Logo
শিরোনাম

দুই কোম্পানির দুই ডোজ টিকা নেওয়া যাবে?

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মে 2০২1 | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১৬১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

করোনার টিকা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা ও বিভ্রান্তি। ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে কোভিশিল্ড টিকার চালান আবার কবে আসবে তা নিশ্চিত জানা যায়নি এখনও। অনিশ্চয়তার মধ্যেই রাশিয়ার স্পুটনিক ও চীনের সিনোফার্মাকে টিকার জন্য জরুরি অথোরাইজেশন দেওয়া হয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর জানিয়েছে, স্পুটনিকের ৪০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসবে মে মাসেই।

দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ যতো মানুষ নিয়েছেন তারা সঠিক সময়ে একই টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। আবার দ্বিতীয় ডোজের টিকা অন্য কোম্পানির নিলে টিকার কার্যকারিতা থাকবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে অনাস্থা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবচেয়ে ভালো হয় একই কোম্পানির দুই ডোজ টিকা নিতে পারলে। দুই কোম্পানির দুই ডোজ টিকার সুফল বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে এখনও গবেষণালব্ধ ফল পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও।

দুই কোম্পানির দুই ডোজ দেওয়া যাবে কিনা এমন প্রশ্নে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিশেষজ্ঞ বললেন, ভ্যাকসিনের ইতিহাসে এমন ঘটনা দুই-তিনবার ঘটেছে। সরবরাহে সমস্যার কারণে এমনটা হয়েছিল। এটার পেছনে বৈজ্ঞানিক কোনও যুক্তি নেই।

অন্য কোম্পানির টিকা নিয়ে যা জানালেন বিশেষজ্ঞরা

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠন (আইইডিসিআর)-এর উপদেষ্টা ও মহামারি বিশেষজ্ঞ ডা. ‍মুশতাক হোসেন বলেন, এক কোম্পানির টিকাই নিতে হবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ২০ লাখ ডোজ পাওয়ার কথা আমাদের। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ছয় কোটি ডোজ রয়েছে। তারা কোভ্যাক্সে সেটা দেবে। কোভ্যাক্স থেকে আমরা পাবো। আমেরিকা থেকে যদি কম টাকায় নেওয়া যায়, সেটাও নিতে পারি।

তিনি আরও বলেন, একজন টিকাগ্রহীতা দুই কোম্পানির দুই ডোজ নিতে পারবেন না। কারণ, এর ট্রায়াল এখনও হয়নি। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও স্পুটনিকের ফর্মুলা এক হলেও কিছু সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে।

একই প্রশ্নে জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, একেবারেই নেওয়া যাবে না, তা নয়। এ সংক্রান্ত গবেষণার কিছু প্রাথমিক ফল আশাব্যাঞ্জক। আমার মতে, দুটো মিক্স করা যাবে।

দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় তিন মাসের জায়গায় চার মাস গ্যাপ হলেও আমাদের সাজেশন থাকবে একই কোম্পানির টিকা নেওয়া। গ্যাপ আরও বাড়লেও অসুবিধা নেই। অধ্যাপক লিয়াকত আলী আরও বলেন, দুই কোম্পানির টিকা নেওয়া যাবে, আবার গ্যাপ দিয়ে একই কোম্পানিরটাও নেওয়া যাবে।

মডার্না ও ফাইজারের দুই ডোজ দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা হচ্ছে জানিয়ে ডা. লিয়াকত বলেন, দুই কোম্পানির দুই ডোজ নিয়ে ট্রায়াল হচ্ছে। ফলাফল এখনও আসেনি। এ নিয়ে কাজ চলছে। তবে দুই কোম্পানির দুই ডোজ মিক্স করলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, এমনও হতে পারে। তবে যেহেতু গবেষণার ফল এখনও চূড়ান্ত নয়, তাই আগের টিকাই নেওয়ার কথা বলবো। আমেরিকার কাছে যে ছয় কোটি ডোজ রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার, সেটা পাওয়ার জন্য আমরা সরকারকে লবিং করার অনুরোধ করছি।

তিনি বলেন, তবে অন্য জায়গা থেকে আনার চেষ্টাও হচ্ছে। জুনের শেষ নাগাদ হয়তো সেরাম থেকেও কিছু চলে আসবে। সব মিলিয়ে মনে করি না দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতি পড়বে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান খসরু বলেন, আমি মনে করি ভ্যাকসিন আসবে। কারণ এখনও প্রায় ২০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার। তাই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার মতো ভ্যাকসিন তাদের রয়েছে বলে আমি মনে করি।

ডা. খসরু বলেন, যদি কোনওভাবেই ভ্যাকসিন না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারে। ১২ সপ্তাহ পর পাওয়া না গেলে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে অন্য ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যখন হাতে কিছুই থাকবে না, তখন বিকল্প নিয়ে ভাবা যেতে পারে। সেটা বিশেষজ্ঞ কমিটি সুপারিশ করবে।

লম্বা গ্যাপই ভালো

প্রথম ডোজের পর ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের সময় থাকে। আরও কিছুদিন দেরি হলেও অসুবিধা নেই বলে মন্তব্য করেন ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, ব্রিটেনে বলা হচ্ছে যত লম্বা গ্যাপ হবে, ততোই ভালো। একই মত দেন অধ্যাপক লিয়াকত আলীও।

কতো টিকা দেওয়া হলো?

৭ ফেব্রুয়ারি দেশে জাতীয়ভাবে করোনা প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৬১৬ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২৮ লাখ পাঁচ হাজার ৬৯৪ জন। দুই ডোজ মিলিয়ে মোট ৮৬ লাখ ২৫ হাজার ৩৫০ ডোজ টিকা দেওয়া শেষ হয়েছে।

২৬ এপ্রিল থেকে বন্ধ করা হয়েছিল প্রথম ডোজের কার্যক্রম। প্রথম ডোজ দেওয়া ২৯ লাখ ৬৮ হাজার ৯২২ জন এখনও দ্বিতীয় ডোজ পাননি। এদিকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫৬ জন।

গত নভেম্বরে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডের ৩ কোটি ডোজ টিকার বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশে এই টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরবরাহ করবে। মাসে সেরাম থেকে দেশে ৫০ লাখ ডোজ আসার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখন টিকা পাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ভারত থেকে টিকা এসেছে এক কেটি দুই লাখ ডোজ। ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি আসে ২০ লাখ ডোজ। সরকারের অর্থে কেনা টিকার প্রথম চালানে ২৫ জানুয়ারি আসে ৫০ লাখ ডোজ। সর্বশেষ ২৩ ফেব্রুয়ারি আসে ২০ লাখ ডোজ। ২৬ মার্চে আসে আরও ১২ লাখ ডোজ। অর্থাৎ, ভারত থেকে এ পর্যন্ত টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ।

ফেব্রুয়ারির চুক্তির ৩০ লাখ এবং মার্চের ৫০ লাখ ও এপ্রিলের ৫০ লাখ টিকাও দেশে আসেনি। অর্থাৎ চুক্তির এক কোটি ৩০ লাখ টিকা এখনও পায়নি বাংলাদেশ।

এর মাঝে ভারত টিকা রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশে টিকার মজুদ ফুরিয়ে যাবে বলেও জানা গেছে।

নিউজ ট্যাগ: করোনার টিকা

আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর