Logo
শিরোনাম

ঈদ কেন্দ্র করে রাজধানীতে সর্বোচ্চ সতর্কতা

প্রকাশিত:সোমবার ০২ মে 2০২2 | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মহামারি করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত দুই বছরে ঈদুল ফিতর ও আজহায় মোট চারটি ঈদের জামাত জাতীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার পরিস্থিত অনেকটা স্বাভাবিক। নিরাপত্তা শঙ্কাও নেই বলে জানাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতও হবে। ঈদের জামাত ও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে তাই নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।

পুলিশ বলছে, রমজানে ঢাকা মহানগরীতে বড় কোনো অঘটন না হলেও ঈদ কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতায় থাকবে পুলিশের একাধিক টিম। পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করবে। কোনো হামলা-নাশকতার হুমকি না থাকলেও ঈদ জামাত থেকে শুরু করে সরকারি ছুটির ওই সময়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি বা গুজব সৃষ্টির বিরুদ্ধেও সতর্ক থাকবে পুলিশের সাইবার ইউনিট। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও নিবিড় পর্যবেক্ষণ।

এছাড়াও ঈদকেন্দ্রিক ছুটিতে ফাঁকা রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েও কাজ করছে পুলিশ, র‌্যাবসহ দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকও করেছেন। গত দুবছরের চেয়ে এ বছরে করোনার প্রভাব অনেকাংশে কম থাকায় ঈদগাহসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই জনসমাগম অনেক বেশি থাকবে। তাই নিরাপত্তা প্রস্তুতি সেভাবেই নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

তারা জানান, ঢাকা মহানগরীতে ঈদকেন্দ্রিক চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঠেকাতে এবারও কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি ও র‌্যাবসহ দায়িত্বশীল একাধিক সংস্থা। এছাড়া ঈদের জামাত কেন্দ্র করে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ এবং জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ বড় কয়েকটি মসজিদ ও মাঠে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে রাষ্ট্রপতি ঈদের নামাজে অংশ নিলে সেখানে থাকবে তুলনামূলকভাবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর ব্যবস্থাসহ ডগ স্কোয়াড এবং সোয়াট টিম সতর্ক থাকবে সেখানে। সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা নিয়োজিত থাকবে আগে থেকেই। পাড়া-মহল্লায় টহল বৃদ্ধিসহ সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা রাখবে।

ঈদের ছুটি কাটাতে বাড়ি ফেরা মানুষদের ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার পার্শ্ববর্তী আত্মীয়-স্বজনের কাছে রেখে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদের সময় প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য নগরবাসীর অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যান। তাদের বাসাবাড়ি ফাঁকা থাকে। এসময় যেন কোনো ধরনের অঘটন না ঘটে, সেজন্য বাসাবাড়ির নিরাপত্তাপ্রহরীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন বলেন, আসন্ন ঈদ উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটিতে পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। অনেক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে যায়, ফলে বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনেকটা অরক্ষিত অবস্থায় থাকে। যার ফলে চুরি-ডাকাতি, সম্পদহানির আশঙ্কা থাকে। এ নিয়ে গত ১৫ দিন ধরে আমরা কাজ করেছি, এ সময়ে একাধিক চোর-ডাকাতপার্টিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে নিজ বাড়ির নিরাপত্তার প্রাথমিক দায়িত্ব নিজেকেই পালন করতে হবে। ঈদের ছুটির সময়ে পুলিশি টহল বৃদ্ধিসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর ঈদের ছুটিতে ফাঁকা বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে কিছুটা হলেও নিরাপত্তা জোরদার হবে।

ডিসি ফারুক হোসেন আরও বলেন, পুরো জাতীয় ঈদগাহ এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ চেকপোস্ট, আর্চওয়ে ও ক্যাম্প। পুরো ঈদগাহ এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ মনিটরিং করা হবে। ঈদগাহের নিরাপত্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পোশাকে ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখবেন।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন  বলেন, ঈদকেন্দ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তবুও পূর্ব গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার বিষয় মাথায় রেখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখা ও সাইবার ইউনিট সক্রিয়। জাতীয় ঈদগাহ এলাকায় র‍্যাবের ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। র‍্যাবের ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।

নিউজ ট্যাগ: ঈদুল ফিতর

আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর