবার আগে জনগণ।
কারিগরি কমিটির সুপারিশে বাসার ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম প্রায় ৪৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এতে প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করা গ্রাহকদের গ্যাসের বিল বেড়ে যাবে। বর্তমানে মাসে ৫০ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করা একজন গ্রাহক ৬৩০ টাকা দিলেও নতুন দামে তাদের খরচ পড়বে ৯০০ টাকা। আর দুই চুলায় একজন গ্রাহকের কাছ থেকে আগে মাসে ৭৭ ঘনমিটার গ্যাসের বিল নেওয়া হলেও এবার তারা ৬০ ঘনমিটার ধরে হিসাব করেছে। দুই ধরনের গ্রাহকের মধ্যে বৈষম্য কমাতে এটি করা হয়েছে বলে জানায় কারিগরি কমিটি।