রোজার ঈদ সামনে
রেখে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ‘শর্ত সাপেক্ষে’ গণপরিবহন চালুর কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন
ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার বিআরটিএ
ও বিআরটিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর সামনে
রেখে আগামী ৬ মে থেকে গণপরিবহন চালু করার সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
তবে শর্ত হল,
সিটি সার্ভিস ও জেলার বাস সার্ভিস অন্য জেলায় প্রবেশ করতে পারবে না। বাস ছাড়ার আগে
সম্পূর্ণ স্বাস্থবিধি মেনে পুরো বাসে জীবাণুনাশক ছিটাতে হবে। যাত্রী, বাসচালক ও সহকারীকে
শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক সিট খালি রেখে গণপরিবহন চালাতে হবে।
শিগগিরই এ বিষয়ে
বিস্তারিত জানিয়ে প্রজ্ঞাপণ জারি করা হবে বলে জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, জেলার
গাড়িগুলো জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে এবং কোনোভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে
না। সিটির ক্ষেত্রেও সিটি পরিবহন সিটির বাইরে যেতে পারবে না। ঢাকার কোনো গাড়ি ঢাকা
জেলার সীমারেখার বাইরে যেতে পারবে না।
পরিবহনগুলোকে
অবশ্যই অর্ধেক আসন খালি রেখে নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়ায় চলতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা
যাবে না, পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহার বাধ্যতামূলক
করতে হবে এবং প্রতি ট্রিপে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করাও বাধ্যতামূলক।
এদিকে মহামারীর
এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুধু শহরের মধ্যে সীমিত আকারে যানবাহন চালুর অনুমতি
দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন।
সোমবার মহাখালীতে
এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মনে করি ঈদের
সময় গণপরিবহন চালু করা ঠিক হবে না। গতকাল আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে সমস্ত মেয়রদের
সাথে। সেখানে সবাই একমত হয়েছেন যে ইন্ট্রাসিটি চলতে পারে, কিন্তু ইন্টারসিটি না।