মঙ্গলবার বাংলাদেশে মুসলমানরা সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ
আনন্দে মেতে উঠবে। তবে এ দিনটি হতে পারে বৃষ্টিস্নাত। সোম ও মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রচুর
বারিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকায় বজ্রঝড়সহ প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে। ঈদের
পরে ৪ মে পর্যন্ত থাকতে পারে বৃষ্টির রেশ। দেশি-বিদেশি আবহাওয়া সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস
থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি)
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল মলিক জানান, কয়েকদিন ধরে অসহনীয় গরম অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ
করে টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাঙ্গামাটি, রাজশাহী ও পাবনা জেলাসহ
খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সাধারণত এমন একটা উষ্ণ-পালার
(হট স্পেল) পরে সহনীয় পরিস্থিতি এসে থাকে। ইতোমধ্যে দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির প্রবণতা ও বিস্তৃতি বেড়ে যেতে পারে। এই অবস্থায় সোমবার
থেকে প্রায় সারা দেশে তাপমাত্রা প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টিপাত বাড়বে উত্তরাঞ্চলসহ
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে।
মার্কিন আবহাওয়াসংক্রান্ত
পে-টেলিভিশন দি ওয়েদার চ্যানেলের দশব্যাপী পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, রোববার বিকাল থেকে
উষ্ণ পরিস্থিতির উন্নতি শুরু হবে। বিশেষ করে ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে এবং বৃষ্টির
সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। কিন্তু সোমবার সকালে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬০ শতাংশ আর বিকালে
৭০ শতাংশ। আর মঙ্গলবার সকালে বজ্রঝড়সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। ওইদিন বিকালেও বৃষ্টি
থাকবে।
অন্যদিকে নরওয়েভিত্তিক
আবহাওয়াসংক্রান্ত ওয়েবসাইট টাইমঅ্যান্ডডেট দুই সপ্তাহের পূর্বাভাসে বলছে, ২ ও ৩ মে
ঢাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হতে পারে। প্রথমদিন ২২ মিলিমিটার আর পরের দিন ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টির
সম্ভাবনা আছে। এরপর ধীরে ধীরে ৬ মে থেকে বৃষ্টির উন্নতি হতে পারে। কিন্তু ৭ মে তাপপ্রবাহ
দেখা দিতে পারে। ওইদিন তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে।
বিএমডি শনিবার দুপুরে এক
পূর্বাভাসে বলেছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং
খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে
প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে
শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
সংস্থাটি দেশের ৪২ স্টেশনে
আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে থাকে। দেখা যায়, এর মধ্যে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার
সকাল ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগ একেবারেই বৃষ্টিশূন্য ছিল। রংপুর
ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টি হয়। দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড দেখা
যায় বদলগাছিতে, ৩৮ মিলিমিটার।