ভোলায় পাতিহাঁস
কালো ডিম পাড়ার বিষয়টি নিয়ে পুরো দেশে আলোচনা চলছে। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
ভাইরাল হয়েছে বিষয়টি। এদিকে ভোলার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বাগেরহাটের মোংলায় এক
গৃহস্থের ঘরে কালো ডিম পেড়েছে একটি পাতিহাঁস। হাঁসের মালিকের দাবি অন্তত ১৭ দিন ধরে
একটি পাতিহাঁস এই কালো ডিম পেড়ে যাচ্ছে। কালো ডিম দেখতে উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের
ঠোটেরডাঙ্গা গ্রামের নাজমা বেগমের (২৭) বাড়িতে ভিড় করেছেন স্থানীয়রা।
নাজমা বেগম বলেন,
দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে হাঁস পালন করছি। কখনও এমন দেখিনি। হঠাৎ করে ১৭দিন আগে হাঁসের ঘরে
অন্যান্য ডিমের সঙ্গে একটি কালো ডিম পাই। এরপর প্রতিদিন কালো ডিম পেয়েছি। সর্বশেষ শনিবার
সকালেও একটি কালো ডিম পেয়েছি। আজ সাকলে পাইনি। হয়ত কাল আবার পারবে। তবে ডিমের ভেতরের
সাদা অংশ ও কুসুম অন্যান্য ডিমের মতোই স্বাভাবিক।
স্থানীয় নবিরুল
আলম বলেন, মানুষের মুখে মুখে এখন শুধু কালো ডিমের গল্প। আমিও দেখতে গেছিলাম, দেখলাম
কয়েকটা হাঁসের ডিমের সঙ্গে একটি কালো ডিম।
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডা. মো. লুৎফর রহমান বলেন, মোংলায় একটি হাঁস কালো ডিম পেড়েছে, এমনটি আমরা জেনেছি। হাঁস বা মুরগির কালো ডিম পাড়া অসম্ভব কোনো বিষয় না। ডিমের খোসায় ক্যালসিয়াম ও এক ধরনের পিগমেন্ট যুক্ত আবরণ থাকে। খাবার এবং পরিবেশের কারণে কিছু হাঁস বা মুরগির পিগমেন্ট কালো হয়ে যায়। কালো হওয়া পিগমেন্টধারী হাঁস বা মুরগির ডিম কালো হতে পারে।