Logo
শিরোনাম

দুশ্চিন্তায় দৌলতদিয়া ঘাটের হকার-ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সব বাধাবিপত্তি ও ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে। পরদিন ২৬ জুন থেকে সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। পদ্মা সেতুকে ঘিরে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষের অনেক চাওয়া-পাওয়া। এই সেতুর মাধ্যমেই দক্ষিণবঙ্গ অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হবে। তবে সেতু উদ্বোধন ঘিরে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের মাঝে যতটা খুশির আমেজ রয়েছে তার থেকে বেশি কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট দৌলতদিয়া ঘাটের খেটে খাওয়া মানুষ, হকার ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে।

কারণ পদ্মা সেতু চালু হলে চাপ কমবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে। তখন আর আগের মতো রমরমা অবস্থায় থাকবে না ঘাট এলাকা। ফলে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যও আগের মতো থাকবে না। এতে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিয়তায় পড়বে। তাই তাদের দাবি- দ্রুত দৌলতদিয়া ঘাটকে আধুনিক নৌবন্দর করা হোক এবং তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জায়গা করে দেওয়া হোক।

স্থানীয় কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় চা-পান, ও টংয়ের দোকান রয়েছে শতাধিকের মতো। দুই থেকে তিন শতাধিক মানুষের আয়ের উৎস এই সব দোকান। এছাড়াও এই ঘাট এলাকার আশপাশে ছোট-বড় প্রায় অর্ধশত খাবার হোটেল রয়েছে। সেখানেও প্রায় শতাধিকের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাছাড়াও ঘাট এলাকায় ও ফেরিতে পেয়ারা, ডাব, আনারস, ডিম, বাদাম, ঝালমুড়ি, শরবত বিক্রি করেন শতাধিক ভ্রাম্যমাণ ব্যক্তি। পদ্মা সেতু চালু হলে এই রুটে যাত্রী ও যানবহন কমে যাবে, তখন তাদের বেচা-বিক্রি কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তবে ঘাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন- ভ্রাম্যমাণ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, হোটেল মালিক ও হকাররা তাদের ব্যবসা নিয়ে যে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তা বোঝা যাবে সেতু চালুর এক-দুই সপ্তাহ পর। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের গুরুত্ব কমে যাবে এমনটি ভাবা যাবে না। কারণ যারা গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া, মানিকগঞ্জ, ঢাকার গাবতলী যাবেন তারা তাদের সুবিধার জন্য এই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহার করবেন। এছাড়াও ছোট পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান পদ্মা সেতু দিয়ে পার হলেও ভারী পণ্যবাহী ট্রাকগুলো এই রুট ব্যবহার করবে। এছাড়াও রাজবাড়ী, ফরিদপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে কাঁচামালের ট্রাকগুলোও দৌলতদিয়া দিয়ে পার হবে। পদ্মা সেতু চালু হলে তখন দৌলতদিয়ায় বাড়তি চাপ পড়বে না। তখন ভোগান্তি ছাড়াই সবাই নদী পার হতে পারবে।

দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার পেয়ারা বিক্রেতা আকমল শেখ বলেন, গত ১৪-১৫ দিন ধরে বেচাকেনা একদমই কম। ঘাট এলাকায় আর আগের মতো চাপ নেই। ঘাট এলাকা রমরমা থাকলে বেচাকেনা ভালো হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে তখন দৌলতদিয়া ঘাট যাত্রীশূন্য হয়ে যাবে। বেশিরভাগ দক্ষিণবঙ্গের পরিবহনগুলো সেতু ব্যবহার করবে। তখন আমরা কীভাবে সংসার চালাব? আমি ঘাট এলাকায় পেয়ারা বিক্রি করেই সংসার চালাই।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী আহম্মদ খান। তিনি ১৫ থেকে ২০ বছর যাবত এই দৌলতদিয়া ঘাটে হোটেল ব্যবসা করে আসছেন। তার হোটেলে গিয়ে দেখা যায়,  তিনি অলস সময় পার করছেন। আর তার কর্মচারীরাও ভেতরে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। আহম্মদ খানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার একমাত্র আয়ের উৎস এই খাবার হোটেল। আগে প্রতিদিন যেখানে ২০-৩০ হাজার টাকা বেচাকেনা হতো, এখন সেখানে পাঁচ-ছয় হাজার টাকা হওয়াই কষ্টকর। নিজে খাব কী, আর কর্মচারীদের দেব কী। আমার এখন খরচই উঠছে না। পদ্মা সেতু চালু হলে তখন এই রুটের যাত্রীর চাপ কমে যাবে। তখন আমার হোটেল ব্যবসা ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। তবে এই ঘাট আধুনিক নৌবন্দর হলে তখন আমাদের ব্যবসা আবার রমরমা হবে। দ্রুতই এই ঘাটের আধুনিকায়ন করার দাবি জানান তিনি।

