ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের
উত্তরে অবস্থিত একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল চলাকালীন শিক্ষিকাদের ‘হিজাব’ না পরতে নির্দেশনা দিয়েছে। তবে
‘নিকাব’ শব্দের পরিবর্তে অনিচ্ছাকৃতভাবে
‘হিজাব’ লেখা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির
সেনাবাহিনী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম
জানায়, চলতি মাসের গত ২৫ এপ্রিল ওই নির্দেশনা জারি করে ‘ডাগর পরিবার’ নামে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ। পুনের
একটি এনজিও এবং দেশটির সেনাবাহিনী বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য স্কুলটি পরিচালনা করে।
শিশুদের মনের
মধ্যে যেন ভয়ের সঞ্চার না হয়, তারা যাতে সংশয়ে না থাকে এবং অনেক বেশি নিরাপদ অনুভব
করে, সেজন্য স্কুল চলাকালীন হিজাব না পরতে নির্দেশ দেওয়া হয় বলে নির্দেশনায় উল্লেখ
রয়েছে।
তবে ‘হিজাব’ শব্দটি অনিচ্ছাকৃতভাবে উল্লেখ
হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
দ্য ইন্ডিয়ান
এক্সপ্রেসকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেরন মুসাভির বলেন,‘নির্দেশনায় অসতর্কতাবশত ‘হিজাব’ শব্দের উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত
‘নিকাব’ (এটির মাধ্যমে চোখ ছাড়া মুখ ঢেকে
রাখা হয়) নিষিদ্ধের নির্দেশ ছিল। কারণ স্কুলটি বিশেষ শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালিত হয়।
এসব শিক্ষার্থীর অনেকে কানে শুনতে পায় না। তাদেরকে মুখের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে
ধ্বনিবিষয়ক শিক্ষা দিতে হয়।’
মুখপাত্র আরও
বলেন, ‘‘একজন শিক্ষিকা ‘নিকাব’ পরলে কীভাবে তিনি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিবেন। নিকাবের কারণে শিক্ষার্থীরা
শিক্ষিকার মুখের অবয়ব দেখতে পান না। ফলে তাদের স্বাভাবিক পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত হয়। এ
কারণে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর এই নির্দেশনা শুধুমাত্র শিক্ষিকাদের জন্য প্রযোজ্য।’’
স্কুল কর্তৃপক্ষের
ওই নির্দেশনাকে ঘিরে রাজ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। রাজনীতিবিদরা এ ঘটনাকে কর্ণাটক
রাজ্যে হিজাব নিষিদ্ধের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করছেন। তারা প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা
নিশ্চিতের দাবি জানান।