পাবনার ঈশ্বরদীতে
স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সৌদি প্রবাসী স্বামী রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে পৌর এলাকার পশ্চিমটেংরী
বাবুপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ সোনিয়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোনিয়া ঝিনাইদহের
মেহেশপুরের হামিদপুর গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে। তিনি ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি পোশাক তৈরি
কারখানায় চাকরি করতেন।
অভিযুক্ত রুবেল
হোসেন একই এলাকার বাসিন্দা। হামিম নামের তাদের তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
বাড়ির মালিক একরাম
আলী বুদু জানান, বুধবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীসহ স্বজনরা এসে দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট
ভাড়া নেন। রাতে রান্না করে খাওয়া দাওয়া করেছে তারা। সকাল ৮দিকে বাসার দরজা খোলা দেখে
ভেতরে ঢুকে দেখতে পাই সোনিয়ার রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। এ সময় তার পরনে বোরকা ছিল। গলা
ও পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের খালাতো
বোন নারগিস খাতুন জানান, সোনিয়া তাকে মুঠোফোনে জানিয়েছে তার স্বামী রুবেল সৌদি আরব
থেকে এসেছে। রুবেল আসার পর বুধবার দুপুরে তারা বাবুপাড়ায় বাসা ভাড়া নেন। বৃহস্পতিবার
সকাল ৯টার দিকে একজন মুঠোফোনে সোনিয়ার মৃত্যুর খবর জানায়।
ঈশ্বরদী থানার
ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত রুবেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা
চলছে।
পাবনা সার্কেলের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামান সরকার জানান, সোনিয়া খাতুনের গলায় ও পেটে ধারালো
অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় সিআইডি ও পিআইবি আলামত সংগ্রহ করেছে।