দৌলতদিয়া ঘাটের হোটেল ব্যবসায়ী টিটু শেখ, লোকমান ফকিরসহ একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, এই ঘাট এলাকায় অর্ধশতাধিক খাবারের হোটেল রয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে আমাদের বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট ও রেলস্টেশন এলাকায় অর্ধেক হোটেলের বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষ না আসলে আমাদের হোটেল চলার কোনো সম্ভাবনা নেই। দৌলতদিয়া ঘাটের হকার সুরুজ, উজ্জ্বল, শহিদুল, সাঈদসহ অনেকই বলেন, ঘাট এলাকায় যানজট থাকলে আমাদের ব্যবসা ভালো হয়। দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ির সিরিয়াল থাকলে বিক্রি ভালো হয়। কিন্তু গত ১৪-১৫ দিন হলো ঘাট ফাঁকা। আবার পদ্মা সেতু চালু হলে এই রুটে যানবাহন কমে যাবে। তখন আমরা কি করে খাব?

রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সহসভাপতি অরূপ দত্ত হলি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের অর্থনীতিতে সাফল্য বয়ে আসবে। এই অঞ্চলে নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। গ্যাস আসবে। আমাদের দাবি দৌলতদিয়া নদী বন্দর আধুনিকায়ন করা হোক। এই বন্দর দিয়ে যদি নদী পথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হয় তবে ব্যাপক সাফল্য আসবে। সেটির মূল ভিত্তি হতে পারে পদ্মা বহুমুখী সেতু।

বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও এর পশ্চিমে দেবগ্রাম প্রান্তে ৬ কিলোমিটার এবং পাটুরিয়া ঘাটে ২ কিলোমিটার স্থায়ীভাবে আধুনিকায়ন করতে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক গত বছরের জানুয়ারিতে ৬৮০ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু করতে না পারা ও দ্রব্যমূল্যের দম বৃদ্ধি পাওয়াতে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে আমরা নতুন করে প্রকল্পের ব্যয় ধরেছি ১ হাজার ৩৫১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এছাড়াও দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। বুয়েট থেকে নকশার চূড়ান্ত অনুমোদন আসেনি। যে কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে।

রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, দৌলতদিয়া নদী বন্দর আধুনিকায়নের কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে একটু জটিলতা তৈরি হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হলেই আশা রাখি কাজ শুরু হবে। পদ্মা সেতু চালু হলে এই অঞ্চলের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। তখন ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তবে পদ্মা সেতু চালু হলে ঘাট এলাকায় চাপ কমে যাবে। তখন সাধারণ মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই এই নৌরুট ব্যবহার করে তাদের গন্তব্যে যেতে পারবে।

রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে যানবাহন পারাপার কমে আসবে। আমরা আগামী এক মাস পর্যবেক্ষণ করব। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। তবে কোনো মানুষ কর্মহীন হবেন না। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেখবেন বলে আমি প্রত্যাশা করি।


আরও খবর

আতশবাজির আলোতে ঝলমলে রাজধানী

রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩

রসগোল্লার জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর